আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জল্পনা-কল্পনায় ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি

মইধ্যে রাইতে লুকাইয়া লুকাইয়া হাসতাম কিন্তু অহন আর হাসবারও পারি না, কিচ্চু হইলেই ঝারি মারে :( ওই কুটকুট কইরা হাসবি না!

ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে আমরা কম বেশি অনেকেই শুনেছি। বা অনেকে এ সম্পর্কে জানতে আগ্রহি। কিন্তু আমার মনে হয়, অনেকের কাছেই এ সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারনা নেই। ট্রায়াঙ্গেল কি? আধুনিক বিজ্ঞান যেখানে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারছে না, এ রকম একটি স্থান নিয়ে তো জল্পনা-কল্পনা থাকতেই পারে। তাও আবার প্রায় অবিশ্বাস্য।

কিছুটা ভুতুরে বললে ভুল হবে না। আমার মনে আছে, গত ২০০৭ সাল থেকে আমি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করছি। অনলাইনে খোজাখুজি করেছি অনেক বার। পত্র-পত্রিকার তো অবশ্যই। বড় ভাইদের সাহায্য নিয়েছি।

যাই হোক অনেকগুলো তথ্য দিয়ে আমি তৈরি করেছি বারমুডার একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। তারই বিস্তারিত নিচ থেকে শুরু : ৫ ডিসেম্বর ১৯৪৫ আমেরিকান নেভির ৫টি টিবিএম অ্যাভেঞ্চার প্লেন ফ্লাইট নাইনটিন নামের একটি ট্রেইনিং ফ্লাইটে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের উদ্দেশ্যে আকাশে ওড়ে এবং ট্রায়াঙ্গলের আকাশ থেকে আকস্মিকভাবে হারিয়ে যায়। ১৯৬৮ সালে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন ইউএসএস স্করপিয়ন আটলান্টিকে হারিয়ে গেলে অনেকেই বারমুডা ট্র্রায়াঙ্গল বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় স্থান বলে আখ্যায়িত করে। এর অবস্থান উত্তর পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরে। ডেভিল’স ট্রায়াঙ্গল মানে শয়তানের ত্রিভুজ নামেও পরিচিত একটি।

কারণ এ স্থানটিতে অনেক জাহাজ ও এয়ারক্রাফট, অনেক নৌকা অদৃশ্য হয়ে গেছে, ঘটে গেছে ব্যাখ্যা না করার মতো বিভিন্ন ঘটনা। কোনো একটি স্থানে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় তখন যখন এসব দুর্ঘটনার কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ খুজে পাওয়া যায় না। আধুনিক বিজ্ঞান এখানকার অনেক দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেনি। যে কারণে এ স্থানটি নিয়ে বেড়েছে জল্পনা, তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রকমের ভীতি।

বিজ্ঞানীরা বারমুডা রহস্য সমাধানে অনেক আগে থেকে গবেষণা করে আসছেন যার জন্য বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণও তারা ব্যাখ্যা করেছেন ভিন্নভাবে। তবে সত্যিকার অর্থে কি কারণে এ অঞ্চলটিতে এতো বেশি জাহাজ বা এরোপ্লেন দুর্ঘটনায় পড়ে তার কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা কোনো বিজ্ঞানী বা গবেষক দিতে পারেননি। আটলান্টিকের কোন অঞ্চলটুকু বারমুডা ট্রায়াঙ্গল তা নিয়ে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। একেক জনে একেক ধরনের মতবাদ প্রকাশ করেন। তবে আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি, পুয়ের্টো রিকোর সান জুয়ান ও মধ্য আটলান্টিকের বারমুডা আইল্যান্ডকে বিন্দু ধরে একটি কাল্পনিক ত্রিভুজ টানলে আটলান্টিকের যে এলাকা বেষ্টিত হয় সেটাকেই অধিকাংশ গবেষকরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে অধিকাংশ অ্যাকসিডেন্ট ঘটেছে এ ট্রায়াঙ্গলের দক্ষিণাংশের সীমানা বাহামা ও ফ্লোরিডা প্রণালির কাছাকাছি স্থানে। এই ত্রিভুজের ভেতরে শ’তিনেক প্রবাল দ্বীপ আছে। বেশির ভাগই জনবসতিহীন। জানা যায়, সেকালের অভিজ্ঞ নাবিকরা এ দ্বীপগুলোর নাম দিয়েছিলেন আইলস অফ দি ডেভিল অর্থাৎ শয়তানের দ্বীপপুঞ্জ। তারা দ্বীপগুলোকে এড়িয়ে চলতেন।

