আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জর্জ বুশরে লৈয়া বহুল চর্বিত কিছু কৈতুক

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience
বুশের ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন পূর্তি হয়ে গেছে। সাংবাদিকেরা ছুটে গেল তাঁর কাছে, শতদিন পূর্তির প্রতিক্রিয়া জানতে, : হোয়াইট হাউসে এই ১০০টা দিন কেমন কাটল আপনার? বুশ যেন আকাশ থেকে পড়লেন, : বলো কী, এক বছর হয়ে গেছে! নানা কারণে বুশের ওপর ত্যক্তবিরক্ত এই মার্কিন বুড়ো গেছেন পানশালায়, গলা ভেজাতে। এমন সময় টিভিতে বুশের ভাষণ দেখানো শুরু হলো। বুড়ো চটে গিয়ে বলে উঠলেন, : আবার সেই গাধার কথা শুনতে হবে! এই কথা শুনে পানশালার রক্ষী রীতিমতো চটে গেলেন। বুশকে গাধার সঙ্গে তুলনা ! দিলেন বেদম মার।

মার খেয়ে ওই বুড়ো কাঁদো কাঁদো গলায় রক্ষীর কাছে জানতে চাইলেন, : ভাই, তুমি বুঝি বুশের খুব ভক্ত। নির্লিপ্ত কণ্ঠের জবাব এল, : না, আমি গাধার ভক্ত। বুশের তৃতীয় স্তরের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ইন্টারনেটে অজস্র কৌতুক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সত্যি বলতে কি, এর গোটাকয় কৌতুক বুশ নিজেও পড়েছেন। বলা বাহুল্য, এসব পড়ে বুশের মন খুব খারাপ।

তিনি ডেকে পাঠালেন তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধু ডিক চেনিকে, : ডিক, সবাই আমার বুদ্ধি নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করে। লোকে বলে, আমিই নাকি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বোকা লোক! চেনি মুখে বললেন, : কে বলেছে তোমাকে। আসলে গড়পড়তা যুক্তরাষ্ট্রের সবাই বোকা। আর মনে মনে বললেন, : তা না হলে তোমাকে ভোট দেয়! চেনির কথা শুনে বুশ একটু আশ্বস্ত হলেন, : তাই নাকি! চেনি বললেন, : চলো তোমাকে হাতে-কলমে প্রমাণ করে দিই। এই বলে বুশকে নিয়ে ডিক চেনি গিয়ে দাঁড়ালেন রাস্তায়।

এক ট্যাক্সিচালককে বললেন, : ওহে, আমাকে বাসায় নিয়ে চলো তো। গিয়ে দেখি আমি বাসায় আছি কি না। কথামতো চালক চেনিকে পৌঁছে দিলেন বাসায়। চেনি বুশকে বললেন, : দেখেছো, ব্যাটা কত বড় গর্দভ। আমি বাসায় আছি কি না সেই খোঁজ নেওয়ার জন্য আমাকেই কিনা বয়ে নিয়ে এল বাড়িতে।

বুশও বুঝতে পারলেন ব্যাপারটা, আর বুঝতে পেরেই চেনির ভুল ধরিয়ে দিলেন, : তাই তো! কিন্তু তুমি এত কষ্ট না করে বাসায় একটা ফোন দিয়ে দেখতে পারতে। টলতে টলতে বুশ এসে হাজির হলেন এক পানশালায়, : অ্যাই, আমাকে চার পেগ হুইস্কি দাও। টপাটপ চার গ্লাস লাল পানীয় নেমে গেল বুশের গলা বেয়ে। : অ্যাই, আমাকে এবার তিন পেগ হুইস্কি দাও। দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিন গ্লাস মদ সাবাড়।

বুশের কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি ঠিকমতো বসতেই পারছেন না। জড়ানো গলায়ই অর্ডার দিলেন, : অ্যাই, আমাকে এবার দুই পেগ হুইস্কি দাও। এবারও মদ হাজির হতে না হতেই চলে গেল বুশের পেটে। বার কয়ের হেঁচকি তুলে বুশ বললেন, : হিক্, ঘটনাটা কী ! যতই কম মদ খাচ্ছি, ততই বেশি মাতাল হচ্ছি।

