আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কে এই রথ চাইল্ড ? (কিংবা দুনিয়াতে আমরা এত খারাপ আছি কেন?) - পর্ব ২

পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি

সংশ্লিষ্ট পোস্ট সমূহ ঃ প্রথম পর্ব ডি পপুলেশন ৩০০ কোটি মৃত্যু --------------------------------- যারা উপরের তিনটি পোস্ট পড়ে এসে এই পোস্ট পড়বেন, তাঁদের হয়ত সামান্য খটকা লাগতে পারে যে পোস্ট তিনটি কি ভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়? প্রথম পর্বে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনকুবের পরিবার রথচাইল্ড বা রথশাইল্ড যাদের বর্তমান সম্পদের আনুমানিক পরিমাণ ৫০০ ট্রিলিওন ডলার । এইটা ঠিক কত পরিমাণ টাকা সেইটা বুঝতে হলে আপনাকে কল্পনা করতে হবে যে এই পরিবারটি একাই তাদের ব্যাংক, ভাইন ইয়ার্ড , লাক্সারি রিসোর্ট সহ নামে বেনামে যত সম্পত্তির মালিক তাদিয়ে ইচ্ছা করলেই তারা সম্পূর্ণ পৃথিবীর ৬০০ কোটি মানুষের খাদ্য, কাপড় ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে । ডিপপুলেশন পোস্টটি সম্পর্কযুক্ত এই কারণে যে রথচাইল্ড পরিবার এই মানুষ কমিয়ে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলার যে নীল নক্সা হচ্ছে তার সাথে সরাসরি জড়িত এবং এই সম্পর্ক আজকের নয় । এই সম্পর্ক শত বছরের পুরনো । ৩০০ কটি মানুষের মৃত্যু সেই পরিকল্পনার একটি অন্যতম পথ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।

অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন যে ৩০০ কোটি মানুষ ( মানে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক ) মেরে ফেলবে ? তাও কি করে সম্ভব! এইটা অসম্ভব কিছু না । যারা মানুষকে একটি তেলাপোকার চেয়ে বড় কিছু মনে করে না তাদের জন্য এইটা কিছুই না । এরা নিজেদের দেশের মানুষের উপর হত্যা, লুন্ঠন , ধর্ষন ও শঠতা চালিয়েছে । এরা নিজেদের পরিবারের ভিতর পারস্পরিক বিয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিয়েছে । হিরোশিমা, নাগাসাকি, দুইটা বিশ্বযুদ্ধ , ভিয়েতনাম , দুইটা ইরাকযুদ্ধ , সবই এদের সৃষ্টি ।

টুইন টাওয়ার ও তাই । সুতরাং, আর যাই হোক, এদের কাছে দয়া করে মানবতা আশা করবেন না । ------------------------------- রথচাইল্ডের ২য় পর্ব লিখতে গিয়ে আমাকে প্রচুর পড়তে হয়েছে । কারণ অর্থনীতি, রাজনীতি, যুদ্ধ , ইতিহাস , মানব সভ্যতার বিবর্তন , ধর্ম , প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা - এইসব আমার পড়ালেখা বা পেশা সংক্রান্ত বিষয় নয় । আমি পড়ি তার একটাই কারন, আমার অনিয়ন্ত্রিত কৌতুহল।

১ম পর্ব লেখার পরে আমি আসলে পড়ছিলাম। উপরে যতগুলা বিষয় এর নাম উল্লেখ করলাম - একটা করে ঘটনা ঘটে আর আমি পড়তে লেগে যাই। আমার নেশা হইলো মানুষ । তাই মানুষের জীবনের সব কয়টা বিষয়ই আমার পড়ার বিষয় । এইভাবে সর্বভূকের মতন পড়তে গিয়ে আমার নজরে এলো দুনিয়ার তাবৎ দুর্ঘটনা এবং ভালো ঘটনা, যত বড় বড় টাকা পয়সা লেন দেন ও বিপর্যয় , পলিটিকাল ঝামেলা -- সব কয়টার সাথেই কিছু নাম , কিছু সংস্থার সংশ্লিষ্টতা বার বার চোখে পড়ছে ।