জাহাজে কেউ ওগুলোর নাম উচ্চারণ করার আগে দোয়া-দরুদ পড়ে নিতেন অথবা বুকে ক্রুশ চিহ্ন একে নিতেন। তারপর সময় অনেক গড়িয়েছে যদিও আধুনিক যুগের অনেক নাবিকও ওই অঞ্চলে ঢোকার আগে এখনো তাই করে থাকেন। ওই অভিশপ্ত ত্রিভুজের ভেতরে আসলে কি ঘটছে কেউ বলতে পারে না। অনেকের দাবি, মাঝে-মধ্যেই এ ত্রিভুজের ভেতর মাধ্যাকর্ষণ সূত্র কাজ করে না, কোনো কারণ ছাড়াই বিকল হয়ে যায় রেডিও, কম্পাস বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় নেভিগেশনাল যন্ত্রপাতি। কখনো এর চেয়েও বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।

সবুজ রঙের উজ্জ্বল কুয়াশায় ঢাকা পড়ে যায় ওই এলাকার সাগর। আকাশ বেয়ে উঠে যায় অদ্ভুত জলস-ম্ভ। হঠাৰ সাগরের বুকে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড ঘূর্ণিপাক। হিংস্রভাবে জাহাজ বা এরোপ্লেন গিলতে ছুটে আসে পাহাড় প্রমাণ ঢেউ। তারপর ঘটে যায় অবিশ্বাস্য ঘটনা, পুরো জাহাজ বা এরোপ্লেন একেবারেই উধাও হয়ে যায়।

কোনো চিহ্ন আর খুজে পাওয়া যায় না। এক টুকরো কাঠ কিংবা লাইফ বোটের টুকরা (যা পুরোপুরি রাবার দিয়ে তৈরি) কিছুই খুজে পাওয়া যায় না। রেডিও, টেলিভিশন আর সংবাদপত্রে এ নিয়ে যতো আলোচনা হচ্ছে, রহস্য জমাট বাধছে ততোই। আসলে কিসের প্রভাবে ঘটছে এসব, বলতে পারছে না কেউ। লয়েডস অফ লন্ডনের এক হিসাবে দেখা গেছে, শুধু সত্তরের দশকেই ৬০টি জাহাজ ও ৯৩৫ জন মানুষ হারিয়ে গেছে।

রহস্যের শুরু অনেক আগে থেকে। ১৪৯২ সালের ১১ অক্টোবর আমেরিকা আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলাম্বাস সান্টা মারিয়া জাহাজের ডেকে দাড়িয়ে রহস্যময় আলো দেখেছিলেন সাগরের বুকে। অথচ আশপাশের এক মাইলের মধ্যেও কোনো জাহাজ বা নৌকার দেখা পাওয়া যায়নি। কয়েক মুহূর্ত নেচে নেচে হঠাৱ করেই নিভে গিয়েছিল আলোটা। তারপরই এমন একটা ঘটনা ঘটলো বুদ্ধি দিয়ে যার ব্যাখ্যা চলে না।

আলোটা যেখানে জ্বলছিল আরো কয়েকশ গজ সামনের আকাশ থেকে ধূমকেতুর মতো লেজ বিস্তার করে সাগরের পানিতে পড়লো একটা আগুনের গোলা। কয়েক মুহূর্ত সেটা পানি তোলপাড় করে বেরিয়ে ডুবে গেল। এরপর অবশ্য আর তেমন কোনো রহস্যের মুখোমুখি হতে হয়নি কলাম্বাসকে। প্রায় শতাব্দী ধরে এ নিয়ে অবশ্য আর তেমন কিছু শোনা যায়নি। কিন্তু বিষয়টা নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হলো ১৬০৯ সালে।

ওই বছর আটলান্টিকের ওই অঞ্চল দিয়ে সি ভেঞ্চার নামের এক জাহাজে চড়ে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ভার্জিনিয়া উপনিবেশে বসতি স্থাপন করতে যাচ্ছিল একদল ইংরেজ অভিযাত্রী। তাদের দলপতি স্যার জর্জ সোমার্স। সাগর শান- সেদিন, বাতাসও চমৎকার। অন্ধকার রাতেও আকাশ জুড়ে তারার মেলা। জাহাজের কোয়ার্টার ডেকে দাড়িয়ে সাগর দেখছিলেন সোমার্স।

হঠাৎ করেই কোনো রহস্যময় কারণে অশান- হয়ে উঠলো সাগর, ফুসে উঠলো বড় বড় ঢেউ, ঘন মেঘে ছেয়ে গেল সারা আকাশ, নিভে গেল তারার ঝিকিমিকি। কয়েক মুহূর্ত পর আলোটা চোখে পড়লো তার। ঢেউয়ের মাথায় নাচতে নাচতে জাহাজের দিকেই এগিয়ে আসছে। তিনি মনে করলেন, কোনো সামুদ্রিক মাছ আলো জ্বেলে শিকার করছে। নাচতে নাচতে এগিয়ে এসে হঠাৎ লাফ মেরে জাহাজের দিকে উঠে এলো আলোটা।

