এখনো সবুজ শৈশবে ভর করে লাখো স্বপ্ন বুনি দিন রাত
যাবার কথা ছিল বিরিশিরি , যাওয়া হল না। কারো ছুটি নাই আমার একলা অনেক দিনের ছুটি পড়ে গেছে। সামার সেমিস্টার টা আমাদের তিন মাসে শেষ হয়, এক্মাশের লম্বা ছুতির শেষ ভাগে আমি যখন এখানে সেখানে ঘুর ঘুর করি আর বাকি বন্ধুরা সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা দিচ্ছে। শেষ মেশ শাহাদাৎ রাজি হল যেতে সে একদিনের বেশি বাইরে থাকতে পারবে না ওর বাসায় কেউ নাই। ২৬ তারিখে ভোরে নামাজ পড়ে সাড়ে পাঁচটায় সিলেট গামি পারাবত এক্সপ্রেস ধরতে কমলাপুর স্টেশন এ গেলাম।
টিকেট এখান থেকেই নেবার কথা ছিল। আগে থেকে টিকেট না কাটার একটা জরিমানা সরূপ শোভন শ্রেণী তে ইঞ্জিনের ঠিক পেছনের বগিতে সিট মেনেজ করাল কিছু বেশি টাকা দিয়ে। গরম টা একটু বেশি ছিল। মাঝে মাঝে বৃষ্টি যেমন গা ঠাণ্ডা করে দিচ্ছিল তেমন টেনশনও দিচ্ছিল, আমাদের একদিনের ট্যুর মোটে ট্রেন সহ ১৭ ঘণ্টা আমাদের সময় এখন বৃষ্টি যদি শ্রীমঙ্গল পণ্ড করে আমাদের খালি হাতে ফিরে আসতে হবে। অনেক গল্প গুজব করতে করতে স্টেশন গুলোর নাম মুখস্ত করতে করতে শেষ মেশ ১২ টা ২০ মনিট এ আসলাম শ্রীমঙ্গল।
নিচে শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন এর ছবি। ছবিতে যে ফুল/না অন্য কিছু দেখা জাচ্ছে নাম জানি না এইগুলার কেউ জানলে জানাবেন।
আমাদের ঘুরবার কথা ছিল লাউয়াছরা, ঘড়ি দেখে লাউয়াছরা দিকে রওনা করলাম রিক্সা নিয়ে আস্তে আস্তে ছবি তুলতে তুলতে যাবো বলে। কিসের কি রিক্সা সি এন জির মতো জোরে গেল। ব্যাটারি রিক্সা না কি জেন নতুন চালু হয়েছে বাংলাদেশে।
লাউয়াছরা প্রবেশ করতে ঠিক এমন রাস্তা আর পাখির কিচির মিচির বেকগ্রাউনডে পিন পতন নীরবতা যেন জঙ্গল জঙ্গল পরিবেশর অনুভুতি দিচ্ছিল। এমন রাস্তার কয়েকটা ছবি না তুললেই নয়। রিক্সার চেন পড়ে গেলে সেই সুযোগে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম (নিচে)
যদিও টিকেট কাটার সময় আমাদের বলা হল গাইড নিতে আমরা আমাদের মতো ঘুরতে চাইলাম। অধিকাংশ সময় টুরিস্ট এর চাইতে গাইড অল্প সময়ে ক্লান্ত হয়তে যায়। ভিতরে জত ঢুকছিলাম মুগ্ধ হয়ে বড় বড় গাছ আর জঙ্গল দেখছিলাম।
জঙ্গলের অভিজ্ঞতা আমার প্রথম এবার। কি ছবি তুলবো মাথা ৩৬০ ডিগ্রী বারবার সুইপ করতে করতে দেখতে লাগলাম।
হঠাৎ বিকট শব্দ !!! বেশ কিছুক্ষণ যাবার পর বুঝলাম ট্রেন লাইন আছে মনে হয় আসে পাসে। নিচে একটা অসম্ভব শুন্দর ট্রেন লাইন।
বনের ভেতর ট্রেনর শব্দটা অন্যরকম ছিল।
দুই ঘণ্টার হাইকিং শেষে খাসিয়া পল্লি’র দিকে হাটা আরাম্ভ করলাম কি রাস্তা আর উঁচু নিচু পথ তার পর ও মানুষ এইখানে থাকে। উঁচু একটা বাড়িতে গিয়ে দেখা পেলাম সাদা জবা ফুল !!
এবার ফেরার পালা আমরা দেড় ঘণ্টা সামনের দিকে আসেছি তাই আবার দেড় ঘণ্টা পেছনের দিকে হাঁটলাম। এবার সাত রঙের চা খেতে আবার আরেক উঁচু হোটেলে উঠলাম ।
সাত রং চা !!! এরা বানানো দেখায় না। উপরের দিকে মিষ্টি কম নিচে মিষ্টি বেশি।
শহরে ফিরে যখন হোটেলে ভাত খাচ্ছিলাম শাহাদাৎ আবিস্কার করল ওর গামছা টা নেই ফেলে এসেছে সাত রঙের চায়ের দোকানে। আবার অজু করে মসজিদে ঢুকবো তখন দেখি ওর ক্যামেরা নাই। এদিকে ট্রেন আসার সময় হয়ে গেছে। খাবার হোটেলে গিয়ে দেখি নাই । চা পাতা কিনলাম যে দোকানে সেইখানেই ছিল।
ঝামেলা মুক্ত ট্যুর এ একটু ক্লাইমেক্স খারাপ ছিল না। এক প্যাক চা পাতা কিনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।