তাদের নাম সব সময় সরাসরি বুঝা যায় না । কিন্তু একটু পেছন ঘাটলেই আর একটু জানা শোনা থাকলেই কেমন যেন সব খাপে খাপে মিলে যেতে থাকে । ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম যে , লীগ - বি এন পি- জাতীয় পার্টি- জামাত- গণ ফোরাম- সুশীল- সেক্টর কমান্ডারস- মিডিয়া ; এরা বাইরে বাইরে সবাই খুউউব শত্রু শত্রু কিংবা কেউ কারো না । কিন্তু একটু খুড়াখুড়ি শুরু করতেই দেখা গেলো এরা সকলেই ব্যাংক, ব্যবসা, বিয়ে, আত্মীয়তা , অস্ত্র লেন দেন , চোরাচালান , ক্ষমতা, সমাজ সেবা , পাবলিক প্রাইভেট সব মিলিয়ে একে অপরের সাথে যুক্ত । আমরা কেউ জানি না ! একবার শুনেছিলাম রাশেদ খান মেনন ও তার ভাইয়েরা নাকি এক এক জন এক এক দল করেন।

তারমানে যেই দলই ক্ষমতায় যাক, মেননের পরিবার সুরক্ষিত । আমেরিকার নির্বাচন নিয়েও অনেকেই এই কথা বলেন এখন। এই সব লিবারেল- ডেমোক্রাট কিছু না । কে প্রেসিডেন্ট হবে তা ১০-২০ বছর আগে থেকেই ঠিক করা থাকে । কিন্তু তার চেয়েও ভয়ংকর সত্য হইলো , আমেরিকার প্রেসিডেন্ট একটা পুতুল মাত্র।

আমেরিকা চালায় কয়েকটি নয়, একটি মাত্র কর্পোরেশন যার নাম " দা ক্রাউন কর্পোরেশন"। স্বাভাবিক ভাবেই প্রেসিডেন্টের কিস্যু করার ক্ষমতা নাই। কিন্তু এই সব আজিব কাহানীর শানে নুযুল কি? এর পিছন ঘাটতে গিয়েই বেরিয়ে এলো বিশাল সে ইতিহাস । হলিউডের মুভির মত মনে হবে । হতেই পারে ।

কারণ হলিউডের মালিকানা যে তাদের হাতে! লর্ড অফ দা রিংগস, ম্যাট্রিক্স, দা ভিঞ্চি কোড , ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডার , কিংবা উপরের পোস্ট গুলার মতন ছাড়া ছাড়া ভাবে দেখলে কোনদিনই আপনি বুঝবেন না ( যেমন আমিও বুঝিনি) কিভাবে এরা একই কাহিনীর ভিন্ন ভিন্ন পাতা , শাখা প্রশাখা । বুঝতে হলে কোন একটি গল্প নয়, আপনাকে মাল্টিস্টোরী শুনতে হবে আর শুরু করতে হবে ঠিক আব্রাহাম নামক এক ব্যক্তির সময় মিশর - ইজিপ্টের সময় থেকে । এই আব্রাহাম বর্তমান পৃথিবীর প্রধান তিনটি ধর্ম ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলামের আদি পিতা । তাই এই কাহিনীতে ধর্ম আসবে । আসবে যুদ্ধ ।

আসবে ইতিহাস । আসবে আজকের ৬০০ কোটি মানুষ আদিতে যেখান থেকে তাদের যাত্রা শুরু করেছিলো , সেই সময় থেকে আজকের জামানা পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার পিছনের কল কাঠি নাড়া একটি গোষ্ঠীর উত্থানের কথা । এই গল্পের সবটুকুই আছে দুইটা ভিডিওতে । আমার জন্য সবচেয়ে সহজ হয় যদি আপনারা নিজেরা দেখে নেন। কিন্তু , গুগুল ভিডিওতে এইটার দুপর্বের সময়কাল হইলো প্রায় ৫ ঘন্টা ৩ মিনিট ।

