আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

???? বিদ্যুতের সরিষায় কোন ভূত ????

বাঙলা কবিতা

সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ঢাকা, এই অর্থে যে, সারাদেশের এমন কোনও জেলা নেই, যে জেলার মানুষ জীবন ও জীবিকার সন্ধানে বাস করেন না এখানে। জীবন হয়তো পান না কোনওদিনও কিন্তু তাদের জীবিকা এবং ওইসব মানুষের ওপর নির্ভরশীল গ্রামে অবস্থানরত অনেকেরই জীবিকা চলে এই শহরের খেটে খাওয়া মানুষদের আয় দিয়ে। বর্তমানে খরা চলছে, সারা দেশেই। ঢাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। লাগামহীন বাজার দর।

এর ওপরে চরাও হয়েছে বিদ্যুত গ্যাস পানির আকাল। সরকার নতুন নিয়ম করেছে, এক ঘন্টা পর এক ঘন্টা বিদ্যূত পাবে মানুষ। সে নিয়মেরও ঘন্টা বাজতে শুরু করেছে। বিদ্যুত গ্যাস পানির অভাবে ঢাকা শহরের জনস্বাস্থ্য এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। বিদ্যুত ব্যবহারের ক্ষেত্রে হাসপাতাল বা এই জাতীয় প্রুতষ্ঠান ছাড়া কোনও এলাকাতেই ভি আই পি বা এমার্জেন্সি সরবরাহ বজায় রাখা কেবল অমানবিকই হবে না; অন্যায় ও বে-আইনীও।

বাংলাদেশের সংবিধান এ নিশ্চয়তা দেয়নি যে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত মন্ত্রী-এমপিগণ সার্বক্ষণিক বিদ্যুত সুবিধা ভোগ করবেন। ঢাকা শহরের আমজনতার মতই তাদের এলাকাতেও কী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং এর এই নববিধান জারি রাখতে পারেন না ? প্রধান মন্ত্রী নিজেও কী জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে এই নববিধান নিজের সরকারী আবাসে জারি রেখে আমাদের আনন্দ-যন্ত্রণা শেয়ার করতে পারেন না? বিদ্যুত বিভাগের ভণ্ডামি প্রকাশ হয়ে পড়েছে, গতকাল। সেটা ছিল শুক্রবার। সকল সরকারী আধা-সরকারী স্বায়ত্বশাসিত অফিস আদালত বন্ধ ছিল। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি অনেক মার্কেট ও বিপণীবিতান বন্ধ ছিল।

তাদের বিদ্যুত ব্যবহারের দরকার পড়েনি। বিদ্যুত বিভাগের বক্তব্য মতে, চাহিদা ও সরবরাহ মেলাতেই লোডশেডিং ব্যবস্থাপণা প্রয়োজন হয়। গতকাল তো সেই চাহিদা সপ্তাহের অন্যদিনগুলোর মত ছিল না! তা হলে এহেন শুক্রবারেও কেন একঘন্টা পর একঘন্টা (কিংবা আরও অবনতি ) বজায় থাকলো ? ???? বিদ্যুতের সরিষায় কোন ভূত ???? এ প্রশ্নের জবাব অব্শ্যই বিদ্যূত বিভাগকে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে, সরকারকে উপস্থাপণ করতে হবে, জনগণের অবগতির জন্য। তা না হলে, ...ললিতবাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস। গণতন্ত্রের কথাও কেবল গালভরা বুলি হয়েই থাকবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।