সেখান থেকে পাল বেয়ে কিছুক্ষণ লাফালাফি করে এক লাফে চড়ে বসলো মাস-ুলের মাথায়। তারপরই নিজ আকারটা একবারের জন্য গুটিয়ে ছোট করে এনে পর মুহূর্তেই আবার আগের আকৃতি নিয়ে উড়ে গেল খোলা আকাশে। এ ঘটনাটাকেই টেমপেস্ট নাটকে অমর করে রেখে গেছেন শেক্সপিয়ার। রাজার জাহাজে উঠে এসে জাহাজের এখানে ওখানে আলোকরশ্মির মতো নেচে বেড়ানো এরিয়েল চরিত্র সৃষ্টি করার মূলে ছিল সোমার্সের ডায়রিতে বর্ণিত ওই রহস্যময় আলোর শিখা। এ ঘটনার মাত্র কয়েক দিন পরই ঝড়ের কবলে পড়ে সি ভেঞ্চার।

নাম না জানা এক দ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ে ভেঙে যায় জাহাজটি। দ্বীপটার নাম জাহাজের অন্যান্য অভিযাত্রী না জানলেও ঠিকই জানতেন সোমার্স আর জাহাজের ক্যাপ্টেন নিউপোর্ট। নামটা বললেই প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যাবে জাহাজের যাত্রীরা, তাই নামটা গোপন করে গেলেন তারা। এক এক করে চারদিন এই ভাঙা জাহাজেই কাটালেন যাত্রীরা। জোয়ারের টানে দ্বীপের একটা খাড়ির ভেতরে ঢোকে সি-ভেঞ্চার।

জাহাজ থেকে দ্বীপে নেমে পড়লো যাত্রীরা। নামিয়ে দেয়া হলো জাহাজের সব মালপত্র। অবাক কাণ্ড, এই চারদিনে যা ঘটলো না, যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পরপরই কি না তা ঘটে গেল। জোয়ারের টানে খোলা সাগরে বেরিয়ে গিয়ে ডুবে গেল জাহাজটা। ওটা নিয়ে আর মাথা না ঘামিয়ে দ্বীপটাতেই বসতি করার সিদ্ধান- নিলেন অভিযাত্রীরা।

কিন-ু রাজি হলেন না হেনরি র্যাভেনপ নামের এক সম্ভ্রান- ইংরেজ। সি-ভেঞ্চার ধ্বংস হওয়ার এক মাস পর ২৮ আগস্ট র্যাভেনপ বেরিয়ে পড়েন। কথা ছিল পরের মাসেই আমেরিকা থেকে জাহাজ বোঝাই খাদ্য আর পানীয় নিয়ে ফিরে এসে র্যাভেনপ ফেলে যাওয়া সঙ্গীদের উদ্ধার করবেন। কিন-ু তিনি কখনোই আর ফিরে আসলেন না। অধীর আগ্রহে সাগরের কূলে দাড়িয়ে র্যাভেনপের অপেক্ষা করে দ্বীপের অভিযাত্রীরা।

যদি পথ চিনতে ভুল করেন, সেজন্য সারাক্ষণই আকাশে ধোয়ার কুণ্ডলী ওড়ায় অভিযাত্রীরা। কিন-ু সবই বৃথা। শেষ পর্যন- মন সি'র করে ফেললো তারা, এ দ্বীপে আর নয়। জঙ্গল থেকে কাঠ কেটে এনে সাগর পাড়ি দেয়ার উপযোগী বড় বড় দুটো নৌকা বানিয়ে ফেললো তারা। যে দিন দ্বীপে নেমেছিল তার প্রায় এক বছর পর ১৬১০ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে নৌকা দুটিতে চেপে ভার্জিনিয়ার জেমস টাউনে নির্বিঘ্নেই পৌছে গেল তারা।

পৌছে শুনলো ভার্জিনিয়ায় পৌছাননি র্যাভেনপ আর তার সঙ্গীরা। কোথায় গেলেন র্যাভেনপ? ভার্জিনিয়া বা তার আশপাশের বহু দূরে, এমনকি সাগরের দ্বীপগুলোতে খোজা হলো, কিন্তু কোথাও খুজে পাওয়া গেল না র্যাভেনপ আর তার সঙ্গীদের। যেন লাইফ বোটটাসহ র্যাভেনপ আর তার সঙ্গীদের গিলে নিয়েছে সাগর। এরপর একের পর এক জাহাজ রহস্যময় এলাকাটিতে হারিয়ে যেতে থাকে। এরোপ্লেন চালু হওয়ার পর এটিও জাহাজের সহযোগিতে পরিণত হয়।

তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন- এই রহস্য সরকারি পর্যায়ে সাড়া জাগায়নি। মানুষ এগুলোকে দুর্ঘটনা বলে মনে করতো। কিন-ু ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ নৌ-বাহিনীর আটলান্টা নামে একটি প্রশি ক জাহাজ রহস্যজনকভাবে নিখোজ হয়ে যাওয়ার পর বৃটেন জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে বৃটিশ নৌবাহিনীর। প্রথমে ওয়াই নামে একটি সন্ধানী জাহাজ, তারপর চ্যানেল স্কোয়াড্রনের পাচটি জাহাজ উত্তর আটলান্টিকের পূর্ব অঞ্চল তন্ন তন্ন করে খুজে বেড়ায়।

কিন-ু আটলান্টার সামান্যতম খবরও যোগাড় করা গেল না। কিন-ু এ নিয়ে তখনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হয়নি। ১৯১৮ সালে আমেরিকান নৌবাহিনীর ৫৪২ ফিট দীর্ঘ কয়লাবাহী জাহাজ ইউএসএন সাইক্লোপস নিখোজ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সরকার ও বিজ্ঞানী মহল একযোগে গবেষণা ও অনুসন্ধানে নেমে পড়ে। কেননা সরকার একের পর এক জাহাজ ও এরেপ্লেন নিখোজের কারণে তির সম্মুখীন হচ্ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে তি হলো ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর মোট ছয়টি প্লেন একইদিনে বারমুডা ত্রিভুজে হারিয়ে যায়।

প্রথমে পাচটি অ্যাডভেঞ্চার বোমারু প্লেন উধাও হয়ে যায়। পরে তাদের খুজতে যাওয়া একটি আমেরিকান মেরিনার প্লেনও তার ১২ জন পাইলট নিয়ে হারিয়ে যায়। এ দুর্ঘটনাকে গ্রেট এভিয়েশন মিস্ট্রি অফ অল টাইম বলা হয়েছে। এছাড়াও ১৯৬৮ সালে আমেরিকান নৌবাহিনীর সাবমেরিন স্করপিয়ন উধাও হয়ে যাওয়া সমান বিস্ময়কর ঘটনা। কিন্তু আজ পর্যন- সুরাহা হয়নি বারমুডা ত্রিভুজ রহস্যের।

বৈজ্ঞানিকরা এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে নানা মতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তবে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা বৈদ্যুতিক চুম্বকের তত্ত্বই বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমান-রাল বিশ্ব এবং টাইম ডিসটরশন বা ভিন্ন সময়ের তত্ত্ব-যুক্তির বিচারে তেমন একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কেউ কেউ আবার অযৌক্তিকভাবে পৃথিবীর বাইরে চলে গিয়ে টেনে এনেছেন ভিনগ্রহের প্রাণী আর তাদের কথিত মহাকাশযানকে। তবে প্রখ্যাত আমেরিকান বিজ্ঞানী আইজন-টি-স্যান্ডারসনের প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সোসাইটি ফর দি ইনভেস্টিগেশন বারমুডা ত্রিভুজ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এ রকম আরো নয়টি স্থানের সন্ধান পেয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত জাপানের অদূরে ডেভিলস সি। এছাড়া পশ্চিম ভূমধ্যসাগর, আর্জেনটাইন উপকূলের দক্ষিণ-পূর্বে, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পূর্বে উত্তর প্রশান- মহাসাগর, ভারত মহাসাগরের পূর্বে দুটি অঞ্চল, অস্ট্রেলিয়ার অদূরে টাসমান সমুদ্রে এবং আফগানিস্তানের পশ্চিম দিকের একটি অঞ্চল। আফগানিস্তান ছাড়া বাকি কয়টি সাগরে অবস্থিত। সব এলাকাই কিন্তু বারমুডা ত্রিভুজের মতো তিনকোনা নয়, গোল, চারকোনা কিংবা হীরার মতো আকৃতিও আছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এই ১০টি এলাকার অবস্তানের মধ্যে আশ্চর্যরকম সমতা লক্ষণীয়।

নিরক্ষরেখার উত্তরে আছে পাচটি। দক্ষিণে আছে পাচটি। প্রতিটি ক্ষেত্রের তফাৱ ৭২ ডিগ্রি অর্থাৱ পরস্পরের কাছ থেকে সমান দূরে অবস্থিত এগুলো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।