আকাশটা ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে
সদা হাসি-খুশি মানুষ, মদন। পূর্ণ নাম, মদন চন্দ্র রায়। বাড়ি সারদাহ, রাজশাহী। তার সাথে দেখা হয়ে ছিল সারদাহ পুলিশ একাডেমিতে, গত ৫ মার্চ দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মিনিটে। সেখানে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে গাড়িতে উঠেছিলাম সন্ধ্যা ৭টায়।
জ্যাম থাকায় ঢাকা থেকে বের হতেই অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। তাই সারদাহ পৌঁছাতে দেড়ি হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখি আমার জন্য নির্ধারিত ডাক বাংলো একাডেমি থেকে বেশ দূরে। রিক্সা বা ভ্যান পাওয়া অনিশ্চিত। দেখে সহজ সমাধান দিল মদন।
সে একাডেমিতেই চাকরি করে। মদন বলল ভাইয়া, আমার বাসায় চলেন। বাসা কাছেই। তবে একটু কষ্ট করে থাকতে হবে। মদনের প্রস্তাব শুনে আমার ছোট ভাই (যার এস আই ট্রেনিং সমাপ্তি উপলক্ষ্যেই আমাকে সারদাহ যেতে হয়েছিল) ইতস্তবোধ করছিল।
কিন্তু মদনকে দেখে আমার প্রথম থেকেই ভাল লেগেছিল। তাই ছোট ভাইয়ের অনিচ্ছা স্বত্বেও মদনকে বললাম, চল তোমাদের বাড়িতেই। সে খুব খুশি হয়েই বলল, চলেন। মদন এবং তার মায়ের আতিথেয়তায় সত্যিই আমি মুগ্ধ।
তো পরের দিন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সাড়ে ১০টায় মদনকে নিয়ে বের হলাম ঘুরে বেড়াতে।
বাঘা মসজিদ, পদ্মার পাড়, বরেন্দ্র গবেষণা যাদু ঘর, পুঠিয়া রাজবাড়িসহ আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর সময় মদন ছিল সার্বক্ষণিক সঙ্গী। গাইড হিসেবে সে একজন চমৎকার মানুষ। যা জানে তা যেমন তা সুন্দর করে বলে। আর যা জানে না তাও চমৎকারভাবে বলে। শুধু শেষে বলে, ভাইয়া আমিতো সব জানি না, মানুষের কাছে শুনছি--।
মদনের কাছে তার নামের অর্থ জানতে চেয়ে ছিলাম। সে হেসে বলল, আমার নাম, মদন চন্দ্র রায়। আমার জন্মের সময় সারদাহ বাজারে 'মদন কুমার-মধুমালা' যাত্রা এসেছিল। নানি সেই যাত্রা দেখে এসে আমার নাম রেখে ছিলেন। কিন্তু নামটা অনেক লম্বা বলে সবাই মদন বলে ডাকে।
মদনের সাথে ঘুরে আসা বিভিন্ন স্পট সম্পর্কে সময় পেলে ব্লগে লিখব, কিন্তু এর আগেই মদন ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই এই পোস্ট। যদিও আমি নিশ্চিৎ যে মদন কোন দিন এ পোস্ট পড়বে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।