আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

| সিলেটের ভাষা আন্দোলন | দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ |



১৯৫২ সালের মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকে ভাষা আন্দোলন বলতে সাধারণত ‘৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকেই গণ্য করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ভাষা আন্দোলন আরম্ভ হয় কতকগুলো ঘটনা থেকে ১৯৪৭ সালে। দেশ বিভাগের পর থেকে আমাদের মনীষী মহলে এদেশের ভাষা নিয়ে একটা জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা কি হবে এ প্রশ্ন উঠেছে-এ ঢাকা শহরের প্রবলভাবে। মরহুম মনীষী ও রাষ্ট্রনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমদ, অধ্যাপক (পরে ডঃ) কাজী মোতাহার হোসেন ও অধ্যাপক আবুল কাসেম এ প্রসঙ্গে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ এ নামে একখানা পুস্তক ও প্রণয়ন করেন ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

তাতে ভাষা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু ও বাংলা হওয়া উচিত এবং তাতে পূর্ব পাকিস্তানের সরকারী ভাষা বাংলা হওয়া উচিত। এরপর তৎকালীন পাকিস্তান গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা ভাষা সম্বন্ধে যে প্রস্তাব উত্থাপন করেন তাতে বিরোধীতা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মরহুম লিয়াকত আলী খান। এসব ব্যাপারে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়। আন্দোলন প্রকট আকার ধারণ করলে প্রাদেশিক চীফ মিনিস্টার খাজা নাজিমুদ্দিন সংগ্রাম পরিষদের দাবী মেনে নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এরপর কায়েদে আজম ঢাকা এসে ঘোষণা করেন-উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।

জিন্নাহ সাহেবের বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে যদিও আন্দোলন তখনকার মত চাপা পড়ে যায়, তবুও এদেশের ছাত্র-জনতা ভাষার দাবীতে ধীরে ধীরে সংঘবদ্ধ হতে থাকে। আমি তখন সুবিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা মাহমুদ আলীর সঙ্গে একযোগে “নও বেলাল” নামক একখানা সাপ্তাহিক পত্রিকা সিলেট থেকে ১৯৪৮ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে প্রকাশ করি। আমরা উভয়েই কায়েদে আযম বা লিয়াকত আলী খানের এসব বত্ত্নব্যের বিরোধিতা করি। এ উপলক্ষে সিলেট গোবিন্দ চরণ (বর্তমান হাসন মার্কেটে পরিণত) এক প্রতিবাদ সভা আহবান করি। সে প্রতিবাদ সভাকে চোঙ্গাযোগে সর্বত্র প্রকাশ করলেও তাতে সমবেত হয়েছিলেন মুষ্টিমেয় লোক।

আমি ও মাহমুদ আলী ব্যতীত তাতে ছিলেন রাজপাশার আমার খালাতে ভাই দেওয়ান আবুল মনসুর অহিদুর রাজা মকসুদ আহমদ হলেন (মরহুম পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ইরশাদ আলী সাহেবের ছেলে), দেওয়ান অহিদুর রাজার চাকর রেহান আলী এবং বাইরে থেকে প্রচারকার্য চালিয়েছিলেন পীর হাবিবুর রহমান। সিলেট তখন বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে খুব জোরেশোরে প্রচারকার্য চালিয়েছিলেন একদশ প্রাচীনপন্থী লোক। তাদের বক্তব্য ছিল উর্দু কুরআন শরীফের অক্ষরে আরবী হরফে লেখা হয়। বাংলা হিন্দুদের ব্রাক্ষ্মী অরে লেখা হয়, উর্দুতে মুসলমানদের দ্বীনের পুস্তকাদি প্রচুরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় বেশীর ভাগ পুস্তকাদি হিন্দুদের লেখা।

