তন্ময়-অন-রান.ব্লগস্পট.কম
হ্যাঁ রে ভাই, এটাই সত্যি। এসব হাবিজাবি পড়াশোনার জাতাকলে পিষ্ট না হয়ে অন্য কিছু শিখলেই মনে হয় ভালো করতাম। প্রতিদিন দু'বার করে বাসের মধ্যে পিষ্ট হতে হতো না, সাধের মানব-জীবনকে হাজারটা গালিগালাচ করতেও হতো না।
জানি জানি, হাজারো উদাহরণ আর বাণী ঝাড়তে ইচ্ছা করছে আপনার, কিন্তু বস, অফ যান। ওসব এখন বইতেই মানায়।
সম্মান, তাই না?
হ্যাঁ, সম্মান তো পাইছ। মাইনষে স্যার স্যার কইরা ডাকে। সত্যি কথা বলতে খুব একটা খারাপ অবস্থাতেও নেই। কিন্তু তারপরও নরমাল সব কিছুর একটু বাইরেও যেয়েও কিছু একটা করতে চাইলেই তা আর করা হয় না। ছক বাঁধা জীবন, মেপে মেপে তবেই সুখি।
প্রতিদিনের বাস-জার্নির হাত থেকে বাঁচবার জন্য কর্মস্থলের আশে পাশে বাসা খুঁজতে যেয়ে বাসাভাড়ার তালিকায় নিজের বেতনের সমপরিমাণ ভাড়া খুঁজে পেতেই তালিকার একেবারে নীচ অব্দি আসতে হলো, তাহলেই বুঝুন, প্রতিমাসে প্রদান করতে পারবো এমন ভাড়ার বাসা ক'টি পাওয়া যাবে।
সবাই বলে, নিজের ভবিষ্যতের জন্য উপরের দিকে দেখতে হবে। বড় আশা করলে বড় প্রাপ্তি হয়। কিন্তু উপরের দিকে দেখলে আমি আরো হতাশায় পড়ে যাই। নীচের দিকে দেখলে যাদেরকে দেখি তাদের জন্য হতাশায় পড়ি।
আর আমার নিজের লেভেলে দেখলে বুঝতে পারি, আমি কতো বোকা, বাবা কেনইবা আমাকে গর্ধব বলে ডাকে।
যাই হোক, ঘোড়া হয়ে জন্মালে ভালো হতো। চোখের দু'পাশ বিশেষ চশমা থাকতো, কোন দিকে চাইলেও তাকাতে পারতাম না।
আশা নিয়েই তো বেঁচে থাকা। আশা নিয়েই বেঁচে থাকি।
কিন্তু মাঝে মাঝে আশার মিথ্যে প্রলাপ গুলো মন আর মানতে চায় না। হতাশায় পড়ে যাই। আজ তেমনি হতাশা থেকে অফিসের পিয়নকে বললাম,
"আমি না হয় পড়াশোনা করে জীবনটা নষ্ট করলাম, কিন্তু আপনি ড্রাইভারি শিখলেন না কেন ? প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা কোন কালো রঙ্গের পাজেরোর এসিতে বসে থাকতেন শুধু, এখান থেকে ওখানে ড্রাইভ করে বেড়াতেন, বসের বাড়িতেই থাকতেন, খাইতেন, মাস শেষে যা পেতেন তার অর্ধেকটাই সঞ্চয়ে যেতো, চেষ্টা করে কিছু উপরি ইনকামও করতেন ... আপনি কেনো ড্রাইভারি শিখলেন না, আমি না হয় মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে ছিলাম, আপনার উপর তো সেই বিধিনিষেধ ছিলো না ... "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।