আমি আমার আনন্দে লিখি!!!
আকাশ কাল দেখে হামিদ মিয়া বের হয়ে যায়, আজকে বৃস্টি নামবে, একি সাথে তীব্র ভালো লাগা ও খারাপ লাগা কাজ করে কেন জানি এরকম অবস্থায় হামিদ মিয়ার। এরকম ঘনঘোর আকাশ দেখলেই হামিদ মিয়ার এই অনুভূতি তীব্র হয়! স্যারে গ্যাস আনতে দিছে, গ্যাস আনতে সিরিয়াল দিতে হয়, লম্বা লাইন, আগের গ্যাসে ঘুরা যায়, হামিদ মিয়া গাড়ী নিয়া ঘুরতে বের হয়! শিশুমেলা দিয়া বায়ে ঢুকে আস্তে ধীরে ধীরে বিজয় সরনীর দিকে আগায় হামিদ। রাস্তার পাশে ঘ্যাঁচ করে ব্রেক করে সোহেলের দোকানের পাশে, দশ টাকার নোটের বদলে বেনসন চায় হামিদ সোহেলের কাছে, এক টাকার ভাংতির মিন মিন বড্ড অসহ্য লাগে, লাগব না বলে চিৎকার করে।আজকে সে স্যার, বড় স্যার!
বিজয় সরণীর মোড়ে একটা বিশাল প্লেন আছে, ধুম ধারাক্কার বৃস্টির মাঝে সেই প্লেনের নীচে দাঁড়ানো যায়, গায়ে ছাঁট লাগে না, সেই প্লেন কে গোল করে ঘিরে চক্কর খায় হামিদের প্রিমিও এফ! এরকম এক বৃস্টির দিনে সে আর মিনতি দাড়াঁয়ে ছিল, মিনতি ভিজতে চায়নি, বৃস্টিতে কাপঁছিল, বলছিল সে পারবে না, কি পারবে না তখন বোঝেনি হামিদ মিয়া, এতদিনে সে বুঝতে পারেনি সে, সে কি পারবে না, কেন পারবে না! তার মনে হইছিল মিনতিকে জড়ায়ে ধরে থাকা দরকার, ঝুম বৃস্টিতে বড্ড শীত করছিল, আর মিনতি কাপঁছিল! হামিদ জড়ায়ে ধরেছিল, মিনতি আপত্তি করেনি! সেই প্লেন, সে চৌরাস্তা, সেই বিজয় সরনী আজকে হামিদ ঘুরতে বের হয়েছে, নাহয় মিনতি নেই পাশে, তবু স্মৃতি তো আছে!
সে আজকে স্যার, বড় স্যার!
হঠাৎ প্লেনটাকে খুব আপন মনে হয়, গাড়ি সংসদে পার্ক করে, হেঁটে প্লেনটার কাছে যায় হামিদ, বৃস্টিতে অলস ট্রাফিক, ঝিম ধরা পুলিশ বাধা দেয় না, সে হেঁটে যায় সেই উড়োজাহাজের কাছে, ছুঁয়ে ছুঁয়ে মিনতিকে অনুভব করে, বুকের ভেতর কোথাও হাহাকার নেই, এইতো, এই যে মিনতি। এই যে সেই বৃস্টি! মিনতির গন্ধ যেন ফিরে ফিরে আসে!!! হয়ত বৃস্টি ধুয়ে দিয়েছিল তার আর মিনতির শরীরের গন্ধ!!
সে আজ স্যার, বড় স্যার, হামিদ স্যার!!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।