www.nationalnews.com.bd
যুক্তরাষ্ট্রের বেট্টি বারি। ইংল্যান্ডের ইসথার লেইক। অস্ট্রেলিয়ার লিয়া। জার্মানির ইভা। হাজারো বাঙালির পাশাপাশি এদের মতো অনেক ভিনদেশিই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসেছেন রোববার।
শ্রদ্ধা জানিয়েছেন একুশের ভাষা-শহীদদের। ফুল হাতে খালি পায়ে এ দেশের মানুষের সঙ্গে প্রভাতফেরিতে মিলেছেন তারা। এ দেশের মানুষ একুশের আবেগকে কাজে লাগিয়ে মহৎ কিছু করতে পারে বলে জানিয়েছেন তাদের অনেকে।
মাসব্যাপি অমর একুশে বইমেলা সর্ম্পকেও মন্তব্য করেছেন এক ভিনদেশি। ইংল্যান্ডের নাগরিক ডিনা অমর একুশকে ঘিরে মাসব্যাপি বইমেলা সম্পর্কে বলেন, 'ভাষা দিবসের মাসকে ঘিরে তোমাদের বইমেলা অসাধারণ একটি উদ্যোগ।
' যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা বেট্টি বারি চাকরি করেন ঢাকার আইসিডিডিআরবিতে। স্বামীসহ থাকেন এদেশে। নগ্ন পায়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন তিনি। বারি বলেন, "ভাষার জন্য বাঙালির প্রাণদান বিশ্বকে ঋণী করেছে। আজ এটি কেবল কোন দিবস নয়।
এটি বিশ্বময় বিভিন্ন জাতির সেতুবন্ধনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। "
সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে তখনই আর ফিরতে পারলেন না ইংল্যান্ডের ইসথার লেইক। পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনারের দিকে হাজার মানুষের সারি বেঁধে আসার দৃশ্য দেখে বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকেন দীর্ঘক্ষণ। ঘুরে ঘুরে দেখেন গোটা এলাকা।
এশিয়ান ডিজাস্টার সেন্টারে চাকরির সূত্রে বাংলাদেশে থাকেন বৃটিশ নাগরিক লেইক।
তিনি বলেন, "লন্ডনে যখন দেখতাম বাঙালিরা সকালে এ দিবসটি উদযাপন করতে যাচ্ছে, তখন কেমন অস্বাভাবিক মনে হতো। এখন তাদের সেই সাংস্কৃতিক শক্তির উৎস বুঝতে পারছি। " এ শক্তির কারণেই একদিন বাংলা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার লিয়া বলেন, "গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে (ভাষা আন্দোলনের) এ ঘটনা ঘটেছে। অথচ সেটি আজও মানুষকে এত প্রেরণা দিতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা যেত না।
"
ইভা বলেন, "ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত এই শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার এই অভিজ্ঞতা আমাকে সারা জীবন গর্বিত করবে। " শহীদ মিনারে ফুল দিতে কলকাতার যাদবপুর থেকে এসেছেন ছয়জন। এরা হলেন- কিশোর সান্যাল, রাধা সান্যাল, অঞ্জলী ঘটক, ভানু ঘোষ, মধুবাবু ও মঞ্জু।
৭৫ বছর বয়সী কিশোর বলেন, "প্রতি বছর আমরা কলকাতার শহীদ মিনারে ফুল দেই। আজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আজন্ম লালিত একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করলাম।
" নেদারল্যান্ডসের নাগরিক হ্যারি বলেন, "আজকের মানুষের ঢল দেখে আমি বুঝতে পারছি এ জাতির ভাষা কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা কারো ছিলো না। সময়ের বিবর্তনে এ ভালোবাসা একটুও বিবর্ণ হয়নি। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।