আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ মুজিবুর রহমান বনাম জিয়াউর রহমান।

স্বপনের সমাধি খোঁড়া এ জীবন ... মনের গোপন ঘরে যে শ্বাপদ ঘর করে তাকেই লালন করে চলা এ জীবন!
শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দুইজন নেতা। দেশের সবচেয়ে বড় দুটি দলের প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায় তারা সবসময়ই আলোচিত-সমালোচিত হয়ে এসেছেন। সম্প্রতি এই দুইজন প্রয়াত নেতার চরিত্র হননের প্রতিযোগিতা চলছে দেশের সর্বত্র। শুরু হয়েছিল জাতীয় সংসদ থেকে এখন ছড়িয়ে পাড়েছে সবখানে, আর বাংলা ব্লগ গুলো এই সমালোচনার সবচেয়ে উর্বর ভূমি। কারন এখানে পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থেকে যা খুশি তাই বলা যায়।

মাননীয় সংসদ সদস্যদের কিছু বলার মত গুরুত্বপূর্ণ কেও নই আমি; শুধু আমি কেন সামুব্লগের সব সদস্য একসাথে চিৎকার দিলেও সেটা তাদের কান পর্যন্ত পৌছাবে বলে আমার মনে হয় না। একজন ব্লগার হিসাবে ব্লগের পরিবেশ সুন্দর রাখার তাগিদে আমার উপলব্ধি সহব্লগারদের সাথে শেয়ার করছি। সামুতে প্রতিদিন প্রায় ৫/৭ টা পোষ্ট আসে শেখ মুজিব অথবা মেজর জিয়া’র বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচলা করে। কেও নোংরা উপস্থাপনায় আবার কেও অনেক পড়ালেখা করে ঐতিহাসিক যুক্তি সহকারে, কিন্তু উদ্দেশ্য একই মুজিব ভক্তরা জিয়াকে আর জিয়া ভক্তরা মুজিবকে খাটো করা। আমার চোখে এমন কোন পোষ্ট পড়েনি যে কেও তার পছন্দের নেতার সফলতার দিক গুলো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের দুজনেরই দেশের জন্য অসামান্য এবং অনুকরনীয় অবদান রয়েছে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের জন্ম গ্রহনের নেত্রীত্ব দিয়েছেন আর জিয়াউর রহমান অস্ত্র হাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন ছাড়াও পরবর্তিতে দেশের খুব নাজুক পরিস্থিতিতে নেত্রীত্ব দিয়ে একটি স্থিতিশীল অবস্থানে নিয়ে এসেছিলেন। তবে তাদের সব কর্মকান্ড হয়ত সঠিক ছিল না, দেশ চালাতে যেয়ে অনেক সময় অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হয়ত নিতে হয়েছে। তাদেরও হয়ত কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল, যে কাজ করে তারই ভুল হয়, সমালোচনাকারীর কখনো ভুল হয় না। মুজিব-জিয়া’র বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে যে যত কথায় বলুক না কেন তাদের দেশপ্রেম, দেশের উন্নতির জন্য চেষ্টার একাগ্র চেষ্টা, দেশের জন্য স্যক্রিফাইজ কে কেও অস্বীকার করতে পারবে না।

একথা ভুল্লে চলবে না যে তারা দুজনেই দেশের জন্য অকালে প্রান দিয়েছেন। দেশকে তাদের যা দেওয়ার ছিল তারা তা উজাড় করে দিয়েছেন, এখন তারা দেওয়া নেওয়ার উর্ধে। মৃত মানুষগুলোকে নিয়ে এত নোংরামী কেন? উদ্দেশ্য যদি আমার পছন্দের নেতার সম্মান বাড়ানো হয় তাহলে তা সেভাবেই করি! অন্যের নেতার সমালোচনা করে নিজের নেতার সম্মান বাড়ানোর এই নেগেটিভ টেন্ডেন্সি কেন? বিষয়টা একটু অন্যভাবে যদি চিন্তা করি, আমি অন্যের পছন্দের নেতা সম্পর্কে একটা বাজে মন্তব্য করলাম প্রতিশোধ নিতে সে আমার নেতাকে একটা গালি দিল। তাহলে আমার আদর্শের মানুষটি কবরে যেয়েও আমার কর্মকান্ডের জন্য গালি খেল, তার জন্য কি আমি পরোক্ষ ভাবে দায়ী নয়? তাই আসুন এই নেগেটিভ পথ ছেড়ে নিজের পছন্দের নেতার ভাল দিকগুলো তুলে ধরে তাদের কে সম্মানিত করি আর নিজেরা ভদ্র হই। (লেখাটা কারো কাছে আতলামী মনে হলে ক্ষমা চাচ্ছি।

আমি মনে করি ব্লগে দেশের উচ্চশিক্ষিত, দেশপ্রেমিক, সৎ ও সুন্দর মনের মানুষ গুলোর আনাগোনা বেশি, এখানে গতানুগতিক নোংরামী দেখলে আশাহত হই, কষ্ট লাগে। )
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।