পত্রিকায় দেখলাম বি এন পি ৭ই মার্চ কে কারা বন্দী দিবস হিসাবে পা লনকরবে। খবরটি যতটা না কষ্ট দায়ক তার চেয়ে বিষ্ময়কর। বাংলাদশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী কোন মানুষ যে ৭ই মার্চ কে কারাবন্দী দিবস হিসাবে পালন করার কথা ভাবতে পারে এটা চিন্তা করাই কষ্টকর। যে দিনটিকে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের গ্রীন সিগন্যালের দিন হিসাবে উল্লেখ করেছেন আজ তারই অনুসারিরা অন্যরকম ভাবতে শুরু করেছে এটাই বিষ্ময়কর। স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধ অপরাধী আর বাংলাদেশ বিরোধী ছাড়া অন্য সবার কাছে ৭ই মার্চ একটি পরম গৌরবের দিন, মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার দিন।
এদিনটিকে কারা বন্দীদিবস হিসাবে তারাই পালন করতে পারে যারা মুক্তি যুদ্ধে বিশ্বাস করেনা। ক্ষমতার লোভে জামায়াতের সাথে গাঁটছাড়া বাধলেও বি এনপি তে মুক্তি যোদ্ধার সংখ্যা কম নয়। তাছাড়া নতুন প্রজন্মের জামায়াতিদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করে। তবে অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে বি এন পি এখন সাধারণ জামাযাত নয় যুদ্ধ অপরাধী ঘাতক দালালদের কব্জায়। রগকাটা রাজনীতিতে বি এন পি কে সাথে না পেয়ে তারা এখন বি এন পি কে ধ্বংশের ষড়যন্ত্রে মগ্ন।
বি এন পি কি বিষয়টি বোঝে ?¨ দলের মধ্যে যেহেতু গণতন্ত্রের চর্চা নেই তাই তারেকের নামে ঘোষিত কর্মসূচীতে ঔচিত্যের প্রশ্ন তোলে তোলে এমন সাধ্য কার ? এই সুযোগ টিকেই সম্ভবত কাজে লাগাতে চাইছে জামায়াত আর যুদ্ধ অপরাধীরা। না হলে যে দিনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে চুড়ান্ত সাহস আর শেকল ভাঙার উচ্ছাস সকল ভীরুতাকে বিদায় জনিয়েছিল সেদিন কারা বন্দী দিবস হয় কি করে?
যারা খালেদা জিয়াকে ১৫ আগষ্ট মিত্যা জন্ম দিন পালনের কু পরামর্শ দিয়েছিল এতে নিশ্চয় তাদেরও হাত আছে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া তো দূরের কথা বর্তমান কে অস্বীকার করার ঔধত্য এরা দেখায় কোন সাহসে?
যারা জিয়ার অনুসারী জিয়াউর রহমানের একটি জাতির জন্ম তাদের পাঠ্য হওয়া উচিৎ। লেখাটি ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ বিচিত্রায় ছাপা হয়ে ছিল। নতুন প্রজন্মের কাছে বিষয়টি অজানা থাকতে পারে প্রবীণদের কাছে তো নয়।
এ লেখায় জিয়া তার মুক্তি যুদ্ধে যোগদানের পটভূমি বর্ণনা করতে গিয়ে ৭ই মার্চের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। বি এন পি যদি তা অস্বীকার করতে চায়, তাহলে জিয়ার আদর্শ থেকে সরে গিয়ে জামায়তের সাথে জোট বাধার বদলে জামাযাতের সাথে মিশে গেলেই পারে। বর্তমান বি এন পি নেতৃত্বের মেধা শূণ্যতা অমাকে চুড়ান্ত ভাবে হতাশ করছে। দেশ নয়, জিয়া বা খালেদা জিয়া নয় দূর্ণীতির দায়ে বন্দী হওয়া তারেক কে পুণঃ প্রতিষ্ঠিত করাই এখন তাদের প্রধান লক্ষ। আর এই লক্ষ পূরণে জামায়াতের কূট চালের শিকার হ্ওয়াই তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।