কত আজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই দূরকে করিলে নিকট,বন্ধু, পরকে করিলে ভাই।
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। সারা দেশের আপামর জনতা এই দিনটি উদ্যাপন করে। হত দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষটিও একবার আকাশের দিকে তাকায়। সরকার এবং বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান নানামুখি কর্মসূচীর মাধ্যমে দিনটি পালন করে।
এই সব কর্মর্সূচীর আনেক কিছুই আমরা জানি।
যেমন জানি সাভারের স্মৃতীসৌধে ফুল দেবার কথা। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্বাধীনতা স্তম্ভে বা শহীদ মিনারে বা যেখানে শহীদ মিনার নেই সেখানে আমাদের জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানিয়ে দিন শুরু করা হয়। প্রতিটি জেলায় পৌরসভার কার্যালয়ে রাত বারটায় একুশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনটি শুরু হয়।
কিন্তু আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা আমাদের রেলওয়ে বিভাগ কিভাবে এই দিন শুরু করে।
ঠিক রাত ১২টা ১মিনিটে সারা বাংলাদেশের যে কয়টি লোকশেড আছে তার সব গুলিতে যতগুলি লোকমোটিভ থাকবে সবগুলি লোকমোটিভ একযোগে পুর্ন একমিনিট হুইসিল দিবে। শুধু ২৬শে মার্চ নয় ১৬ই ডিসেম্বর ও তারা একই ভাবে উদ্যাপন করা শুরু করে।
হুইসিলের শব্দ চারিদিকের নিস্তব্দতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে এক সুরে মাতম তুলে। আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে লোকমোটিভগুলির হুইসিলের শব্দ যেন বলে দেয় আজ আমরা স্বাধীন। এই স্বাধীনতা রক্ত মূল্যে কেনা।
অনেক অপমান, লাঞ্চনা, অনেক আত্মত্যাগে পাওয়া।
আমি সমস্ত ত্যাগ , লাঞ্চনা, অপমান, এমন কি রক্তমূল্যেরও নাম দিলাম কষ্ট। এই কষ্টের নাম প্রসব বেদনা। একটি দেশের জন্ম এই বেদনা থেকেই।
হুইসিলের শব্দ শুনতে শুনতে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত উঠে যায় উপরে শক্তচোয়াল টান ধরে থাকা কন্ঠনালী যেন চিৎকার করে বলতে চায় এদেশ আমাদের ।
এ দেশ আমার তোমার। এদেশ মুসলমান, হিন্দু, খ্রীষ্টান,বৌদ্ধসহ সকল ধর্মাম্বলী বাংলাদেশের অধিবাসী। এ দেশ বাংলাদেশের বাঙ্গালী।
এ দেশ নয় কোন শকুনের, শিয়ালের হায়নার নেকরের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।