............................................
আমি রাস্তা পাড় হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই সচেতন। কিন্তু আজকে আমার সাহস একটু বেড়ে গেছিল। আমি আরেকটুর জন্য একটা ট্রাকের তলায় পড়ে অকালে মৃত্যুবরণ করতাম। আমি এখন আগে যেভাবে চলতাম সেভাবেই চলবো বলে ঠিক করেছি।
এই জীবনে আকাম কুকাম ছাড়া আর নিজেকে নিয়ে ভাবা ছাড়া ভালো কিছুই করিনি।
সেই হিসেবে মানুষ দুই চারদিন আমার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ভুলে যেত। এই পৃথিবীতে মানুষ মানুষকে খুব সহজে ভুলে যায়। এই কঠিস সত্যিটা আজকাল খুব বেশি উপলদ্ধি হচ্ছে।
ব্লগে দেখি আজকাল কেউই আমাকে চেনে না। আগে যাই হোক ২০/২৫ জন চিনতো।
এখন দেখি কেউই চেনে না। এজন্য আমি আজকে মারা গেলে ব্লগে খুব কম লোকের দোয়া পেতাম এটা ভেবে খুব খারাপ লাগছে
আমি অক্ষয় কুমারকে নিয়ে দুইদিন আগে স্বপ্ন দেখলাম। অক্ষয় কুমারকে আমার এতটাই অসহ্য লাগে যে ধরে মনেহয় চলন্ত ট্রাকের সামনে ধাক্কা মারি। কিন্তু স্বপ্নে আমি তার সাথে গদগদ হয়ে কথা বলছিলাম। কি বলছিলাম মনে নাই তবে সে আমাকে বেহেনা বলছিল।
অক্ষয় কুমারের সাথে গাছে উঠেছিলাম। তবে খুব একটা উঁচুতে না। যেই গাছটাতে আমি অক্ষয় কুমারের সাথে উঠেছিলাম সেটা হলো একটা সফেদা গাছ। অক্ষয় কুমার সফেদা খেতে চাচ্ছিল। সেই গাছটা একমাত্র গাছ যেটাতে আমি বাস্তবে সত্যিই উঠতে পারি।
গাছে উঠে অক্ষয় কুমার প্রথমে আমাকে বললো, বেহেনা কিসনে কাহা তুম গাছ মে নেহি চার সাত্তি! আমাকে তখন প্রশংসা করায় আমি লজ্জিত হয়ে চুপ করে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর আমার সাথে ফাজলামী করতে লাগলো। বিচ্ছিরি দাঁতগুলো বের করে হাসছিল আর আমাকে বারবার ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছিল। আমি খুব কষ্টে নিজেকে সামলাচ্ছিলাম। আবার তাকে নিয়ে ভাবছিলাম, আরে এ ছাগলা তো পুরাই এ্যাবনরম্যাল।
এ অভিনয় করে কীভাবে!
এই স্বপ্নের কথা আমি যাকেই বলেছি সেই হেসে লুটোপুটি খেয়েছে। একজন ব্যাখ্যা দিতে গিয়েও জ্ঞানী কথা বলে পিছলামী করে মেজাজ মোটামুটি বিলা করেছে আমার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।