অ
ভারতীয় 'বউ সুন্দরী'রা এখন রংপুরে। শহরের প্রায় সর্বত্রই চোখে পড়ে বউ সুন্দরী। এসব সুন্দরীকে একনজর দেখতে অনেকেই থমকে দাঁড়াচ্ছেন, কেউ আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন! কেউ একনজর দেখে অন্যের মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু না ! অদম্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বউ সুন্দরীদের কাছ থেকে দূরেই থাকতে হচ্ছে। ভারতীয় এ বউ সুন্দরীরা আসলে কেউই সুন্দরী ললনা নয়।
এরা আদতে ভারতীয় রসাল আম। যার নাম বউ সুন্দরী। অসময়ে ভারতীয় এ বউ সুন্দরী আমে রংপুরের ফলের বাজার অনেকটাই সয়লাব হয়ে গেছে। শহরের প্রায় সব ফলের দোকানেই দেখা মেলে এর। এসব দেখে পথচারীরা কমবেশি থমকে দাঁড়ান কিংবা দূর থেকে হলেও একপলক তাকায়।
একনজর দেখে দামও জিজ্ঞেস করেন কেউ কেউ। কিন্তু না! অদম্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই কিনতে সাহস পান না। দাম শুনেই দ্রুত সটকে পড়েন তাঁরা। নবাবগঞ্জ বাজারের ফল ব্যবসায়ী আজমল হোসেন জানান, প্রতিবছর আম মৌসুমের আগেই ভারতীয় এসব সুন্দরী আম চলে আসে রংপুরে। যথারীতি এ বছরও এসেছে।
এবারও অন্যান্য বছরের মতো সব শ্রেণীর মানুষই অন্তত একবার নেড়েচেড়ে দেখছেন। তবে দাম শুনে অনেকেই দোকানের কাছে বেশিক্ষণ দাঁড়াচ্ছেন না। অন্য ফল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি কেজি বউ সুন্দরী এবার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে, যা গতবারের তুলনায় একটু বেশি। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ বহু কষ্টে দুই-এক কেজি কিনলেও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষ গাড়ি হাঁকিয়ে এসে ছোঁ মেরেই নিয়ে যাচ্ছেন যাঁর যতটুকু ইচ্ছা। এমন তথ্য জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, 'দেশি আমদানিকারকরা এলসি করে কিছু আম আনলেও বেশির ভাগই আসছে এলসির নামে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে।
যে কারণে দাম একটু কম। তা না হলে দাম আরো বেশি হতো। সুত্র: কালের কন্ঠ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।