আজ জীবনের পরন্তবেলায় নিজেকে জিজ্ঞেস করি; জিজ্ঞেস করি সেই সব সহযোদ্ধাদের; যারা আজো বেঁচে আছে - কোথায় সেই চেতনা? যে চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশব্যাপি ছড়িয়ে দিয়েছিল অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। পর্যায়ক্রমে সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল যুদ্ধের দাবানল। যার উত্তাপে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল ৯৭ হাজার সুশিক্ষিত হানাদার বাহিনী। আজ কি তারা পারে না সে দাবানল সৃষ্টি করতে আর একবার? যার প্রচণ্ড উত্তাপে জ্বলেপুড়ে ছাড়খার হয়ে যাবে সব চক্রান্তের জাল; অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও স্বার্থপরতায় কলুশিত বর্তমানের ঘুণেধরা সমাজ ব্যবস্থা? অবসান ঘটবে অতীত ব্যর্থতার ধারাবাহিকতার? বর্তমান প্রজন্মের সম্মুখে অন্ধকার অমানিশার পরিবর্তে উম্মোচিত করে দিতে সম্ভাবনাময় সমৃদ্ধশালী এক নতুন বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত?
নিশ্চয়ই আজো ধিক ধিক করে জ্বলছে সেই অগ্নিস্ফুলিঙ্গ আমাদের সবার বিবেকের কোন প্রকোষ্ঠে। খুঁজে নিতে হবে সেই স্ফুলিঙ্গকে; ফিরে পেতে হবে সেই চেতনা; জাগিয়ে তুলতে হবে সুপ্ত শক্তিকে; ছড়িয়ে দিতে হবে দাবানল ’৭১ এর স্বাধীনতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন জাতীয় মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে।
যথাযথ মর্যাদায় বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সুখী সমৃদ্ধশালী এক নতুন বাংলাদেশ। এ গুরুদায়িত্ব সম্পাদনের প্রধান শক্তি বর্তমান প্রজন্ম। ’৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারা হতে পারে এ সংগ্রামে পথ প্রদর্শক - কাণ্ডারী।
বি.দ্র: এ লেখাটি
মেজর ডালিম এর বাংলাদেশের ইতিহাসের না বলা সত্যকে জানুন
থেকে নেওয়া।
আমার বয়সি সকলের জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখতে পাননি।
সত্য জানার চেষ্টা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।