অতএব মুসলিমদের পক্ষে উর্দুকেই তাদের ভাষা হিসাবে গ্রহণ করা উচিত। সিলেট শহরের বাসিন্দা খানদানী পরিবারের লোকদেরও বাংলা ভাষার প্রতি কোন সহানূভুতি ছিল না। গোবিন্দ চরণ পার্কে সভা আরম্ভ করার সূচনাতে মরহুম রাজনৈতিক নেতা আজমাল আলী চোধুরীর ভাগিনা ঝড়ের বেগে প্রবেশ করে মকসুদ আহমদকে আমার ও মাহমুদ আলী মাঝে থেকে ধরে নিয়ে তার গায়ে থেকে কাপড় খুলে নিয়ে পার্কে এক মাথা থেকে অন্য মাথায় বার কয়েক টেনে নিয়ে তার সমস্ত শরীর রক্তাক্ত করে দিয়েছিলেন। তার ফলে সে বেচারীর সারা শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ঝরতে থাকে। আমাদের উপর কোন হামলা চলেনি বটে, তবে শহরের নানা স্থানে কাগজের প্লেটে লেখা থাকতো ‘নওবেলাল কম্যুনিস্ট চক্র থেকে সাবধান।

’ তখন মাহমুদ আলী থাকতেন কুমারপাড়ায়। আমি নওবেলাল পত্রিকায় মরহুম লিয়াকত আলী বিরুদ্ধে এক সম্পাদকীয় লেখার জন্য মরহুম আজমাল এক ট্রাক লোক নিয়ে সে বাসায় অবস্থিত আমাকে ও মাহমুদ আলীকে উদ্দেশে করে নিন্দা করে শ্লোগান দিয়েছিলেন। এসব প্রতিক্রিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মরহুম রাজনীতিবিদ ও পরবর্তীকালে পাকিস্তান সরকারের ইন্দোনেশিয়াতে নিযুত্ত্ন রাষ্ট্রদূত মোদব্বির হোসেন চৌধুরী। এই আজমাল আলীও পরবর্তীকালে পাকিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন। অথচ এই আজমাল আলী পাকিস্তানের অন্যতম নেতা মাওলানা ভাসানীর আহবানে গৌহাটীতে দীর্ঘদিন জেল খেটেছিলেন।

সিলেটের মুসলিম মহিলাদের মধ্যে তখন দু’জন নেত্রী ছিলেন। খান বাহাদুর দেওয়ান আব্দুর রহীমের স্ত্রী বেগম জোবেইদা ও মরহুম নেতা আব্দুর রশীদ চৌধুরীর স্ত্রী ও হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর মাতা বেগম সিরাজউন নেসা। বেগম জোবেইদা তার অনুসারীগণসহ আমাদের প্রীয় মকসুদ আহমদের উপর এ অমানুষিক অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করেন। তার স্বপক্ষে মহিলাদের উপর ছিলেন বেগম সৈয়দা লৎফুন্নেসা (সৈয়দ মুর্তাজা আলী মরহুমের সহোদরা)। এ ঘটনার পরে আমাকে ও মাহমুদ আলীকে সতর্কভাবে দিনযাপন করতে হয়েছে।

উড়ো খবর আসতো পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ভাষা আন্দোন করার অর্থাৎ একেবারে দুনিয়া থেকে চলে যাওয়া। তবে ভাষা আন্দোলনের এ বিরোধীতা দীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারেনি। মাস দুয়েকের মধ্যে। চাকা ঘুরতে আরম্ভ করে। যুব সমাজের ছেলেরা বাংলা ভাষার পক্ষে দলে দলে আসতে লাগলো এবং ‘৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে সিলেট শহর প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস বিশেষ কারো ছিল না।

