বৃহস্পতিবার রাতে [০৪/০৩/২০১০] ঢাকা থেকে রওয়ানা দিলাম। সকাল ৭:৩০ এর দিকে হোটেল তাহের ভবন [ডায়মন্ড হোটেলের পাশে বা ইষ্টার্ন ব্যাংকের সামনে] এ আমাদের ৪৫ জনের দলটা মালামাল/ব্যাগেজ রেখে ফ্রেশ হয়ে নিলাম, যদিও সারা রাতের না ঘুমানোর ক্লান্তি সবার চোখে মুখে। ওখানে ৮০০ টাকা করে ডাবল বেড এর রুম, ১ রুম এ সিংগলরা ৪ জন আর ফ্যামিলিদের জন্য ১ রুম করে দেয়া হলো। ৮:৩০ এর দিকে বাসে উঠলাম সবাই। বাস চললো ইনানী বিচ এর দিকে.. শুরুর দিকে একের পর এক রিয়াল এসটেট কোম্পানীদের অ্যাকটিভিটি, এরপর বাম পাশে পাহাড় আর ডানে সমুদ্র।
যাবার সময়ই বুঝলাম রওয়ানা হতে আমরা কিছুটা দেরী করে ফেলেছি, মিনিমাম আরো আধঘন্টা আগে রওয়ানা হওয়া উচিৎ ছিল। কারন টা বলছি। ইনানী বিচ এ পৌছলাম প্রায় ১০টার দিকে, দুর থেকেই দেখছি কোরাল/প্রবাল পাথরের উপর নীল জল আছড়ে পড়ছে, অথার্ৎ জোয়ার বেশ আগেই শুরু হয়ে গেছে।
সৈকত পেরিয়ে যখন পানির কাছে পৌছলাম, দেখি মাত্র ১৫/২০ ফুট এর মতো পাথর ডুবে যাওয়া বাকি আছে, অথচ শুনেছি ভাটার সময় ওখানে অনেকটা পথ ঐ পাথরের উপর দিয়ে সমুদ্রের ভিতরে নেমে যাওয়ার মতো অবস্হা হয়ে যায়। যাই হোক যতটুকু পাথর পেলাম, যা তখনো ডুবেনি এবং পানি আছড়ে পড়ছে ওর উপরেই দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি করে নিল সবাই, ছবি তোলা সহ।
পাথরের ধারালো/সুচালো অংশে লেগে পা ছড়ে রক্ত বের হচ্ছে, তাতে কি! আগে আনন্দ, পরে ব্যাথা। ও ভালো কথা, এখানে কিন্তু গোছল করাটা যথেষ্ঠ রিস্কি, ঐ পাথরগুলির জন্য। ডাব আর পাহাড়ী কলা খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেলাম।
ওখানে ঘন্টা খানেক থাকার পরে লোকজনকে মোটামুটি তাড়িয়েই আবার বাসে উঠানো হলো। এবার উদ্দেশ্য হিমছড়ি।
ওখানে যেয়ে দেখি লোকে লোকারন্য।
... পরবর্তী পার্ট এ বলবো ..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।