যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো বিশ্বব্যাপী যে নব্য উপনিবেশবাদী নীতি বাস্তবায়ন করছে, তার প্রধান হাতিয়ার গণমাধ্যম, অস্ত্র নয়। অস্ত্র দিয়ে ইরাক ও আফগানিস্তান দখল করা হয়েছে বলে মনে হলেও ক্ষেত্র সৃষ্টি করে দিয়েছিলো তাদের গণমাধ্যমগুলো। ১১ই সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর আলকায়দা এতবড় সন্ত্রাসী হুমকিতে পরিণত হয়েছিলো যে, তা ধ্বংস না করলেই নয়। যাই হোক, পশ্চিমাদের সাম্রাজ্যবাদী নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করার লক্ষ্যে তাদের গণমাধ্যমগুলো বৃটেনের সেই পুরনো ডিভাইড এন্ড রুল নীতি অনুসরণ করছে। উদাহরণ হিসেবে ইরাকের কথা বলতে চাই।
পশ্চিমারা ইরাকের জনগোষ্ঠিকে ৩ ভাগে ভাগ করে দেখায় দেশটিকে ৩ খণ্ডে বিভক্ত করার জন্য। তারা বলে শিয়া, সুন্নী ও কুর্দি। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের মতো বাংলাদেশের মানুষও ভাবে কুর্দিরা বোধ হয় ভিন্ন কোন ধর্মের অনুসারী। আসলে তা তো নয়। কুর্দি বাঙ্গালীর মতো একটি জাতি।
বাংলা অঞ্চলে যেমন হিন্দু, মুসলমান, খ্রীস্টান ও অন্যান্য ধর্মের লোক আছে, তেমনি কুর্দিরা মূলত মুসলমান। সেখানে যেমন শিয়া আছে তেমনি আছে সুন্নী এবং সংখ্যালঘু আরো কিছু সম্প্রদায় যাদের সংখ্যা হাতে গোনা।
এবার গত রোববার ইরাকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে এএফপি খবর দিয়েছে- প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকির নেতৃত্বাধীন জোট স্টেট অব ল এলায়েন্স শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলে এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে সুন্নি অধ্যুষিত এলাকায় এগিয়ে রয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আয়াদ আলাভির নেতৃত্বাধীন জোট আল-ইরাকিয়া।
সূত্র দেখতে এখানে ক্লিক করুন
খবর দেখে দৃশ্যত মনে হবে আয়াদ আলাভি সুন্নী মুসলমান।
অথচ তিনি একজন শিয়া মুসলমান। আসলে এই খবরের ছদ্মাবরণে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো ইরাকের নির্বাচনের মূল দুই পক্ষের নাম প্রকাশ করছে না। মূল দুই পক্ষ হচ্ছে- মার্কিন দখলদারিত্বের পক্ষের জোট এবং বিপক্ষের জোট। আয়াদ আলাভি মার্কিনীদের দালাল। আর প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকিরা ধীরে ধীরে দেশ থেকে মার্কিনীদের বিতাড়নের চেষ্টা করছেন।
সেই চেষ্টায় তিনি ও তার সরকার কতটুকু সফল হবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।