www.nationalnews.com.bd
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে গিয়ে প্রতিবারের মত এবারো ও ইতালী ফেনী জেলা সমিতি ইতালীর পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিওস্থ কাঁচা বাজার সংলগ্ন নির্মিত বেদিতে পুস্পার্পণ শহীদ মিনারে ফুল দিয়েছে মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় বুকের রক্ত ঢেলে দেওয়ার দিন। সালাম, রফিক, বরকত আর শফিউরের মতো বিষণ্ন থোকা থোকা নামগুলো স্মরণ করে গর্বে বুক ভরে ওঠার দিন। কালের পরিক্রমায় এই দিনটি গোটা বিশ্ববাসীর জন্যই মাতৃভাষাকে সম্মান জানানোর উপলক্ষ। ব্রিটিশ ভারত ভেঙে পাকিস্তান হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই পূর্ববাংলাবাসীর প্রথম মোহভঙ্গ ঘটেছিল এই ভাষাকে কেন্দ্র করেই। যে ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে বাঙালি তার আত্মপরিচয় আর স্বাতন্ত্র্য নিয়ে প্রথমবারের মতো সচকিত হয়ে উঠেছিল, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি তার সবচেয়ে উজ্জ্বল ক্ষণ।
ভাষার দাবিতে আন্দোলন চলছিল কয়েক বছর ধরেই। পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির মুখের ভাষাকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার অজুহাতে উর্দুকে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের আভাস পেতেই প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল বাঙালি। ১৯৪৮ সালের ২১ ও ২৩ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুর পক্ষে ওকালতি করলে প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল ছাত্র-জনতা। বুদ্ধিজীবী-ছাত্র-জনতা গড়ে তোলে দুর্বার আন্দোলন।
এভাবেই ঘনিয়ে এসেছিল বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি।
ভাষার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে আগের দিন সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকায় ঘোষিত হয়েছিল ১৪৪ ধারা। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় ১৪৪ ধারা না ভাঙারই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু পরদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় সমবেত বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৪৪ ধারা ভেঙে ১০ জনের এক একটি দল মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায় সামনের দিকে। কণ্ঠে সবার স্লোগান: রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।
পুলিশ বাধা দেয় সে মিছিলে। শুরু হয় লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস। এবং একসময় গুলি। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন রফিক, বরকত, জব্বার, ৫২র ফেব্রুয়ারীতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বিশ্বের বুকে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মত অগনিত মৃতু্ঞ্জয়ী ভাইয়েরা। মায়ের ভাষার মর্ষদা রক্ষা করার জন্য বুকের তাজা রক্ত দানের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন আমাদের এই মাতৃভাষা।
তবেইতো সেই ভাষা আজ আন্তজাতিক মাতৃভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
শোক বিহবলতা ও বেদনা আর আত্নত্যাগ ফেনীবাসীরও রয়েছে। ভাষা সৈনিক এ্যাডভোকেট গাজীউল হক ও শহীদ সালামের জন্মভুমি ফেনী জেলাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকল শহীদের রুহের আত্নার মাগফেরাত কমনা করছি।
ফেনী জেলাবাসী লাল সবুজের পতাকায় বিশ্বাসী। তাই ষেখানেই শহীদ মিনার সেখানেই ফেনীবাসীর শ্রদ্ধা।
খবর //ন্যাশনাল নিউজ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।