আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বিচিন্তায় একবার কয়েকজন মাদ্রাসা ছাত্রের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল এই, সমসাময়িক বিষয়আশয় সম্পর্কে তাদের জ্ঞান যাচাই।
প্রতিবেদক : চাঁদ সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?
ছাত্র : চাঁদে গাছপালা আছে, ফুল-ফল আছে। মানুষজনও আছে বলে শুনেছি।
মাদ্রাসা সব ছাত্রই এরকম, সেটা নিশ্চয়ই নয়।
পাঠ্যক্রম বহির্ভূত হলেও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেকে ভালো ধারণাও রাখেন হয়তো। তবে মাদ্রাসা ছাত্রই কেবল নয়, সমসাময়িক ঘটনাবলী কিংবা ইতিহাস সম্পর্কে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষার্থীদের জ্ঞানও রিখটার স্কেলে ৮.৮ মাত্রার না হোক, ৫-৬ এর মধ্যেই ঘোরাঘুরি করবে- এমনই ভয়াবহ!
এই যখন জ্ঞান-পরিস্থিতি, তখন সুখবর নিয়ে এলো বিখ্যাত জনসংযোগ সংস্থা লুইস পিআর। চলতি বছরের শুরুতে তারা ব্রিটেনে এক হাজার মানুষের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে যে ফলাফল আমরা দেখছি, সেটা ভয়াবহ মাত্রার। বিশেষ করে পশ্চিমের একটি উন্নত দেশে সাধারণ জ্ঞান পরিস্থিতির কী হাল হতে পারে দেখুন একনজর-
অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস দিয়ে জরিপের শুরু।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১০০ ব্রিটিশের ২০ জনই মনে করেন স্টিভ জবস মূলত একজন ফুটবলারের নাম, যিনি সাধারণত মিডফিল্ড পজিশনে খেলে থাকেন। এক হাজার উত্তরদাতার মধ্যে ১০ শতাংশ ব্রিটিশ তাকে একজন শ্রমিক নেতা হিসেবে জানেন। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস সম্পর্কে ৫ শতাংশ ব্রিটিশের ধারণা আরো ভয়াবহ। তারা বদ্ধমূল ধারণা হল, বিল গেটস প্রকৃতপক্ষে একজন বিখ্যাত ট্রেন ডাকাত!
এমন নয় যে, নামের সাদৃশ্যের কারণে ব্যাপারটা এমন বিতিকিচ্ছিরি রূপ নিয়েছে বা অজান্তে ভুলভাল হয়ে যাচ্ছে। লুইস পিআর দলিলপত্র ঘেঁটে বিল গেটসের নামের কাছাকাছি একটি নাম পেয়েছে।
সেটা ষাটের দশকের মামলা। সেই সময় রনি বিগস নামের এক কুখ্যাত ট্রেন ডাকাতের নাম পাওয়া যায়। স্টিভ জবস অবশ্য এইদিক থেকে দুর্ভাগা। তার নামের কাছাকাছি কোনো ফুটবলার পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয়েছে, স্টিভ জবসের নামের শেষ অংশটুকু যেহেতু শ্রম সংশ্লিষ্ট, সেজন্য উত্তরদাতারা ধরে নিয়েছেন যে, তিনি শ্রমিক নেতাই হবেন!
এই জরিপ থেকে আর কিছু না হোক, যে আবিস্কারটি করা সম্ভব হয়েছে, তা হচ্ছে বিশ্বের বৃহৎ একটি অংশের মানুষের মধ্যে ব্যবসায় অঙ্গনের রথী-মহারথীদের নিয়ে কোনোই আগ্রহ নেই।
ইউটিউবে দেখুন জরিপের সচিত্র বিবরণ-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।