© লেখকের অনুমতি ব্যতীত এই ব্লগের কোন লেখা সম্পূর্ণ বা আংশিকরূপে কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
"ছোড ছোড ঢেউ তুলি
লুসাই পাহারতুন নামিয়েরে যারগই কর্ণফুলী"
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গান । যার অর্থ " ছোট ছোট ঢেউ তুলে, লুসাই পাহাড় থেকে নেমে কর্ণফুলীতে মিশে যাচ্ছে । " মিজোরামের লুসাই পাহাড়ে এই নদীর উৎপত্তি । এটি এঁকেবেঁকে প্রায় ২৭০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পতেঙ্গায় মিশেছে।
নদীটি প্রস্থে ৬৬৭ মিটার, গড় গভীরতা ১০২ মিটার , সর্বোচ্চ গভীরতা ১৪৭ মিটার । ( সূত্র : উইকিপিডিয়া)
আমার অসম্ভব প্রিয় এই নদী । কর্ণফুলীর খুব কাছেই আমার বাসা । আমার শৈশব , কৈশোর কেটেছে এই কর্ণফুলীর শীতল জল আর হাওয়ায় । একটুকু সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়ি নদীর বুকে ঘুড়ে বেড়ানোর জন্য ।
নদীর ওপাড়ে তীর ধরে হেঁটে বেড়ানোর মজাই অন্যরকম । একপাশে শহর আর অন্য পাশে সবুজ গ্রাম । অপূর্ব ! মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি নদীর মতো কোন কবিতা লিখে ফেলি কর্ণফুলী নিয়ে । আমি জীবনানন্দ হতে পারিনি । পারিনি কোন কবিতা লিখতে ।
শুধু কর্ণফুলীর অপরূপ সৌন্দর্য ক্যামেরায় বন্দী করার চেষ্টা করেছি ।
কর্ণফুলীর তীরে বন্দরের জেটিতে এভাবে সবসময় সারি করে বিদেশী জাহাজ দাঁড়িয়ে থাকে
জাহাজ থেকে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের দৃশ্য
ছোট ছোট ঢেউয়ের দোলায় ভেসে ভেসে নদীর ওপারে গমন
চির যৌবনা কর্ণফুলীর অপরূপ সৌন্দর্য
নদীর ওপারে চমৎকার ঘাট
কর্ণফুলীর এপাড়ে সবুজ ছায়াময় গ্রাম আর ওপারে চট্টগ্রাম বন্দর
মেঘের আড়ালে ওই সূর্য হাসে
পানিতে পা ডুবিয়ে এখানে বসে থাকার মজাই আলাদা
সূর্য যখন হারিয়ে গেল দিগন্তে
সন্ধ্যা নেমে আসছে নদীর বুকে
কাউয়ারও সাধ হয় নদী তীরে বসে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার
সন্ধ্যায় প্রিয় নদীর বদলে যাওয়া
বন্দরের জেটির তীব্র আলোয় আলোকিত জলরাশি
রাতের কর্ণফুলী আর বন্দরের আলোকজ্জল জাহাজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।