আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবু হেনা মোস্তফা কামাল : বহুমুখী গুণ ও প্রতিভার একটি অনন্য নাম

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।

‘যায় যদি যাক প্রাণ’; ‘মাঠের কবি বলে এসো নবীন’; ‘সেই চম্পা নদীর তীরে’, ‘কথা দিলাম আজকে রাতে’, ‘আমি সাগরের নীল’; ‘তুমি যে আমার কবিতা’; ‘এই পৃথিবীর পান্থশালায়’; অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে’। আর এসব কালোত্তীর্ণ গানের জন্মদাতা হলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল। http://www.biplobiderkotha.com View this link আবু হেনা মোস্তফা কামাল বহুমুখী গুণের ও প্রতিভার একটি অনন্য নাম। কবিতা, প্রবন্ধ ও গান লিখে সুনাম অর্জন করেছিলেন।

সুবক্তা, টেলিভিশনের বাক-কুশল রসিক উপস্থাপক ও আলোচক হিসেবেও তিনি বিখ্যাত ছিলেন। তিনি আধুনিক বাংলাগানের ভুবনে প্রচুর অমর গান লিখেছেন। তাঁর গানের বাণী কাব্যে প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ। আবু হেনা মোস্তফা কামালের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৩ মার্চ। পাবনা জেলার পাবনা থানার গোবিন্দা গ্রামে. বাবা এম. শাহজাহান আলী।

মা খালেসুননেসা। তাঁর বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। কামাল বাল্যবয়সে বাবাকে হারান। মা খালেসুননেসা দীর্ঘজীবী হয়েছিলেন। তিনি গান ভালো গাইতেন।

পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। তারপর প্রাইমারি পড়াশুনা শেষ করে পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পাস করেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তিনি ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ১৩তম স্থান অর্জন করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা কলেজে।

তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ৭ম স্থান লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের ২৫ অক্টোবর হালিমা খাতুনকে সহধর্মিনী করেন। তাদের পরিবারে ৫ সন্তানের জন্ম হয়। তারপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন।

একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'দ্য বেঙ্গলি প্রেস অ্যান্ড লিটারারি রাইটিং (১৮১৮-১৮৩১)' শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইডি ডিগ্রি লাভ অর্জন করেন। আবু হেনা মোস্তফা কামাল ১৯৫৯ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে প্রভাষক হিসেবে যুক্ত হন। তারপর তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজে কিছু দিন শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৬০ সালে যোগ দেন রাজশাহী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে।

১৯৬২ সালে তিনি প্রাদেশিক সরকারের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক হয়ে ঢাকায় আসেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। একই পদে স্থায়ী নিয়োগ পেয়ে ১৯৬৫ সালে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া আবু হেনা মোস্তফা কামালের গান দিয়ে। গানের কথা ছিল, 'ওই যে আকাশ নীল হলো’ সে শুধু তোমার প্রেমে'।

চলচ্চিত্রের জন্যও অনেক গান লিখেছেন আবু হেনা। বাংলাদেশের যেসব চলচ্চিত্রে তাঁর গান ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'দর্পচূর্ণ', 'যোগবিয়োগ', 'অনির্বাণ', 'সমর্পণ', 'অসাধারণ' ও 'কলমীলতা'। পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণার জন্য ১৯৬৬ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। পিএইচডি শেষে ১৯৭০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসার পর তিনি রিডার পদোন্নতি পান। আবু হেনা মোস্তফা কামাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন ১৯৭৩ সালের ৫ অক্টোবর।

সেখানে ১৯৭৬ সালে অধ্যাপক হন তিনি। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন। আবু হেনা মোস্তফা কামালের কয়েকটি বিশেষ গান হলোঃ ১)'অনেক বৃষ্টি ঝরে/ তুমি এলে যেন এক মুঠো রোদ্দুর/ আমার দু'চোখ ভরে॥' ২) 'সেই চম্পা নদীর তীরে/ দেখা হবে আবার যদি/ ফাল্গুন আসে গো ফিরে॥' ৩) 'হাতের কাঁকন ফেলেছি খুলে/ কাজল নেই চোখে/ তবু তোমার কাছে যাবো/ যা বলে বলুক লোকে॥' ৪) 'আমি সাগরের নীল/ নয়নে মেখেছি এই চৈতালি রাতে/ ফুলকঙ্কন পরেছি দখিন হাতে॥' ৫) 'ভ্রমরের পাখনা যতদূরে যাক না ফুলের দেশে/ তুমি তবু গান শুধু শোনাও এসে॥' ৬) 'নদীর মাঝি বলে: এসো নবীন/ মাঠের কবি বলে এসো নবীন/ দেখেছি দূরে ঐ সোনালি দিন॥' ৭) 'ওই যে আকাশ নীল হলো আজ/ সে শুধু তোমার প্রেমে॥' ৮) 'মহুয়ার মোহে গেল দিন যে/ তোমার কাছে আমার কত ঋণ যে/ সে কথা না হয় হলো নাই বলা/ ঝরা পাতার কান্না শুনে আজকে আমার পথ চলা॥' ৯) 'অপমানে তুমি জ্বলে উঠেছিলে সেদিন বর্ণমালা/ সেই থেকে শুরু দিন বদলের পালা॥' ১০) 'তুমি যে আমার কবিতা, আমার বাঁশির রাগিনী' ১১) 'পথে যেতে দেখি আমি যারে' ১২) 'যায় যদি যাক প্রাণ, তবু দেবো না দেবো না দেবো না গোলার ধান' ১৩) 'এই পৃথিবীর পান্থশালায় গাইতে গেলে গান'।

