শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।
-Bloody fool! Bloody cxxx of a constipated owl! Iv' dug this pond so that you could learn in peace! How long would you take to learn swimming?
-Sir, just a couple of days more.
নতুন কাটা পুকুরে হাবুডুবু খাচ্ছে এনায়েত। এখনো লেফটেন্যান্ট, সাঁতার না জানার জন্যে।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
আলহাকু মুত্তা-কাছুর।
হাত্তা ঝুর-তুমুল মাক্বাবির
কাল্লা সাওফাতা’ লামুন
ছুম্মা কাল্লা সাওফাতা’ লামুন
কাল্লা লাও তা’ লামুনা ইলমাল ইয়াক্বীন
লাতারা উন্নাল জাহীম।
ছুম্মা লাতারা উন্নাহা আইনাল ইয়াক্বীন
ছুম্মা লাতুস আলুন্না ইয়াও-মায়িজিন আনিন নাঈম।
.......
-স্যার আজ সেহরীতে কি মেনু?
আপ্যায়নে অভ্যস্ত ও আনন্দত আমি একটু ভরকে গেলাম! বলে কই! সেহেরী!
-বদ্দার হাটের গরুর মাংস, লতি চিংড়ি।
..................
-এনায়েত তোমাকে না বলেছি পারফিউম দেবে না পান্জাবীতে, জুম্মার সময়, এ্যালকোহল আছে, আতর দাও।
আকর্ন বিসৃত হাসি দিয়ে এনায়েত:
-সরি স্যার।
লম্বা, একহারা, হলিউডের কাউবয় ছবির নায়কের মত চেহারার এনায়েতের একটা বিরল গুণ-সত্যকে জন সমক্ষে সত্য বলা।
-এই হাসো কেন?..
হাত্তা ঝুর-তুমুল মাক্বাবির........
ফিরে এলাম ১৯৮৭র হালিশহর থেকে ২০১০এর ফেব্রুয়ারীর ২৫ তারিখে।
-ওই চ্যারাগের বাপ! ওয়ার্নিং অর্ডার রেডি করছিস?
- স্যার, আর পাঁচ মিনিট( আমার জেষ্ঠ আত্মজের বয়স ২ মাস, তার পরদাদার বাবার নামে নাম দেয়া-চ্যারাগ আলী মৃধা, নাম দিয়েছেন ক্যাপটেন শাকিল।
১৯৮৪র মাঝামাঝি সময়, স্থান: বটেশ্বর, সিলেট।
-শোন্ তোর দুই নম্বর বেড রুমটা যে বুক হয়ে গেছে তা আমি জানি, চ্যারাগের সাথে আমি আর শিপু থাকতে পারবো না?
-স্যার পারবেন, শুধু আমি আপনাদের মেহমানদারী করার সময় পাবো না।
- বড় মেহমানদার আইছেন! কালকে আসতেছি।
-You are welcome sir, along with bhabi.
-ফর্মালিটি চো.....ইস না।
১১ই নভেম্বর, ১৯৮৬, হালিশহর, চিটাগাং। প্রথম গোলন্দাজ পূনর্মিলনীর প্রাক্কালে।
-তুই সৈয়দপুরে আসছিস সপ্তাহের ওপর, আমি জানিনা! ক্লাস শেষ হলেই আমার বাসায় সোজা, শিপুরে বলছি আবাবিল (অতি ছোট পাখি সে সময়ে জাল দিয়ে ধরে জ্যান্ত বিক্রি করতো স্থানীয়েরা) রানতে।
-স্যার, গতকালের ক্লাস টেস্টে ফেল মারছি, সি আই (চিফ ইনসট্রাকটর) কর্নেল আফতাব (বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার , অবসরপ্রাপ্ত, ইউসেপ, বাংলদেশের প্রধান নির্বাহী) কাঁচা খেয়ে ফালাবে, কালকের ইমপ্রুভমেন্টে যদি না পাশ করি।
- ক্ষ্যাতাপুরি তোর টেস্টের, দুপুরে বাসায় না পাইলে খবর আছে।
কনকনে শীতের জানুয়ারী, ১৯৯১, সৈয়দপুর।
-স্লামালেকুম স্যার! মহাখালিতে আপনের নতুন দোকানে গেছিলাম। নন্দনের মত মাছের ডিসপ্লে করেন না ক্যান?
- পাগলা, ওগুলার কত দাম জানোস? আমরা পোষাইতে পারি না।
-স্যার, এমনিতেই ফর্মানিন দ্যান না, সারাদিন এই গরমে মাছগুলা সব নষ্ট হয়ে যাবে।
-আচ্ছা দেখি। তুই তো এখনো আমার সাথে দ্যাখা করলি না।
-সরি স্যার, নতুন অফিসটা সামলায়া আসবো।
জুন/জুলাই, ২০০৮, কড়াইল, ঢাকা।
কাল্লা সাওফাতা’ লামুন
ছুম্মা কাল্লা সাওফাতা’ লামুন....
