আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক বৈশাখে চলে আসিস, পূর্ন করে দিস আমায়

সাপ-লুডু খেলছি বিধাতার সঙ্গে

খুব ইচ্ছে করছে আজ তোর চুলের খোঁপায় বেলি হয়ে সাজতে লাল-সাদা শাড়ির আচলে আচলে, হাওয়া হয়ে দুলতে যদি আলতা রাঙ্গা পায়ের আঙ্গুলে মল হয়ে বাজতে চাই, খুব কি বেশী কিছু চাওয়া হয়ে যাবে? আমি চাই, আমরা যুগল হাটবো রমনায়, রমনীয় হয়ে, পাতার ভেলা ভাসিয়ে উড়াল দেবো আকাশের সমুদ্র, তাঁরায় তাঁরায় খেলবে আমাদের নিঃশ্বাসের বিশ্বস্ত ঢেউ আর নতুনের বারতা নিয়ে অদৃশ্যে বাজবে আগমনী গান রোদ্র আসবে, আলো আসবে, গাছে গাছে আম্রকুড়ি আসবে ক্ষুব্দতার বুক ছিড়ে আসবে বৈশাখী শুদ্ধতা। ও নারী, আমার চাওয়াটা কি খুব বেশী হয়ে যাচ্ছে? এই দুঃসাহসী চাওয়ার অপরাধে আমার বিরুদ্ধে যদি কপট নিয়তি জারি করে হুলিয়া যদি বসত ভিটায় কেউ চড়িয়ে দেয় একশটা ঘুঘু, রোদ্রের করতল ভেদ করে যদি জাগে ঘূর্ণি বায়ু আমি সত্যিই অপারগ। আমার সর্বস্ব নিলাম করে আমি চাই তোর খোপায় বেলী হতে, আচলের হাওয়া হতে, পায়ের মল হতে। চাই ব্যক্তিগত কিছুটা সময়, যুগল সময়, শুধুই আমাদের একান্ত দুজনের। বিশ্বাস কর, এরপর হাসতে হাসতে বিষপান করে মৃত্যুর দরোজায় হাজিরা দিয়ে আসতে পারি পারি দুখের অট্টহাসির দাতে লাগাম লাগিয়ে দিতে নির্ঘুম চোখের সকল কালি, কাজল বানিয়ে তোর হাতে তুলে দিতেও আমার নূন্যতম আপত্তি নেই।

হায়, আমার বুঝি আর কোনদিন সুখে থাকা হলো না। সুখের আনুসঙ্গিক সকল কিছু বিক্রি করে আমি কিনে নিয়েছি তোর জন্য রঙ্গিন একটা ব্যক্তিগত জিরো আওয়ার। তোর বিহনে সময়গুলো কাদছে, গগনবিদারী চিৎকারে উত্তপ্ত করে দিচ্ছে পৃথিবীর জলবায়ু। ভালোবেসে যে হাত আকড়ে ধরতে চায় রমনীর হাত আজ তার দেহ বেয়ে কেন গড়ায় তরল জল? কেন তার অস্তিত্বের জলাভূমিতে কাকতাড়ুয়ার আনাগোনা? তুই জানিস না, সুখের দ্বৈরথে থেকে দুঃখকে কিনতে হয়না। কিনলে, দুঃখ তার সকল পা দেখিয়ে তবেই গল্পের ইতি টানে।

আমার গল্পটা এখনো শেষ হয়নি। আমি এখনো তোর পায়ের মল হতে চাই , চুলের বেলি হতে চাই, হতে চাই প্রতিটি নিঃশ্বাসের প্রতিধ্বণি, যদি সাধ্য থাকে এক বৈশাখে আমাকে পূর্ন করে দিয়ে যাস। (রিপোস্ট)।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।