তারা বলে সম্ভব না, আমি বলি সম্ভাবনা
রগকাটা শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা ও জামাতের মিডিয়া টাইকুন মীর কাশেম আলী স্বাধীনতা বিরোধী ওই দলটির সবচেয়ে অর্থশালী ব্যক্তিও। ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা হাসপাতাল, নয়া দিগন্ত, দিগন্ত টেলিভিশন এর অন্যতম কর্তাব্যক্তি।
রাবেতা আলমে আল ইসলামীসহ আরব-ভিত্তিক বেশকিছু আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠনের সঙ্গে তার রয়েছে তিন দশকের সম্পর্ক।
তৎকালীন ছাত্র সংঘের এই ধুরন্ধর নেতা ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম কলেজকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলে ছিলেন রাজাকার, আল বদর ও আল শামস এর ক্যান্টনমেন্ট। চট্টগ্রামের বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই নরঘাতক।
এখনও চট্টগ্রামের চকবাজার, গনি বেকারী, আন্দরকিল্লা, পাঁচলাইশ এবং এর আশেপাশের এলাকার চল্লিশোর্ধ মানুষেরা এই ঘাতকের নাম শুনলে ভয়ে শিউরে ওঠেন।
রাজাকার কাশেম আলী একদিকে যেমন দুরন্ত সাহসী তেমনি রয়েছে চতুর বুদ্ধি। জামাতের অনেক নেতার বিপূল অর্থবিত্ত থাকলেও তারা কেউ মিডিয়া খাতে বিনিয়োগের কথা চিন্তাও করেন নি। সবেধন নীলমনি দৈনিক সংগ্রাম নিয়ে তারা সন্তুষ্ট ছিল। রাজাকার কাশেম -ই প্রথম মিডিয়া সেক্টরে বিনিয়োগ করে শিবিরের কয়েকশ' ক্যাডারের পুনর্বাসন করেন।
ব্যক্তি কাশেম আলী সম্পর্কে যতদূর জানা যায়, অভাব-অনটনেই জীবনের শুরুটা হয়েছিল। কিন্তু আজকে দেশের শীর্ষ সম্পদ-শালাদের (!) তালিকা তৈরী করলে কাশেম আলীর নাম প্রথম দিকেই থাকবে বলে তার সঙ্গে ঘণিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।
তার মালিকানাধীন কেয়ারী গ্রুপের বিপনী বিতান, এ্যাপার্টমেন্ট সহ সহস্রাধিক স্থাপনা রয়েছে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সহ দেশের গুরত্বপূর্ণ এলাকায়। কেয়ারী সিন্দবাদের প্রমোদ-ভ্রমন তরী সহ রয়েছে সমুদ্রগামী জাহাজের বানিজ্য।
জামাতের আন্তর্জাতিক কানেকশনের মূল দায়িত্ব পালন করে থাকেন এই কাশেম আলী।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাবেতা আলমে আল ইসলামীর কোটি কোটি টাকাই কাশেম আলীর অর্থের মূল উৎস বলে ধারণা করছেন তার সঙ্গে সংশিষ্টরা।
গত তিন দশকে বাংলাদেশের এই পবিত্র মাটিতে ঘাতক কাশেম আলীর কার্যকলাপ পর্যালোচনা করলে, তাকে গো: আজম, নিজামী, মুজাহিদদের চেয়েও দেশের জন্য ক্ষতিকারক প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করা দুধের শিশুর জন্যও কষ্টকর হবেনা।
সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাঝে মধ্যে আস্ফালন করলেও কাজের বেলায় যে ঠুঁটো জগন্নাথ, কাশেম আলীর পলায়নের চেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ আর কী-ই বা থাকতে পারে।
দেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে, যদি না কাশেম আলীর মত সত্যিকারের খুনী রাজাকারদের বিচারের কাঠগড়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া না যায়।
আসুন রাজাকারদের পন্য বর্জণ করি।
অর্থহীন বিতর্ক, আর বিবাদ সৃষ্টি না করে আসুন পলায়নপর খুনী, ধর্ষক, লুটেরা >>> রাজাকার, আল বদর, আল শামসদের পালানোর পথ রুদ্ধ করি, তাদেরকে বিচারের আদালতে তুলে দেই। ওদের নির্মমতার সমুচিত শাস্তি দেয়ার জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত সময় আপনার জীবদ্ধায় আর পাবেন না।
তবে কেউ যেন গোলা জলে মাছ শিকার না করে সে বিষয়ে সাবধান হতে হবে। আর নিরাপরাধ কেউ যেন ভুল শাস্তি না পায় সে বিষয়েও আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন, মীর কাশেম আলী: (ব্যক্তিগত সহকারী রিসিভ করতে পারেন) : ০১৮১৯ - ২১৫৯৪৪
অথবা হেলাল হুমায়ুন (চট্টগ্রামের কুখ্যাত আলবদর নেতা ও ৭১ সালে মীর কাশেম আলীর বিশ্বস্ত সহযোগী ) : ০১৭১১৭২২২১৮।
*** কারও কাছে এই রাজাকারের ছবি থাকলে দয়া করে এই পোষ্টে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: আজকের প্রথম আলুতে >>>>
মীর কাশেম আলী দেশ ছেড়েছেন!
জামায়াতের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাশেম আলী বিদেশে গেছেন। গত ২৪ মার্চ সকালে তিনি কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ঢাকা ছেড়ে যান। ইমিগ্রেশন ও গোয়েন্দা সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর প্রাক্কালে মীর কাশেম আলীর এই বিদেশ গমনকে সরকারি কর্তৃপক্ষ দেশ ছেড়ে যাওয়া হিসেবে দেখছেন।
কারণ তাঁর বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ করার অভিযোগ আছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ২৬ মার্চ রাজারবাগে বলেছিলেন, সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদের কাউকে দেশ থেকে পালাতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে বিমানবন্দরসহ সব বন্দরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশনের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার যে তালিকা বিমানবন্দরে পাঠিয়েছে, তা আসে মীর কাশেম চলে যাওয়ার পরদিন। এ কারণে তাঁকে বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হয়নি।
সরকারের তালিকায় অন্যদের সঙ্গে মীর কাশেম আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
মীর কাশেম আলীর এ সময়ে বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, কাতার এয়ারের কিউআর-৩৪৫ ফ্লাইটে মীর কাশেম আলী ২৪ মার্চ সকাল আটটা ৫০ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে যান। তাঁর গন্তব্য ছিল দুবাই হয়ে সৌদি আরব। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে আছেন বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মীর কাশেম আলীর সঙ্গে তাঁর পুত্র মীর আরমান আলী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এনামুল হকও ছিলেন। ঢাকা ত্যাগের সময় তাঁরা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করেন।
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, মীর কাশেম আলী বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় আওয়ামী লীগের এক সাংসদ বিদেশ থেকে ফিরছিলেন। তিনি কাশেম আলী কীভাবে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে বিদেশে যাচ্ছেন, তা জানতে চাইলে হইচই শুরু হয়। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়।
ততক্ষণে তিনি চলে গেছেন। পরে লাউঞ্জ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।
মীর কাশেম আলী বর্তমানে দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, ইবনে সিনা ট্রাস্টের সদস্য (প্রশাসন) এবং কেয়ারি হাউজিং ও ইডেন শিপিং লাইনসের চেয়ারম্যান। তিনি রাবেতা আলম আল ইসলামীর এদেশীয় পরিচালক।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, মীর কাশেম আলী কীভাবে দেশ ত্যাগ করলেন, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত।
সূত্র:
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।