-ভাইস্যার, ফটিক ছড়ি যাচ্ছি, ফটিকছটিক(ফটিকছড়ির ক্ষীর) আনলে কি দেবেন?
-আন্ডা দিব।
-ঠিকাছে, তাহলে আনবো না।
-আইনোনা, এনশাদ ইকবাল ইবনে আমিন কেমন আছে?
-আপনে আমার ছোট ভাইয়ের পুরা নাম ছাড়া কখনো ডাকেন না কেন?
-ইকবাল তো টাকায় চারটা পাওয়া যায়, কোন ইকবালের কথা বলতেছি বুঝবা ক্যামনে?
দোহাজারী, গোলাবষর্যন রেন্জ, ১৯৮৮-৯০।
-ভাবী যে জলতরংগ বাজায় কখনো বলো নাই তো।
অতি সলজ্জ হেসে ...........
-এটা আবার বলার কিছু হ'ল?
সাভার, ১৯৮৮-১৯৯০।
-এনশাদ, বসে থাকলে খাবার পাবেনা, লোক কিন্তু বেশী আসছে অনেক, চল খাবার নিয়ে নেই।
-চলেন স্যার, আসলে এই আর মাস খানেক, তারপরেই তো আপনেদের দলে।
ওফা পিকনিক, সাভার সামরিক দুগ্ধ খামার, ডিসেম্বর'০৮/জানুয়ারী'০৯
-কাল্লা লাও তা’ লামুনা ইলমাল ইয়াক্বীন
লাতারা উন্নাল জাহীম।
-আপনারা চলে যান, বাবু আমার কাছে থাকবে।
-তোমার কোলে যদি হিসু করে দেয়?
-কিছু হবেনা, খত বাচ্চা এরকম হিসু করেছে।
আপনারা যানতো।
আমি আর আমার স্ত্রী আমাদের ছোট ছোট ছেলে ( ১বছর, ৪ বছর) হায়দারের কাছে রেখে জিওসি, ৯ম পদাতিক ডিভিশন, সাভারের বাসায় গেলাম, নিয়ম রক্ষার্থে, ঈদের দিনে।
আমার ছোট ছেলে সেই যে হায়দারের চওড়া কোল চিনলো....
ছুম্মা লাতারা উন্নাহা আইনাল ইয়াক্বীন
ছুম্মা লাতুস আলুন্না ইয়াও-মায়িজিন আনিন নাঈম।
হায়রে, সেই আমি আর সেই জিওসি, মেজর জেনারেল নুরুদ্দিন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সেই হুমায়ুন হায়দারের কবরে?
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
যেমন বলে বংগবন্ধু হত্যাযজ্ঞের এক খল নায়কের পুত্র বলেছিলেন যে তার আব্বা জানতেন না বংগ বন্ধুকে হত্যা করা হবে।
যেমন লেফট্যান্যান্ট রফিক ফাঁসীতে ঝুলবার, লেফটেন্যান্ট মোসলেহ যাবজ্জীবনে যাবার তিন মাস বাইশ দিন আগে , বলেছিল ..., যে তাদেরকে বলা হয়েছিল জেনারেল জিয়াকে সার্কিট হাউজ থেকে ই বি আর সি (ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টাল সেন্টার)তে নিয়ে আসতে"
তেমনি এবারেও ফারুক, রশীদ, রফিক, নওয়াজিশ, জামিল হোসেনদের
মত সোনা মিয়া, চাঁন মিয়া, সূরুজ মিয়াদের ফাঁসী হয়ে যাবে অন্তরালে থেকে যাবে ওরা..ওরা যে ইশ্বরের মত ক্ষমতাশালী।
....................................................................... আচ্ছা বিডিআর হত্যা যজ্ঞের বেনিফিসিয়ারি কারা?
গত এক বছরে কতগুলো বাংলাদেশীকে বিএস এফ পাখির মতো গুলি করে মেরেছে?
তার আগের দশ বছরে এভাবে কতজন মরেছে?
আসুন, একটু হিসাব কষি।
আল হাকুমুৎ তাকাসুরু............................................
শুধু এই ছবিটি ডেইলি স্টার থেকে নেয়া।
গত বছর আমরা এসময় কে কি ভেবেছিলাম একটু ফিরে তাকিয়ে দেখি:
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, আর কত নমনীয় হবেন? ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪৪
বিডিআর বিদ্রোহ এবং কিছু প্রশ্ন: ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৩৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।