ডকুমেন্টারির প্রডিউসার একজন সাংবাদিক যার বাবা একজন ফ্রিমেসন। শিশুকালে বাবার হাতে একটি সিম্বলিক আংটি দেখে এবং সিক্রেট মিটিং করার নিয়ে বাপ মার ঝগড়া থেকে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেন জানার জন্য। পরে ৪ বছর ধরে গবেষনা করে বের করেন এই ফ্রি মেসন, ইলুমিনাতি এবং মজার ব্যাপার আজকের ইসলাম, খ্রিস্টান, মধ্যপ্রাচ্য সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদির সম্পর্ক । আমি লিংক দিয়ে দেব এবং চেষ্টা করবো চুম্বক অংশ গুলো বর্ননা করতে । আপনারা কি জানেন ? আমেরিকা , বৃটেন ও ইতালিতে তিনটা স্বাধীন নগররাষ্ট্র আছে যারা তিনটা মিলে একটি কর্পোরেশন চালায় , যার নাম 'দা ক্রাউন কর্পোরেশন'।

অবাক ব্যাপার না? একটা স্বাধীন দেশের মধ্যেখানে কি করে আরেকটা স্বাধীন নগর রাষ্ট্র থাকে? আবার তারা তিনটা ভিন্ন ভিন্ন দেশে ও দুইটা মহাদেশে থেকেও একই কর্পোরেশন হয় কি করে? আশ্চর্য হলেও এটাই সত্য। 'সিটি অফ ভ্যাটিকান' এর কথা সবাই জানেন। এইটা একটা স্বাধীন রাষ্ট্র। জনসংখ্যা ১০০০। প্রধান ক্ষমতা পোপের হাতে ।

সম্পত্তির পরিমাণ ? অকল্পনীয় রকমের বেশি। কিন্তু খোদ আমেরিকানরাও জানে না তাদের স্বাধীন ও স্বার্বভৌম ( তথাকথিত) রাষ্ট্রের মধ্যেখানে একটি স্বাধীন নগর রাষ্ট্র আছে । এর নাম "সিটি অফ কলম্বিয়া" । সমগ্র আমেরিকার অর্থনীতি এবং টাকা ( এবং ক্ষমতা) নিয়ন্ত্রন করে এই "ভিন্ন রাষ্ট্র" এর ফেডারেল রিজার্ভ নামক একটি প্রাইভেট ব্যাংক । জ্বি হ্যাঁ , ফেডারেল রিজার্ভ আসলে পাবলিক নয়, একটি প্রাইভেট ব্যাংক যারা ইচ্ছা মত ডলার ছাপায় , আমেরিকান জনগণের ট্যাক্স কালেক্ট করে (!!!!) এবং চড়া সুদে সেই ট্যাক্সের টাকা আমেরিকাকে ধার দেয় দেশ চালানোর জন্য ।

আমেরিকার সরকার ও ২৩ কোটি নাগরিক এই রাষ্ট্রের ধারের টাকার উপর নির্ভরশীল এবং আমেরিকান সরকারের ক্ষমতা নেই এই কলম্বিয়ার স্বার্থবিরোধী এবং জনগণের কল্যাণমূখী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের। বৃটেনের রাজধানী লন্ডন এর ভিতরে আছে আরেকটি স্বাধীন নগর রাষ্ট্র। এইটারে বলে সিটি অফ লন্ডন , তবে লন্ডনের ভিতরে লন্ডন। এইটার নিজস্ব পতাকা, সিকিউরিটি ফোর্স । বৃটেনের রানী ও দেশের সমস্ত গোল্ড ( তার মানে পাউন্ডের নিয়ন্ত্রন) এবং সারা পৃথিবীর সকল ব্যাংকের অফিস এর ভিতরে ।

বৃটেনের লোক জানেও না , তাদের টাকা পয়সা ও রাষ্ট্রনীতিতে তাদের কথার কানা কড়ি মূল্য নাই । বৃটেনের রানীকে পুতুল রানী হিসেবে সাজিয়ে দেখানো হলেও সকল ক্ষমতার ও অর্থের মালিক হইলো রানী। যেই ক্ষমতা তিনি ব্যবহার করেন না , কিন্তু চাইলেই করতে পারেন। [ কি চলবে আরো?]

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।