আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

. . .আর আমার পারিশ্রমিক ছিল তাঁর চোঁখ ছলছল করে উঠা কৃতগ্ঞ মুখ।

সবাই বলে আমি নাকি অনেক সুখি মানুষ. . .

ফটোগ্রাফির শখ কবে থেকে ঠিক বলতে পারবো না, তবে এটুকু বলতে পারি যে হাতে কলমে ফটোগ্রাফির শুরু আজ থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে। তখন থেকে আজ অবদি আমার ফটোগ্রাফির এক মাত্র সঙ্গি আমার ছোট্ট মোবাইল ফোন। আমার ফোনই আমার ডিএসএলআর। তবে এর পশাপাশি একটু একটু করে টাকা জমাচ্ছি একটা ডিএসএলআর কেনার জন্য। আসল কথায় আসা যাক।

আমারদের বাসায় একটা পরিবার ভাড়া ছিল। তারা আর্থিক ভাবে খুন একটা সচ্ছল নয়। ঐ পরিবারে ছিল জামাই-বউ আর তাদের দুই ছেলে। তো ঐ পরবারের কর্তা একটা এক সময় অর্থ আয়ের দায়ে একদিন বিদেশে পারি জমায়। আর তার পরিবার ঐ মাস শেষে গ্রামে চলে যাবে।

ঐ পরিবারে বউ ছিলেন অন্তসত্তা। যে মাসে তার স্বামি চলে গেল সে মাসেই তার একটা ফুটফুটে একটা মেয়ে হল। তবে তার স্বামির তার মেয়েকে দেখে যাওয়া আর হয়নি। তাই তিনি বিদেশ থেকে একতাই কথা বলতেন, মেয়ের ছবি পাঠাও। মহিলা স্টুডিওতে ছবি তুলতে যাওয়ার সাহস করছিলেন না।

কারন মাসের শেষ, আর স্টুডিওতে ছবি তুলতেও হয়তো অনেক টাকা লাগবে। আর এদিকে আমি ফটোগ্রাফার হিসেবে মোটামুটি স্বীকৃত। এই স্বীকৃতির জন্য অনেক আংশে দায়ি আমার আম্মু। তাই ঐ মহিলা ভয়ে ভয়ে আমারর আম্মুকে বললো যদি আম্মু আমাকে একটু বলে ওনার মেয়ের কয়েকটা ছবি তুলে দিতে। জীবনে অনেক ছবি তুলেছি, অনেকের ছবি তুলেছি; তবে হয়তো এমন সুজোগ খুব কমি পাবো।

কারন জানি এই ছবিগুলো ঐ ভদ্র মহিলা আজীবন আগলে রাখবে। এই ছবি গুলো হবে তার অমূল্য সম্পদ। তার বদৌলতে হয়তো আমার ফটোগ্রাফি একটু হলেও এগিয়ে যাবে। আমি খুব আগ্রহের সাথে ছবি তুলে দিলাম। তবে আমি শুধু কয়েকটায় সন্তুষ্ট হতে পারলাম না।

ততোক্ষন পর্যন্ত তুলে দিলাম যতোক্ষন আমার আপত্তি না মিটলো। আর আমার পারিশ্রমিক ছিল তাঁর চোঁখ ছলছল করে উঠা কৃতগ্ঞ মুখ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।