আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কম সংখ্যক র্ধামকি ধনীরা বশেীরভাগ সম্পদরে মালকি

ছোট বড় প্রত্যেক ধার্মিক ধনী মালিক শ্রেনী নামাযে পুজায় প্রার্থনায় যেমন ধার্মিক শ্রমিক গরীবের সাথে একই কাতারে দাড়িয়ে বসে নামায পুজা প্রার্থনা করে তেমনি একই মানের খাবার,একই মানের কাপড় একই মানের লেখাপড়া একই মানের ঘরে ভাগাভাগি করে থাকাকেই সমবন্টন সমঅধিকার বলে। আমাদের ধার্মিক ধনী মালিকেরা ধার্মিক গরীবের সাথে একই কাতারে দাড়িয়ে বসে নামায পুজা প্রার্থনা করে তৃপ্ত অনুভব করেন বলেন কি চমৎকার বিধান। লুটপাট কমিয়ে ভোগ বিলাস কমিয়ে ধার্মিক ধনী মালিক, ধার্মিক গরীব শ্রমিকের সাথে একই মানের খাবার,একই মানের কাপড় একই মানের ঘরে ভাগাভাগি করে থাকতে সম্মত নন। শুধু সম্মত নন নয়.ধর্ম এবং নগ্নতাকে বাজারজাত করে আমাদের ধার্মিক ধনী মালিকেরা অগাধ ধন সম্পদ লুটপাট ভোগ বিলাস করছেন। একদিকে সকল ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় সভা মাহফিলের মাধ্যমে আমাদের দরিদ্রদেরকে পাপের শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন দেখাচ্ছেন অন্যদিকে আভিজাত্য অহংকার খরচের প্রতিযোগীতা নামী দামী গাড়ী সোনা দানা হীরা মুক্তা যহরতের ঝলসানী স্বল্প পোশকে দ্রুত তালে কোমর দুলানী, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ ভারত বিশাল জনগোষ্ঠীদের দারীদ্রতাকে ঘুম পাড়াতে নামী দামী নায়িকা ও সেলিব্রেটিদের লাইভশোতে বুক ও পেটের কাপড় সরিয়ে নাচাচ্ছে,নগ্নতা,যৌনতা,অধার্মিকতা, ধার্মিকতা কোন কিছু দিয়েই দারিদ্রতাকে ঘুমিয়ে রাখতে পারছে না।

আমাদের দেশে ও নগ্নতা,যৌনতা,অধার্মিকতা, ধার্মিকতা কোন কিছু দিয়েই দারিদ্রতাকে ঘুমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। কিভাবে ঘুমাবে দরিদ্ররা ! আমরা ধার্মিক গরীব,দরিদ্র, নিষ্ঠুরতম কষ্টকর অনিশ্চয়তার জীবন আমাদের। আমরা যারা গরীব আমাদের ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশু এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের জীবন অবর্ণণীয় কষ্টকর,বস্তি ফুটপাত আর গ্রমের জীর্ণ শীর্ণ ঘরে গাদাগাদি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস। আমাদের দেশে পর্যায়ক্রমে খমতায় থাকা দলগুলি ধার্মিক ধনীক শ্রেনীর প্রতিনিধি। এই রাজনৈতিক দলগুলিই এ দল ও দলের নিন্দা করে মুলত জনগনকে ধোকা বোকা বানিয়ে নিজেদের, ধার্মিক ধনীদের ধন সম্পদ রক্খা ও বৃদ্ধি করতে কাজ করছে।

কম সংখ্যক ধার্মিক ধনীরা বেশীরভাগ সম্পদের মালিক যা দিয়ে বেশীরভাগ ধনীরা তাদের শিশুদের বেশী খরচে দামী স্কুলে আর অগাধ ধন সম্পদ দিয়ে ৬০উ্ের্ধা জীবন বেশ আরাম আয়েশে উপভোগ করেন। অবশ্যই আপনারা ধার্মিক ধনীরা জীবন বেশ আরাম আয়েশে উপভোগ করুন এবং ভাবুন জীবন আরাম আয়েশে ভোগ করার পরও যা সম্পদ অতিরিক্ত থাকে তা দিয়ে পর্যায়ক্রমে সকল ধার্মিক শ্রমিক গরীব মানুষের নিরাপদ ঘর স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা,পয়:নিস্কাসন, কাজ ও স্বনির্ভর করা যায়, ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুদের ফ্রি রেশন কার্ড দেওয়া যায় যে রেশন কার্ডের মাধ্যমে জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শিশু সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম লেখাপড়া,সম চিকিৎসা খরচ পাবে এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে স্বয়ং রাষ্ট্র নিজে সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সম খাবার,সম কাপড়,সমঘর,সম যতœ ,সম চিকিৎসা পরিচালনা করতে পারেন। অবশ্যই সংলাপে বসুন এবং জনগণের কাছে অংগীকার করুন আমরা যে দলই ক্ষমতায় যাই ০-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুর সকল দায়িত্ব এবং ৬০ উর্দ্ধো সকল বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সকল দায়িত্ব আমরা ধার্মিক ধনী মালিক শ্রেনী এবং রাষ্ট্র ও সরকার আমরা পালন করবো। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।