যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
সকাল ০৬:১৫ এ রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হবে । এতো ভোরে ঘুম ওঠার সাধ্য নেই তাই আর রাতে ঘুমানোর চিন্তা বাদ দিলাম । বাসা থেকে হেটে রমনায় যেতে বড় জোর ২০ মিনিট লাগবে ।
ঠিক সেভাবেই সপত্নিক বাসা থেকে বেরুলাম ভোর ৫:৫৮ তে । অবশ্য যাবার ঠিক আগে এই আর অল্প কিছুক্ষণ পরেই নতুন বছরের সূর্যোদয়ঃ শুভ নববর্ষ ১৪১৭ পোস্টটা দিয়ে বেরিয়েছি । কিন্তু এতো মাপা সময় বাধ সাধল নিরাপত্তা ব্যবস্থা । শেরাটনের সামনে থেকেই রাস্তা বন্ধ , সেখানেই চেক পোস্ট । সরকারের এই ব্যবস্থা দেখে খুশি হলাম; যাক সরকার তবে বেশ সাবধানী ।
কিন্তু বিরক্ত লাগল রমনায় ঢোকার মুখে । একমাত্র গেট দিয়ে (ভিআইপিদের এলাকার দিকে) দিয়ে ঢোকার ব্যবস্থা আর তার থেকেও আহাম্মুকি কাজ একটা মাত্র লাইন । রাতের ঘুম হারাম করে এলাম আরাম করে অনুষ্ঠান দেখব বলে আর পুলিশ বেটাদের একী কাণ্ড?? সেই ২০ মিনিটের জায়গায় আমাদের সময় লাগল প্রায় ৪৫ মিনিটরেও বেশি, ততোক্ষণে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে , এবারো পারলাম না শুরু থেকে থাকতে, মনটা খারাপ হয়ে গেল । গত বছর তো দেশেই ছিলাম না । ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে শুরু হলে আমরা ও ধীরে ধীরে বাড়ি ফেরার জন্য তৈরী হলাম ।
বাড়ি ফেরার পথে এক বন্ধুর বাসায় ইলিশ-পান্তা খেয়ে বাড়ি ফিরলাম ।
যে জিনিষটা ভালো লাগল সেটা হলো সব মানুষের আগ্রহ দেখে । এবার কেন যেন হাওয়ায় খুব ভাসছিল , মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য হয়তো ..রমনার বটমূলে আবার কোন ঝামেলা হতে পারে , অনেকের মতো আমি ভেবেছিলাম রমনার বটমূলে হয়তো মানুষজন কম যাবে । কিন্তু আমার সেই ধারণাকে ভ্রান্ত করে দিয়ে হাজার হাজার মানুষের ঢল । আমি সত্যি ভীষণ মুগ্ধ ।
মানুষ অরাজকতা ভয় পায় না । মিথ্যা ভয় হুমকি ধর্মের দোহাইয়ের তোয়াক্কা করে না । আর এই নববর্ষ, বর্ষবরণের এই রীতি কোন ধর্মের নয় বর্ণের নয় ; এটা সম্পূর্ণ আমাদের. এটা বাঙালিদের নিজস্ব সংস্কৃতি । এই বর্ষবরণ আমাদের ঐতিহ্য । নববর্ষের প্রাণের উৎসবে মাতুন ।
আর এই উৎসবে শুদ্ধ হোক পৃথিবী । জয় হোক বাংলার-বাঙালির । জয়তু বাঙালিয়ানা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।