পেলের সঙ্গে সান্তোসে খেলেছেন, খেলেছেন জাতীয় দলে। ব্রাজিলের হয়ে পরপর জিতেছেন ১৯৫৮ ও ১৯৬২-এর বিশ্বকাপ। আর কোনো গোলরক্ষকেরই টানা দুটি বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি নেই। ক্লাব ফুটবলেও অসাধারণ তাঁর কীর্তি—জিতেছেন দুটি কোপা লিবার্তাদোরেস, দুটি ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ ও পাঁচটি পলিস্তা রাজ্য শিরোপা। এতসব পালক যাঁর মুকুটে ছিল, সেই গিলমার দস সান্তোস নেভেস পাড়ি জমালেন অন্যলোকে।
গত পরশু ৮৩ বছর বয়সে সাও পাওলোতে মারা গেছেন এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি।
দুর্দান্ত সব অর্জনই বলে দিচ্ছে খেলোয়াড় হিসেবে কতটা বড় ছিলেন। ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিক জুকা কেফুরি তো বলেছেন, ‘ব্রাজিলে তাঁর মতো গোলরক্ষক কখনো আসেনি, আর আসবেও না কখনো। ’
ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সান্তোসের ক্লাব জাবাকুরায়। সেখান থেকে এক বছরের মধ্যেই নাম লেখান করিন্থিয়ানসে।
তাদের হয়েও পলিস্তা রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন তিনবার। জাতীয় দলে এবং সান্তোসে পেলের সঙ্গে অসাধারণ সব অর্জনের অংশীদার। তাঁকে তাই বলা হতো ‘পেলের গোলরক্ষক’। ব্রাজিলের গোলপোস্ট আগলেছেন ১০৪টি ম্যাচে, হারের স্বাদ পেয়েছেন মাত্র ১৬টিতে!
গত এক মাসের মধ্যে ১৯৫৮ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের তিনজন সদস্য চলে গেলেন পৃথিবী ছেড়ে। দালমা সান্তোসের পর গত শনিবার মারা গেলেন নিলটন ডে সরদি।
রক্ষণের দুই ভরসার পর চলে গেলেন শেষ প্রহরী গিলমারও। রয়টার্স। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।