বগুড়া, ১০ মার্চ (শীর্ষ নিউজ ডটকম): ২০ বছরের পলাতক প্রেমিককে জুতাপেটা করেছে ৪১ বছরের প্রেমিকা। অসম প্রেমের এ ট্রাজিক দৃশ্য মঞ্চস্থ হয়েছে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় বগুড়া শহরের জনবহুল সাতমাথায়। জুতাপেটা পর্ব শেষ হয়েছে পুলিশের হস্তক্ষেপে। তবে যুগল ছবি ছাড়া সম্পর্কের আর কোন প্রমাণ দেখাতে না পারায় প্রেমিককে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। প্রেমিকা রেজিয়া বেগম জানায়, তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর উপজেলার হাপুনিয়া গ্রামে।

বাবার নাম আবেদ আলী। কয়েক বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর একই গ্রামের সায়েদ আলীর পুত্র রাশেদের (২০) সাথে তার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। বছর খানেক আগে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে দাবি করে রেজিয়া। এরপর উধাও হয়ে যায় রাশেদ। রেজিয়া বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকে।

হঠাৎ আজ সাতমাথায় সে দেখা পায় রাশেদের। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রেজিয়া। কিন্তু কিছুতেই তার সঙ্গে যেতে রাজি হয় না রাশেদ। শুরু হয় দুজনের মধ্যে টানা হেঁচড়া। জনবহুল মোড় হওয়ায় মুহূর্তে সেখানে ভিড় জমে যায়।

এক পর্যায়ে রেজিয়া পায়ের জুতা খুলে রাশেদকে পেটাতে থাকে। সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সালেক এগিয়ে আসলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে না পেরে খবর দেয় থানায়। পুলিশ এসে রেজিয়ার হাত থেকে রাশেদকে ছাড়িয়ে নেয়। পুলিশের কাছে প্রেমের কথা স্বীকার করলেও বিয়ের দাবি অস্বীকার করে রাশেদ। এ সময় রেজিয়া এক সাথে দুজনের ছবি ছাড়া বিয়ের কোন প্রমাণ দেখাতে না পারায় পুলিশ আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা বলে দুজনকে ছেড়ে দেয়।


।