মানুষ এবং মানুষ সম্পর্কে যাবতীয় বিষয়ে আমার দারুন আগ্রহ ……
কারন সত্যিই এখানে আপনার কোনই কাজ নাই, কোন ভুমিকাই নাই। মুহাম্মদ জুবায়ের এর প্রিয়তমা স্ত্রী হিসাবে আপনি অবশ্যই যে কোন জুবায়ের ভক্তের কাছে শ্রদ্ধার পাত্রী, কিন্ত শুধুমাত্র এই ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতাকে পূঁজি করে আপনি যখন যুক্তিহীন ভাবে কলম ধরেন, তখন তা এমনকি মুহাম্মদ জুবায়েরের জন্যও মোটেই সম্মানের বিষয় হয় না। আপনাকে বুঝতে হবে অগ্রজ সাহিত্যিকদের যখন পরবর্তী সময়ের লেখকরা সমালোচনা করেন, কাটাঁছেড়া করেন- সেখানে স্ত্রীদের কোনই ভুমিকা থাকে না। মুহম্মদ জুবায়ের তার সুদীর্ঘ লেখালেখির কোথাও কখনও দাবী করেন নি- তিনি তার যাবতীয় লেখা তার স্ত্রী মেহবুবা জুবায়ের এবং তার তথাকথিত সচল পরিবারের সদস্য দেবরদের জন্য লিখেছেন। তা যখন নয়- তখন অনুজ লেখক হিসাবে সুমন রহমান তার অগ্রজ মুহম্মদ জুবায়ের সম্পর্কে সমালোচনা করবেন, নতুন দৃষ্টিতে দেখবেন, নতুন ভাবে মুল্যায়ন করবেন... এটাই কি স্বাভাবিক ঘটনা নয়? যুগে যুগে কি আমরা এমনটিই দেখি নাই? এর মধ্যে পিঠে ছুঁরি মারার মতো উদ্ভত প্রসঙ্গ কোথা থেকে আসে?
ফলে সুমন রহমান তার সমসাময়িক দেখা লেখক হিসাবে মুহম্মদ জুবায়ের সম্পর্কে যা লিখেছেন তার জবাব দেওয়াটা আপনার স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যা কর্তব্য — মোটেই তার আওতায় পড়ে না।
এটা বাংলা ভাষার দুজন লেখকের মামলা- যা বাংলা ভাষার অপরাপর লেখকরাও মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করছেন। ফলে সুমনের এই রচনা যদি সঠিক সমালোচনা বলে কারো কাছে না মনে হয়, তবে তা নিয়ে যোগ্য উত্তর প্রতি উত্তর দেওয়ার অজস্র লেখক বাংলা ভাষাতেই আছে। এ ক্ষেত্রে পালটা যুক্তি দেবার কাজটা বর্তায় তার অনুসারীদের কাঁধে, তাঁর সমচিন্তার বন্ধুদের উপর। এটা নিয়ে তারা নিশ্চয়ই যুক্তিপুর্ণ ভাবে সুমনের বিরুদ্ধে কলম ধরবেন। আপনাকে এ কথাটা বিশ্বাস করতেই হবে- দুনিয়ার কোন লেখক কিংবা চিন্তাবিদকে এই ভরসা করে লেখালেখি করতে হয় নাই — যে তার অবর্তমানে তার পক্ষে তার স্ত্রী তার তথাকথিত দেবরদের ভরসায় কলম ধরবেন।
কোন বিরুদ্ধ মত বা চিন্তাকে মানহানির মামলার মতো হাস্যকর ধমকি দিয়ে মোকাবিলা করবেন।
এই কথাগুলো একান্ত বাধ্য হয়েই আপনাকে বলছি, কারণ মুহম্মদ জুবায়ের এর স্ত্রী হিসাবে আপনি সচলের পৃষ্ঠা ভরে বাক্যের পর বাক্য সাজিয়ে যা লিখেছেন- তাতে প্রতিটা শব্দে ফুটে উঠেছে আপনার বাচালতা, অজ্ঞতা এবং মুর্খতা। সচলের যে সব দেবরদের ভরসায় আপনি কলম ধরেছেন- তাদেরই উচিত ছিল আপনাকে জানানো বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে সমালোচনামুলক সাহিত্য কত গুরুত্বপুর্ণ জায়গা দখল করে আছে। চিন্তার দর্শনের বিকাশে মার্ক্স এঙ্গেলসদের হাতে পড়ে জনাব ড্যুরিং কিভাবে এন্টিড্যুরিং হিসাবে বিখ্যাত হয়ে আছেন। ফিলজফি অব প্রভার্টি কিভাবে হয়ে গেছে প্রভার্টি অব ফিলজফি।
বেশীদুর নয় এই বাংলা ভাষাতেই সলিমুল্লাহ খান যেভাবে প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাককে ছিড়ে খুড়ে ফালা ফালা করেছেন, সমালোচনামুলক সাহিত্য হিসাবে তা অসংখ্য পাঠকের কাছে সমাদৃত হয়েছে। কে জানে, হয়তো পরবর্তী কালের কোন লেখক ভিন্ন কোন যুক্তিতে, পৃথক কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে একই রকম ভাবে সলিমুল্লাহ খানকে ছিঁড়ে খুঁড়ে ফালা ফালা করবেন না-- তা কে বলতে পারেন?
তবে আমরা নিশ্চিত সে বিতর্কে মিসেস সলিমুল্লাহ খানের কোন (অন্ততঃ স্ত্রী হিসাবে) ভুমিকাই থাকবে না, এমনকি মানহানির মামলা দেবার কোন হুমকিই আসবে না। আসা উচিত নয় অন্ততঃ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।