আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের আলোচিত সেই ভণ্ডপীর হারামজাদ হোসেন তিন সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছে- এটা পুরনো খবর। এখন আনন্দের খবরগুলো বলি একেক করে-
১. সিরাজদিখান থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলার বাদী নির্যাতিত সেই শিশু দুটির মা। প্রক্রিয়া চলছে আরও একটি প্রতারণা মামলা দায়েরের।
২. জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসার নামে নির্যাতিত রোগীদের খোঁজখবর নিয়েছেন। আমজাদের নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন।
৩. পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ দোষ স্বীকার করে বলেছে, ‘আমার ভুল হয়েছে। অভাবের কারণে গ্রামের কিছু লোকের প্ররোচনায় এই পেশায় নেমেছি। আমার এই কর্মের কারণে সাজা হওয়া উচিত, যাতে আর কেউ এই কাজ না করে।
’
সবচেয়ে আনন্দের খবরটি হচ্ছে-
৪. আমজাদ শিশুদের যেভাবে ‘চিকিৎসা’ দিতো, তাকেও গ্রেপ্তারের পর মাটিতে ফেলে সেভাবে কিছু ‘নমুনা চিকিৎসা’ দেওয়া হয়েছে আজ দুপুর নাগাদ। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান জানান, শিশুদের যেভাবে মাটিতে ফেলা হয়েছিল, তাকেও সেভাবে মাটিতে ফেলে দেখানো হয়েছে মাত্র।
মতিউর রহমান, আপনি আমাদের অভিনন্দন গ্রহণ করুন।
দুঃখের খবর একটিই-
সকালে ভন্ডপীর আমজাদের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় রেবের একটি দলও সেখানে হাজির হয়।
অথচ!
যা হোক, এর মধ্যে অবশ্য রেব-১১-এর এএসপি মিলন রহমান জানাচ্ছেন, আমজাদের বাকি সহযোগীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রেব যেহেতু, আশা করার অনেক কিছুই আছে। ওহে মিলন ভাই, একটু দেইখেন বস। গ্রেপ্তার-টেপ্তারের দরকার কি খামোখা!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।