সমাজ পচনস্তরের বিপ্রতীপ মেরুর এই বাসিন্দার পেট চলে শব্দ শ্রমিকের কাজ করে
লক্ষ্যনীয় কিন্তু দর্শনীয় নয়। জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো কি ইদানিং নিজের ঢোল পেটানো বন্ধ করে দিয়েছে? ইদানিং তাদের ছাপাকৃত কপির সংখ্যা (সার্কুলেশন) ছাপা হচ্ছে না। শেষ কবে এ সংখ্যাটি দেখেছিলাম ভুলেই গেছি। আপনাদের মনে আছে নাকি।
মনে হচ্ছে সাম্প্রতিক দৈনিক কালের কন্ঠ (কাক) প.আলুর বাজারে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছে।
অবশ্য এটাই প্রধান কারণ নয়।
বিস্তারিত
আমার এলাকায় যে ছেলেটা রোজ ভোরে পত্রিকা বিলি করে তার আবার একটা নিউজ স্টলও আছে তাই আজ সকালে ওকে জিজ্ঞেস করলাম:
-প.আলু আর কাক কোনটা কত কপি দৈনিক বিলি ও বিক্রি কর? উত্তরে হকার বেশ জুতসই উত্তর দিল।
তার ভাষ্যমতে, আপনেরা যারা রেগুলার বাসায় লন আর যারা খুচরা কিন্না পড়ে সব মিলাইয়া আগে আমার দোকানে প.আলু রাখতাম ২৫০ কপি। তখন আমরা কমিশন পাইতাম ২ টাকা ৫৬ পয়সা। তার উপর আড়াইশ কপির মধ্যে যদি দিন শেষে ৫/৭ কপি খাইক্কা যাইত তয় আর হেরা ফেরত লইত না।
কাক বাইর হওনের পর অহন তারা প্রতি ১০০ কপিতে ৫ খান ফেরত লওনের নিয়ম করছে। আর কাক বেচলে আমরা প.আলুর চেয়ে বেশি লাভ পাই। এহন প.আলু রাহি ১৫০ কপি আর কালের কন্ঠ রাহি ১০০ কপি। তয় আগে যুগান্তর, সমকাল, ইত্তেফাক ভালো চললেও কাক বাইর হওনের পর সার্কুলেশন পইরা গেছে। নিউজস্টলে এহন মাইনষে ৮ টাকা দিয়া পরিমানে বেশি যেইডা হেই কাগজ কিনে।
কিনব না পুরান কাগজ এহন ২১ টাকা কেজি। পাবলিক চালাক হইয়া গেছে গা।
তয় অনেক লাভই খাইয়া হালায় হকার সমিতির নেতারা। গরিবের মরণ স্যার। দুনিয়ায় দোজখ, আখেরাতেও দোজখ।
ওর কথাগুলো ভাবলাম খুব একটা খারাপ বলেনি। তার প্রমান নিতে গত কিছুদেনর প.আলুর পুরাতন কপিগুলো টেনে দেখলাম। সত্যিই তো সার্কুলেশন কোয়ানটিটি নেই। সত্যিই কিছুটা ধাক্কা লেগেছে প.আলুর ইগোতে।
কোন একজন মহৎ ব্যক্তি অহংকার করতে নিষেধ করেছিলেন।
শাস্ত্রও তাই বলে।
বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত পত্রিকার তালিকা ও বিস্তারিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।