সরকার বলে বিরোধী দল দায়ী, বিরোধী দল বলে সরকার দায়ী, জামাত বলে ভারত দায়ী, ভারত বলে পাকিস্তান দায়ী, রাজাকার বলে ভাদাকার দায়ী, ভাদাকার বলে রাজাকার দায়ী। আমি বলি আপনারা দায়ী আপনারা বলবেন আমি দায়ী। তাই আমার উপর জানজট, লোডশেডিং জারী
বিয়ের ৩ দিন পূর্বে দিনদুপুরে ত্রিশোর্ধ এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। নিখোঁজ যুবকের আত্মীয়-স্বজনরা ঘটনাটি অপহরণ বলে জানালেও নিখোঁজের ঘটনায় থানায় সাধারণ জিডি নিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার উপজেলার পৌর শহরে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামীকাল বুধবার আমু চা বাগানের কর্মচারি মানিক শুক্ল দাসের পুত্র মৃদুল শুক্ল দাস (৩৩) এর সাথে মোস্তফাপুর গ্রামের দর্জিমহল্লা এলাকার এক যুবতীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। গত রবিবার সকাল ১০ টার দিকে মৃদুল বিয়ের কেনাকাটার উদ্দেশ্যে সদরে এসে আর বাড়ি ফিরেনি। ওইদিন সন্ধ্যায় মৃদুল তার মোবাইল ফোনে বাড়িতে জানায়, তাকে একটি চক্র চুনারুঘাট বাজার থেকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে তুলে মুখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। তাকে আগামী শনিবার মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানানোর পর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে মৃদুলের ভাই মিন্টু শুক্ল দাস ওইদিন রাতেই চুনারুঘাট থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ একটি জিডি গ্রহণ করে।
জিডি নং- ৩৩৪। এদিকে গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় মৃদুল বাড়িতে পুনরায় ফোন করে জানায়, তাকে শনিবারের পূর্বে অপহরণকারীরা ছাড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তাকে একটি ঘরে বন্দি রেখেছে এবং ঠিকমতো খাবারও দিচ্ছে না। এ খবরে নিখোঁজ যুবকের পরিবারে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। মৃদুলের ভাই মিন্টু দাস গতকাল সোমবার এ প্রতিনিধিকে জানান, কিছুদিন পূর্বে পৌর এলাকার বড়াইল গ্রামের মিতু দাসের সাথে মৃদুলের বিয়ের কথাবার্তা হয়েছিল।
কিন্তু পাত্রী তাদের পছন্দ না হওয়ায় তাদের মধ্যে বিয়ে হয়নি। মিন্টু দাস ধারণা করছেন, মিতু দাসের পরিবার এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে। মিতু দাসকে বিয়ে না করানোর কারণে তার পরিবার আমাদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এছাড়া মৃদুলের সাথে আর কারো কোন বিষয়ে বিরোধ ছিল বলে আমাদের জানা নেই। এ ঘটনায় শহরে তোলপাড় চলছে।
যুবক অপহরণের ঘটনা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। মৃদুলের পরিবার তাকে উদ্ধারের জন্য দু’দিন ধরে থানা পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের দপ্তরে ঘুরছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।