১৪) 'তোমার কাজল কেশ ছড়ালো বলে/ এই রাত এমন মধুর/ তোমার হাসির রঙ লাগল বলে/ দোলে ঐ মনের মুকুর॥' তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে কাব্য, প্রবন্ধ গবেষণা। কাব্যঃ আপন যৌবন বৈরী(১৯৭৪), যেহেতু জন্মান্ধ(১৯৮৪),আক্রান্ত গজল(১৯৮৮)। তাঁর কবিতায় প্রেম ও নারী প্রধান্য পেয়েছে। প্রবন্ধ গবেষণাঃ শিল্পীর রূপান্তর(১৯৭৫), The Bengali Press and Literary Writing(১৯৭৭), কথা ও কবিতা(১৯৮১)। তিনি ছিলেন একজন উন্নত মানের প্রাবন্ধিক।

তাঁর মননশীল রচনাগুলোতে বহুবিধ প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে। গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, সময়, সমাজ, সমকাল এরকম বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁর মননশীল রচনাগুলো। আবু হেনা মোস্তফা কামালের জীবদ্দশায় প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ দুটি। প্রথমটি সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধের সংকলন শিল্পীর রূপান্তর'। তিনি জীবনে ও মরণের পরে বহু পুরস্কার পেয়েছেন।

যেমনঃ আলাওল পুরস্কার(১৯৭৫), সুহৃদ সাহিত্য স্বর্ণপদক(১৯৮৬), একুশের পদক(১৯৮৭), আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ স্বর্ণপদক(১৯৮৯), সাদত আলী আকন্দ স্মৃতি পুরস্কার(১৯৯১)। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক থাকাকালে ১৯৮৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারা যান। আবু হেনা মোস্তফা কামাল : বহুমুখী গুণ ও প্রতিভার একটি অনন্য নাম ‘যায় যদি যাক প্রাণ’; ‘মাঠের কবি বলে এসো নবীন’; ‘সেই চম্পা নদীর তীরে’, ‘কথা দিলাম আজকে রাতে’, ‘আমি সাগরের নীল’; ‘তুমি যে আমার কবিতা’; ‘এই পৃথিবীর পান্থশালায়’; অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে’। আর এসব কালোত্তীর্ণ গানের জন্মদাতা হলেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল। আবু হেনা মোস্তফা কামাল বহুমুখী গুণের ও প্রতিভার একটি অনন্য নাম।

কবিতা, প্রবন্ধ ও গান লিখে সুনাম অর্জন করেছিলেন। সুবক্তা, টেলিভিশনের বাক-কুশল রসিক উপস্থাপক ও আলোচক হিসেবেও তিনি বিখ্যাত ছিলেন। তিনি আধুনিক বাংলাগানের ভুবনে প্রচুর অমর গান লিখেছেন। তাঁর গানের বাণী কাব্যে প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ। আবু হেনা মোস্তফা কামালের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৩ মার্চ।

পাবনা জেলার পাবনা থানার গোবিন্দা গ্রামে. বাবা এম. শাহজাহান আলী। মা খালেসুননেসা। তাঁর বাবা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। কামাল বাল্যবয়সে বাবাকে হারান। মা খালেসুননেসা দীর্ঘজীবী হয়েছিলেন।

তিনি গান ভালো গাইতেন। পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। তারপর প্রাইমারি পড়াশুনা শেষ করে পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পাস করেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল। তিনি ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ১৩তম স্থান অর্জন করেন।

এরপর ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ৭ম স্থান লাভ করেন। ১৯৫৬ সালের ২৫ অক্টোবর হালিমা খাতুনকে সহধর্মিনী করেন। তাদের পরিবারে ৫ সন্তানের জন্ম হয়। তারপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'দ্য বেঙ্গলি প্রেস অ্যান্ড লিটারারি রাইটিং (১৮১৮-১৮৩১)' শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইডি ডিগ্রি লাভ অর্জন করেন। আবু হেনা মোস্তফা কামাল ১৯৫৯ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে প্রভাষক হিসেবে যুক্ত হন। তারপর তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজে কিছু দিন শিক্ষকতা করেন।

