আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছি: চাঁদাবাজী ............ ছি: রাজনীতি

মানুষ চাই.....সতিকারের মানুষ খুঁজছি....
"চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে রাজধানীর টিকিট কাউন্টার পদ্ধতিতে পরিচালিত পরিবহন কোম্পানিগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। মিরপুরগামী ও মিরপুর থেকে থেকে ছেড়ে যায় এমন কয়েকটি পরিবহন কোম্পানি অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে গতকাল মঙ্গলবারই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে বিকেলের দিকে হাজারো যাত্রী চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। কাউন্টারভিত্তিক বাসের মালিকেরা গতকাল বিকেলে ফার্মগেটে ‘স্বকল্প’ পরিবহনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন।

‘শতাব্দী’ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় গতকাল মিরপুর এলাকায় তাঁকে লাঞ্ছিত করেছে চাঁদাবাজেরা। রাতেই তাঁর এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার কথা। এদিকে মহানগর পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বাস না চালালে রুট পারমিট বাতিল এবং নতুন করে অন্যদের রুট পারমিট দেওয়া হবে। মালিকদের বৈঠক শেষে ‘শতাব্দী’ পরিবহনের শরীফ উদ্দিন খোন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, কয়েক দিন ধরে মিরপুর এলাকায় তাঁদের কাছে গাড়িপ্রতি দৈনিক ৭০ টাকা চাঁদা দাবি করছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির নেতারা। তিনি অভিযোগ করেন, এতে রাজি না হলে নানাভাবে হুমকি দেন স্থানীয় পরিবহন নেতা আবুল কাশেম, মহারাজ হোসেনসহ কয়েকজন।

গতকাল সকালে চাঁদা না দেওয়ায় ‘আশীর্বাদ’ পরিবহনের একটি গাড়ি আটক করলে চালক ভয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মালিকেরা প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজেরা তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে দাবি করেন শরীফ খোন্দকার। গতকাল বিকেলে ধর্মঘট আহ্বানকারী বাসের মালিকেরা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে পুলিশ কমিশনার শহীদুল হক বলেন, ‘যারা কোম্পানি করে বাস চালাচ্ছে, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাঁদাবাজি করেছিল। এদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন।

’ তবে তাদের মতাদর্শ কী, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি কমিশনার। তিনি বলেন, মতাদর্শের ভিন্নতার কারণে তারা ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির অধীনে থাকতে চায় না। গতকাল বিকেলে শাহবাগ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মিরপুরে চলাচলকারী শতাব্দী, বাহন, ট্রান্স সিলভা, আল জামির, পূবালী পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ। ফার্মগেটেও স্বকল্প, আশীর্বাদ, রূপালী, সূচনাসহ বেশ কিছু কোম্পানির বাস বন্ধ ছিল। বাসের মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি গত মাসে মিরপুর এলাকায় চলাচলকারী বাস থেকে ৭০ টাকা হারে চাঁদা তোলার জন্য ১৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়।

ওই কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক মহারাজ হোসেন। ওই মালিক-শ্রমিকেরা বলেন, কমিটির অধিকাংশ সদস্যই স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। এর পর থেকে কাউন্টারভিত্তিক বাসের মালিকদের সঙ্গে এ কমিটির নেতাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে আবুল কাশেম চাঁদাবাজির অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি গতকাল ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এরা (ধর্মঘটের ডাক দেওয়া মালিকেরা) জামায়াতের লোক।

তারা বাস বন্ধ করে দিয়ে সংকট সৃষ্টি করতে চায়। ’ জানা গেছে, কাউন্টারভিত্তিক সিএনজিচালিত বাস পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো প্রথম থেকেই অ্যাসোসিয়েশন অব বাস কোম্পানিজ (এবিসি) নামের একটি সংগঠন করে আলাদা কার্যক্রম চালাচ্ছে। ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির কর্তৃত্ব তারা মেনে নিতে চায়নি। গাবতলীতেও বাসের মালিকেরা ‘বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে কার্যক্রম চালান। ফলে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির চাঁদার ক্ষেত্র মিরপুর-সায়েদাবাদ-মহাখালী-ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

" - | প্রথম আলো, ১০ মার্চ ২০১০ আজ বিশাল লাইনে দাঁডিয়ে ভলভো বাসে ঝুলে ঝুলে এসেছি। আমার মতো লাখো মানুষ আজ এভাবে তাদের অফিসে গেছে। কিন্তু এর কারন কি? ১. মালিকরা বলছে চাঁদাবাজী ২. পুলিশ কমিশনার বলছে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাথে মালিক দের সমস্যা ৩. ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি থেকে বলছে এটা রাজনৈতিক সমস্যা, যারা ধর্মঘট করেছে তারা জামায়াতে ইসলামীর লোক ৪................................. এই ফাঁকা জায়গাটা হলো আমাদের ম্যাংগো পিপলদের নেতাদের জন্য, দেখি তারা কি বলেন.... ঢাকা সহ দেশের পরিবহন সেক্টর যে রাঘব থেকে শুরু করে পাতি রাজনৈতিক নেতাদের হাতে জিম্মি তা দেশের সব মানুষই জানে। আর এই নেতারা বিভিন্ন সমিতির ব্যানারে যে চাঁদাবাজী করে তা ও কারো অজানা নয়। যে দল দেশের ক্ষমতায় যায়, প্রথমেই ওই সব সমিতির পদগুলো তারা দখল করে নেন, এটাও ওপেন সিক্রেট।

আর চাঁদাবাজী করার জন্য যে তারা তাদের দলীয় ক্যাডারদের কিভাবে কাজে লাগান, এটা তো দিনে দুপুরের খেল। বি, এন, পি তো ঠিক ঠাক মতো চোখের আড়ালে এগুলো করতো কিন্তু আওয়ামীলীগ মনে হয় প্রতিবারই এসব জিনিস নিয়ে লেজে গোবড়ে অবস্হা করে ফেলে, যেটা করেছিলো ১৯৯৬-২০০১ এ। আওয়ামীলীগের সরকার পরিচালনার সময়েই দেখি এসব সন্ত্রাস-চাঁদাবাজী-টেন্ডারবাজী প্রকট আকার ধারন কারে। আর প্রতিবারই আওয়ামীলিগ বি,এন,পি 'র সন্ত্রাসীদের দোষ দেয়। এটা তো এখন শুধু দিনের সূর্য নয়, রাতের চাঁদের আলোতেও পরিস্কার যে এসব তাদের দলীয় ক্যাডার বাহিনীই করে।

করবে নাই বা কেনো? মা জননী ক্ষমতায় যাওয়ার পর যে প্রতি জনকে ধরে ধরে শ্বশুর বাডি থেকে বের করে আনেন, আর তাদের শত্রু বি, এন, পির সন্ত্রাসীদের ধরে শ্বশুর বাডি বেড়াতে পাঠিয়ে দেন যাতে তারা নির্বিঘ্নে এসব কাজ করতে পারেন। কিন্তু হায়, তারা নির্বিঘ্নে কাজ করতে গিয়ে জনগনের কত যে বিঘ্ন ঘটান তার নমুনা তো আজকেই আমার মতো ম্যাঙ্গো পিপল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। তাই, প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, নিজে ভালো হয়ে যান, আপনার সোনার ছেলেদেরও ভালো করুন, দেশ কিন্তু শুধু আপনার বাবার সম্পত্তি নয়।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।