নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু দিন হল নতুন উপাচার্য কার্যভার গ্রহন করল জনাব আমিন ইউ সরকার যিনি আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসদ এবং বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন বহু বছর যাবত।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আইনুন নিসাত যিনি বাংলাদেশের ইনজিনিয়ার এসোসিয়েশন এর সভাপতি এবং গোটা এশিয়ার শ্রেস্ট ইনজিনিয়ারদের মাঝে একজন ।
এ আই ইউ বির ভিসি এক ফিলিপাইনের নাগরিক যিনি শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বের 50 মোস্ট পাওয়ারফুল ওমেন এর মাঝে একজন পাসাপাসি বিশ্ববিদ্যালয় এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব কারিদের মাঝে একজন।
এরা প্রত্যকেই বাংলাদেশের নাম উজ্জল করছেন এবং নিজ যোগ্যতায় নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর অন্যদিকে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা ভিসি আছেন তারা দেশ এবং প্রতিস্টানের উপরে উঠে রাজনৈতিক দলকে সামনে নিয়ে আসছেন।
জাতির জনকের সমালোচনা করার সবচাইতে মুখোরোচক আলাপ হল তার “বাকশাল ” । তবে তার আরেকটি বড় ভুল হল বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে বাকশাল না প্রতিস্টা করা। এই রাজনীতির সুযোগে আওয়ামিলিগ এবং জামাত -বিএনপি র রাজনৈতিক যেই দুর্বিত্তায়ন করেছে ক্যাম্পাস গুলিতে তা একপ্রকার ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে যা এখন আর আরোগ্য লাভের অযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে কিসের নির্বাচন? এইখানে ইলেকশান হবে কেন? এইখানে সরাসরি সিলেকশন হবে এবং সরাসরি যোগ্যতার ভিত্তিতে। কার শিক্ষাগত অযোগ্যা কি? কার কত পাব্লিকেশন্স আছে? কার কত পরিমান লেকচার দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে দেশি বিদেশি সম্মলনে? গবেসনা তাদের অবদান কি? এইসব হবে ক্রাইটেরিয়া সিলেকশনের।
আর এইখানে প্রধান বিশয় হল কে কত বড় দলিয় লোক। আওয়ামিলিগ আর বিএনপি করাই যদি হয় উপাচার্য নিয়োগের ক্রাইটেরিয়া তাহলে সেই দেশের ভবিতসত কই?
একবার চিন্তা করেন এই যে আজকের দিনে সবচাইতে বাজে অবস্থায় যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি শুধুমাত্র অযোগ্য এবং রাজনৈতিক নিয়োগের ফলে । আরে যেই ব্যাক্তিকে আপনি নিয়োগ দিচ্ছেন সেত তার প্রতিস্টানেই জনপ্রিয় এবং গ্রহনযোগ্যনা সেখানে সে দেশে এবং বিদেশে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উঠিয়ে সামনে আনবেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।