আইনমন্ত্রী বলেছেন, এটা যুদ্ধাপরাধীর নয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় যারা মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত ছিল এবং আন্তর্জাতিকভাবে যা প্রমাণিত তারই বিচার হবে। তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারো বিচার হচ্ছে না। আর এই বিচার তাড়াতাড়ি শেষ হচ্ছে না।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর কক্ষে এক বৈঠক হয়। এতে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট সামছুল হক টুকু, কথিত যুদ্ধাপরাধী বিচারের চীফ প্রসিকিউটরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এটা যুদ্ধাপরাধের বিচার নয়, এটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় যারা মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত ছিল তাদের বিচার হবে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অপরাধের বিচার হবে। যার ফলেই স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল, স্পেশাল ল, স্পেশাল বিচার। তিনি আরো জানান, যাছাই-বাছাই করে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে যাকে মনোনীত করা বা নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার সম্পর্কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুললে মন্ত্রী বলেন, এটা তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার।
তবে যাচাই বাছাই করেই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিচারের কাজ শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের আইন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিচ্ছি। আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সন্দেহজনক যারা, তাদের দেশের বাইরে যেতে দেয়া হবে না।
প্রয়োজনে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, বিচার কাজ শেষ করতে দেরি হবে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচার হতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।