আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২৩-২৪-২৫-২৬ বছর বয়সে কী এমন দিন কাটানোর কথা?

কত কিছু যে করতে চাই, তবুও কিছু করতে না পারার দায়ে মাথা খুঁটে মরি । দেশে মনে হয় আচমকা সুখী মানুষের আকাল পড়ছে। সুখী মানুষ নাই-ই নাই। তবে, সুন্দরী মেয়েরা যদি নিজেদের মানুষ (সাধারণ সবার মত) ভাবেন, তাহলে অবশ্য সুখী মানুষ আছে বেশ। ২৩-২৪-২৫-২৬ বছর দিয়ে আমি আসলে গ্রাজুয়েশনের সময়ের কথা বলছি।

যে যেই বয়সে পাশ করে আর কী ! ভার্সিটির যত ফ্রেন্ড আছে সবাই জব করতেসে। কেউ তার জব নিয়ে হ্যাপি না। কারও স্যালারি মনে করতে কম, বা কারও মনে হচ্ছে তাকে বেশি খাটায়। বা আর কারও ধারণা তার কাজের পরিবেশ ভালো না। সব মিলিয়ে এরা হতাশ।

ভার্সিটির বাইরের পোলাপানের আরেক ক্যারফা। ওরা পড়াশোনা করছে। কারও গ্রাজুয়েশনের অল্প বাকি কেউ বা মাস্টার্স/এমবিএ ধরে ফেলসে। এরা জব করতাসে না, মোটামুটি টেনশানে আছে আর হতাশ। যে আবার জব নিয়ে খুশি, পড়াশোনাও শেষ তার আবার গার্লফ্রেন্ড চিটিং করসে।

সেখানেও হতাশা। নইলে আরেকজনের গার্লফ্রেন্ডের বিয়েই হয়ে গেলো। মেয়ে মাত্র নতুন চাকুরেজীবির কাছে আসে নাই। আরও সেটেলড ছেলের কাছে চলে গেছে। যে আবার জব, পড়াশুনা, গার্লফ্রেন্ড সব কিছু নিয়া খুশি তার আবার বাসায় সমস্যা।

বড় ভাই আলাদা হয়ে গেছে বউ নিয়ে। বাপ রিটায়ার্ড ছোট বোনের বিয়ে হচ্ছে না। হেন তেন। নিজেও বিয়ে করতে পারছে না। গার্লফ্রেণ্ডের বিয়ের প্রেশার আসতেছে।

আরেকজনের সব কিছু ঠিকাছে। সব। শুধু ফ্যামিলি গ্রামে সে থাকে মেসে। বাবা মারাত্মক অসুস্থ। সারাজীবন সিগারেট খেয়ে এখন ফুসফুসে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস।

সব মিলিয়ে ব্যপক ক্যারফা। মাঝে মাঝে ব্যাচমেট কেউ কেউ ফোন দেয়। জব চেঞ্জ করবে নইলে এখনও বসেই আছে। জব আছে কী না !! মাত্র ঢুকলো যে, তার কী আর জব দেয়ার ক্ষমতা আছে ! মাঝে মাঝে জুনিয়াররা ফোন দেয়, জব আছে কী না। নইলে আরও জুনিয়াররা ফোন দেয়, জব যেন আগে থেকে দেখে রাখি পাশ করতে তার আর ৪ মাস মাত্র !! কিছু বলার নাই, চুপ করে থাকি।

ঢাবি, রাবি, নর্থসাউথ, চবি, ইস্টোয়েস্ট, এয়াইইউবি সবখানে দেখি কত ফ্রেন্ড বসে আছে। জব নাই। বা কয়দিনের মাঝে বের হবে, এরপর কী করবে বুঝতেছে না। সবখানে কেমন একটা হতাশাজনক অবস্থা !! আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি। স্কুল বা কলেজে পড়ার সময় চিন্তা করতাম যুবক/তরুণ হলে কত না মজা।

এখন আমি ভাবি, ২৩-২৪-২৫-২৬ বছরে কী এই সময় কাটানোর কথা ? মানে, সবাই এত হতাশ ক্যান? এরমধ্যে সুন্দরী মেয়েরা আছে শুধু মজায়। কোন চিন্তা টেনশান নাই। ডু ফূর্তি। বয়ফ্রেন্ড সব কইরা দিবে। ক্যারিয়ারে বড়ো কিছু হবে।

বিয়া করে ফেলবে। যদি না পারে, ছেলে চেঞ্জ। আরও ভালো ছেলে আসবে। এর মধ্যে যদি অপেক্ষার পালা থাকে, কোন সমস্যা নাই। লাখ লাখ ফ্রেন্ড আছে লোনলিনেস কাটানোর জন্য।

বয়ফ্রেন্ড মানতে পারলে মানুক না মানলে আরেকটা আছে। আর ফেসবুক ত আছেই, ছবি উঠায়া কোন মতে দিতে পারলেই হয়। লাইক যদি ডজন ১ টাকাও বেঁচা যাইত, তাও তারা বিলিওনিয়ার হয়ে যাইতো। পোলাপানের এমন ডেডিকেটেড ছ্যাবলামি দেখলেও বুঝা যায়, গণহারে ছেলেরা ক্যামন হতাশ !! পুরা বোর লাগে মাঝে মাঝে সারাদিন। মানে কেউ নাই হ্যাপি, যে তাকে দেখে হ্যাপি লাগবে একটূ ।

আসলেই, এই বয়সে কী পোলাপানের এই সময় কাটানোর কথা। সারাদিন অফিস করে পুরা বোর লাগে। নিজের জন্য সময়ই থাকে না। যখন সময় থাকে, যাদের সাথে আড্ডাই সবাই দেখি ক্যামতে ক্যামনে হতাশ !! মানে মজায় আছে, কিন্তু টেম্পোরারি মজা। সবার ভিতরেই টেনশান।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।