হিক্। বুশ এবং কন্ডোলিৎসা রাইস বসেছেন ইরাক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে। আলোচনার বিষয়বস্তু ইরাকি জনগণের সর্বসাম্প্রতিক মানসিক অবস্থা। আলোচনা চলাকালীন সময়েই শুরু হল আল জাজিরার রাত্রিকালীন সংবাদ। বুশ এবং রাইস সংবাদের ফাঁকে ফাঁকেই আলোচনা চালিয়ে যেতে লাগলেন।

সংবাদের এক পর্যায়ে দেখানো হল, এক ইরাকি যুবক যুদ্ধের নির্মমতায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দশতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে বুশ রাইসের দিকে তাকিয়ে বললেন, : আচ্ছা রাইস, আমরা এতক্ষণ ইরাকি জনগণের মানসিক অবস্থা নিয়ে যে আলোচনা করলাম, তার ভিত্তিতে বলতো, এই লোকটা কি শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করবে? রাইস সংবাদটা সকালেও একবার দেখেছেন। কাজেই তিনি খুব ভালো করেই জানেন যে লোকটা আত্মহত্যা করবে কি না। কিন্তু সরাসরি সেটা স্বীকার না করে তিনি উত্তর দিলেন, : সংবাদে যেহেতু দেখাচ্ছে, তাহলেতো মনে হয় সে আত্মহত্যা করবেই। রাইসের কথা শুনে বুশ বললেন, : তুমি দেখি একেবারেই মহিলা গর্দভ।

তোমাকে বললাম এতক্ষণের আলোচনার উপর ভিত্তি করে বলতে আর তুমি কি না বললে সংবাদের উপর ভিত্তি করে। এই দেখ আমি বলছি, লোকটা মরে গেলেও আত্মহত্যা করবে না। তুমি ইচ্ছে করলে লিখেও রাখতে পার আমার কথা। আচ্ছা চল এক কাজ করি, আমরা বাজি ধরি। ৫০০ ডলার বাজি।

আমার কথা ঠিক হলে তুমি আমাকে ৫০০ ডলার দিবে আর তোমার কথা ঠিক হলে আমি তোমাকে ৫০০ ডলার দিব। ঠিক আছে? যথাসময়ে সংবাদ শেষ হল এবং দেখা গেলা যুবকটি সত্যি সত্যিই আত্মহত্যা করেছে। বুশ অত্যন্ত অবাক হয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে রইলেন এবং একটু পরপর বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন, : আত্মহত্যা করার তো কথা ছিল না। কে জানে এই সংবাদের পেছনে আল কায়েদার হাত আছে কি না? আলোচনা আর জমল না। রাইস বিদায় নিতে চাইলে বুশ মুখটাকে বাংলা পাঁচের মতো করে রাইসের হাতে বাজির ৫০০ ডলার তুলে দিলেন।

কিন্তু রাইস সেটা না নিয়ে বললেন, : স্যার, আমার আসলে এই ৫০০ ডলার নেওয়া উচিত না। কারণ আমি সংবাদটা সকালেই একবার দেখেছিলাম। আর তাই আমি জানতাম যে লোকটা আত্মহত্যা করবে। রাইসের কথা শুনে বুশ অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বললেন, : টাকাটা তুমিই রাখ। কারণ সকালে সংবাদটা আমিও দেখেছিলাম।

রাইস এবার বুশের দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁ করে চেয়ে থেকে শেষে কোনমতে তোতলাতে তোতলাতে বললেন, : কিন্তু মানে তাহলে স্যার, আপনি ভুল বললেন কেন? বুশ এবার আগের চেয়েও বিমর্ষ গলায় বললেন, : আরে, আমি কি আর জানতাম যে ঐ ইরাকি গাধার বাচ্চা গাধাটা সকালে একবার আত্মহত্যা করেছে, এখন আবার আত্মহত্যা করবে? [ ছবিগুলান ইন্টারনেট থেকে নেয়া.....]
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।