তিনি ১৯৬০ সালে যোগ দেন রাজশাহী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে। ১৯৬২ সালে তিনি প্রাদেশিক সরকারের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক হয়ে ঢাকায় আসেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অস্থায়ী প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। একই পদে স্থায়ী নিয়োগ পেয়ে ১৯৬৫ সালে যোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া আবু হেনা মোস্তফা কামালের গান দিয়ে।

গানের কথা ছিল, 'ওই যে আকাশ নীল হলো’ সে শুধু তোমার প্রেমে'। চলচ্চিত্রের জন্যও অনেক গান লিখেছেন আবু হেনা। বাংলাদেশের যেসব চলচ্চিত্রে তাঁর গান ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য 'দর্পচূর্ণ', 'যোগবিয়োগ', 'অনির্বাণ', 'সমর্পণ', 'অসাধারণ' ও 'কলমীলতা'। পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণার জন্য ১৯৬৬ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। পিএইচডি শেষে ১৯৭০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসার পর তিনি রিডার পদোন্নতি পান।

আবু হেনা মোস্তফা কামাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন ১৯৭৩ সালের ৫ অক্টোবর। সেখানে ১৯৭৬ সালে অধ্যাপক হন তিনি। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন।

আবু হেনা মোস্তফা কামালের কয়েকটি বিশেষ গান হলোঃ ১)'অনেক বৃষ্টি ঝরে/ তুমি এলে যেন এক মুঠো রোদ্দুর/ আমার দু'চোখ ভরে॥' ২) 'সেই চম্পা নদীর তীরে/ দেখা হবে আবার যদি/ ফাল্গুন আসে গো ফিরে॥' ৩) 'হাতের কাঁকন ফেলেছি খুলে/ কাজল নেই চোখে/ তবু তোমার কাছে যাবো/ যা বলে বলুক লোকে॥' ৪) 'আমি সাগরের নীল/ নয়নে মেখেছি এই চৈতালি রাতে/ ফুলকঙ্কন পরেছি দখিন হাতে॥' ৫) 'ভ্রমরের পাখনা যতদূরে যাক না ফুলের দেশে/ তুমি তবু গান শুধু শোনাও এসে॥' ৬) 'নদীর মাঝি বলে: এসো নবীন/ মাঠের কবি বলে এসো নবীন/ দেখেছি দূরে ঐ সোনালি দিন॥' ৭) 'ওই যে আকাশ নীল হলো আজ/ সে শুধু তোমার প্রেমে॥' ৮) 'মহুয়ার মোহে গেল দিন যে/ তোমার কাছে আমার কত ঋণ যে/ সে কথা না হয় হলো নাই বলা/ ঝরা পাতার কান্না শুনে আজকে আমার পথ চলা॥' ৯) 'অপমানে তুমি জ্বলে উঠেছিলে সেদিন বর্ণমালা/ সেই থেকে শুরু দিন বদলের পালা॥' ১০) 'তুমি যে আমার কবিতা, আমার বাঁশির রাগিনী' ১১) 'পথে যেতে দেখি আমি যারে' ১২) 'যায় যদি যাক প্রাণ, তবু দেবো না দেবো না দেবো না গোলার ধান' ১৩) 'এই পৃথিবীর পান্থশালায় গাইতে গেলে গান'। ১৪) 'তোমার কাজল কেশ ছড়ালো বলে/ এই রাত এমন মধুর/ তোমার হাসির রঙ লাগল বলে/ দোলে ঐ মনের মুকুর॥' তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে কাব্য, প্রবন্ধ গবেষণা। কাব্যঃ আপন যৌবন বৈরী(১৯৭৪), যেহেতু জন্মান্ধ(১৯৮৪),আক্রান্ত গজল(১৯৮৮)। তাঁর কবিতায় প্রেম ও নারী প্রধান্য পেয়েছে। প্রবন্ধ গবেষণাঃ শিল্পীর রূপান্তর(১৯৭৫), The Bengali Press and Literary Writing(১৯৭৭), কথা ও কবিতা(১৯৮১)।

তিনি ছিলেন একজন উন্নত মানের প্রাবন্ধিক। তাঁর মননশীল রচনাগুলোতে বহুবিধ প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে। গল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, সময়, সমাজ, সমকাল এরকম বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁর মননশীল রচনাগুলো। আবু হেনা মোস্তফা কামালের জীবদ্দশায় প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ দুটি। প্রথমটি সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধের সংকলন শিল্পীর রূপান্তর'।

তিনি জীবনে ও মরণের পরে বহু পুরস্কার পেয়েছেন। যেমনঃ আলাওল পুরস্কার(১৯৭৫), সুহৃদ সাহিত্য স্বর্ণপদক(১৯৮৬), একুশের পদক(১৯৮৭), আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ স্বর্ণপদক(১৯৮৯), সাদত আলী আকন্দ স্মৃতি পুরস্কার(১৯৯১)। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক থাকাকালে ১৯৮৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মারা যান।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।