"In dying we are born to eternal lifeand fly as bird over the sea" " মৃত্যু মাত্রই আমরা জন্মি এক অমর জীবনে এবং সমুদ্দুর পথে উড়তে থাকি পাখিদের মতন।" www.deshbidesh.tk
Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift: কিসে মানুষের পরিচয়?হ্যাঁ, অস্ট্রেলিয়ার নরি মে-ওয়েলবি ঠিক তাই৷ এমনকি তাঁর সরকারি ‘‘লিঙ্গ অনির্দ্দিষ্ট’’ সার্টিফিকেটও আছে৷ এক হিসেবে মে-ওয়েলবি সব মানুষের সমান মর্যাদার জন্য আন্দোলন করছেন৷
নরি মে-ওয়েলবি অস্ট্রেলিয়াতে আসেন সাত বছর বয়সে৷ তাঁর জেন্ডার এ্যাসাইনমেন্ট বা লিঙ্গ নির্দ্দিষ্টকরণ অপারেশন হয় ১৯৮৩ সালে, তাঁর ২১ বছর বয়সে৷ তার পর পরই মে-ওয়েলবি তাঁর হর্মোন ট্রিটমেন্ট বন্ধ করেন, কেননা তিনি নিজেকে পুরোপুরি নারী অথবা পুরুষ বলে মনে করেন না৷ বুধবার নরি মে-ওয়েলবি সিডনি'র রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ‘‘লিঙ্গ অনির্দ্দিষ্ট'' সার্টিফিকেটটি পেলেন, যা কিনা তাঁর আগে অস্ট্রেলিয়ায় আর কাউকে দেওয়া হয়নি৷ এ-বিষয়ে মে-ওয়েলবি সিডনি স্টার অবজার্ভার পত্রিকাকে বলেছেন: ‘‘ওটা শুধু এক টুকরো কাগজ, কিন্তু তা বিশ্বকে বদলানোর ক্ষমতা রাখে৷... ওটার মানে হল যে, আমি যখনই কোনো ফর্ম ফিল-আপ করি আর কেউ জিগ্যেস করে, ‘আপনি মিস্টার না মিস?' - আমি বলতে পারি, আমি দু'টোর কোনোটাই নয়৷ এই দেখুন তার কাগজ, লেখা আছে, অনুগ্রহ করে মেনে চলুন৷''
‘‘লিঙ্গবিহীন'' পাসপোর্ট
মে-ওয়েলবি'র ডাক্তাররা নিউ সাউথ ওয়েল্স-এর জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন যে, মে-ওয়েলবি'কে স্ত্রী কি পুরুষ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা সম্ভব নয়, কাজেই তাঁকে লিঙ্গবিহীন বলে সনাক্ত করা উচিৎ৷ কর্তৃপক্ষ সেই সার্টিফিকেট প্রদান করেন, যার বলে একটি ব্যাঙ্ক মে-ওয়েলবি'র এ্যাকাউন্টের খুঁটিনাটি বদলাতে বাধ্য হয়েছে৷ মে-ওয়েলবি'র স্কটিশ বার্থ সার্টিফিকেটেও ‘‘কোনো বিশেষ লিঙ্গ নেই'' লিপিবদ্ধ করা হয়েছে৷ এর পরে অভিবাসন বিভাগের কাছে একটি ‘‘লিঙ্গ নির্দ্দিষ্ট করা নেই'' পাসপোর্টের আবেদন যাবে৷
সমমর্যাদার প্রশ্ন
স্বভাবতই এই ইন্টারনেটের যুগে মে-ওয়েলবি'র একটি নিজস্ব ব্লগ আছে৷ সেই ব্লগে মে-ওয়েলবি স্বচ্ছন্দে লিখছেন: ‘‘আমি সুবিধার জন্য মহিলাদের টয়লেট ব্যবহার করতে পারি৷ আবার আমি সুইমিং পুলে পুরুষদের কাপড় বদলানোর ঘরটা ব্যবহার করি, বিশেষ করে আমার সমকামী বন্ধুরা যদি আমার সঙ্গে থাকে৷'' কিন্তু এটা হল পুরো সমস্যার হালকা দিকটা৷ আরেক দৃষ্টিকোণ থেকে মে-ওয়েলবি লিঙ্গবিহীন হিসেবে তাঁর স্বীকৃতিকে একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় প্রথম পদক্ষেপ বলে গণ্য করছেন: যে প্রক্রিয়ার অন্তে পাসপোর্ট এবং অপরাপর নথিপত্রে সনাক্তকরণের জন্য ধর্ম, জাতি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যকে ব্যবহার করা হবে না৷ মে-ওয়েলবি তাঁর ব্লগে লিখেছেন: ‘‘আমরা সামাজিক নিয়মকে অপরিবর্তনীয় বলে মনে করি, কিন্তু তারাও বদলায়, যখন সমাজ প্রত্যেকটি মানুষকে সমান মূ্ল্য দিতে শেখে - জাতি, বৈবাহিক পরিস্থিতি, যৌনতা এবং লিঙ্গ ইত্যাদির উপর নির্ভর কোনোরকম পূর্বসংস্কার এবং পছন্দ-অপছন্দ ছাড়াই৷''
কথাটা ভেবে দেখার মতো, নয় কি?
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার
সূত্রঃ
Click This Link
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।