‘৪৭ ইংরেজীতে স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৪৪ ইংরেজীতে প্রতিষ্ঠিত সুনামগঞ্জ কলেজের হিন্দু অধ্যাপকগণ সে কলেজের চাকরিতে উস্তফা দিয়ে ভারতে চলে যাওয়ার ফলে কলেজের মাত্র ৪ জন অধ্যাপক ছিলেন। আরবী ভাষায় অধ্যাপক নাজির উদ্দিন চৌধুরী, রসায়ন বিজ্ঞানের একজন হিন্দু অধ্যাপক যতীবিনোদ হিংহ বলে একজন ডেমোনেষ্ট্রটর ও সুনামগঞ্জ জুবিলী হাই স্কুলের সংস্কৃত ও বাংলা শিক্ষক খন্ডকালীন শিক্ষক ন্যায়বিদ্যার অধ্যক্ষ। কাজেই ইংরেজী, লজিক, অর্থনীতি, প্রভৃতি বিষয়ের ও বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থবিদ্যা ও তৎকালীন প্রভৃতি বিষয়ের শিক্ষকের অভাব ছিল গতিকে তৎকালীন সুনামগঞ্জ কলেজের অন্যতম সংগঠক জনাব মুনাওর আলী আমাকে সে কলেজের ভার গ্রহণ করে একদিকে শিক্ষাদান অপরদিকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্ব গ্রহণ করতে ঘন ঘন তাগিদ দিচ্ছিলেন। ‘৪৪ সালে সুনামগঞ্জ কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় আমিও সংগঠনদের অন্যতম ছিলাম। কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় পরিবার থেকেও দু’হাজার টাকার মত দান করেছিলাম।

আমাদের পার্শ্ববর্তী দোয়রাবাজারর জমিদারদের নিকট থেকেও দু’হাজার টাকার মত চাঁদা সংগ্রহ করে দিয়েছিলাম। কলেজটি এ সংকটকাল, আমি তাকে এ অবস্থায় ধ্বংস হতে দেখে সুনামগঞ্জে চলে এসে তাকে রা করার ব্যবস্থা করা অবশ্য কর্তব্য বলেই গণ্য করি। তাছাড়া পত্রিকা পরিচালনা করার ব্যাপারে মাহমুদ আলী সে পত্রিকাকে কম্যুনিস্ট মতবাদের ভিত্তিতে পরিচালনা করতে চাইতেন। আমি তাকে ইসলামভিত্তিক সমাজবাদে ভিত্তিতে পরিচালনা করার চেষ্টা করার সূচনাতেই তার সঙ্গে আমার মতভেদ দেখা দেয়। এজন্য ১৯৪৮ সালে ২০ নভেম্বর আমি সুনামগঞ্জে চলে গিয়ে কলেজের দায়িত্ব গ্রহণ করি, প্রথমে খন্ডকালীন অধ্যাপক পরে স্থায়ী অধ্যাপকরূপে, অল্পদিনের মধ্যেই সহকারী অধ্যরূপে এবং ১৯৫৩ সালে স্থায় অধ্য দিগীন্দ্রনাথ ভট্রাচার্য হাইলাকান্দিতে অধ্য নিযুত্ত্ন হয়ে চলে গেলে আমাকে তার স্থলে অস্থায়ী অধ্যরে পদে নিযুত্ত্ন করা হয়।

অতঃপর ১৯৫৪ সালে এপ্রিল মাসে আমাকে স্থায়ী অধ্যরে পদে নিযুত্ত্ন করা হলে ১৯৫৭ সালে ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অর্থাৎ নরসিংদী কলেজের অধ্য পদে নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমি সুনামগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলাম। সুনামগঞ্জে চলে আসার পরে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, আমার এ নিয়োগ কম্যুনিস্ট মতাবলম্বী লোকগণ মোটেই পছন্দ করেননি, ১৯৫২ সালে ঢাকার বুকে যখন সালাম, বরকত, জব্বার প্রমুখ ভাইদের হত্যা করা হয় এবং বাংলা ভাষার দরদী আরও ভাইগণকে হত্যা করা হয় এবং বাংলা ভাষার দরদী আরও ভাইগণকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়, তখন সুনামগঞ্জের সর্বত্রই আবার আগুন জ্বলে উঠে। সুনামগঞ্জ কলেজের জুবিলী হাই স্কুলের, ভুলচাঁদ হাই স্কুলের তখনকার দিনের মাদ্রাসা পাঠশালা প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রগণ সংঘবদ্ধ হয়ে শ্লোগান সহকারে এ শহর প্রদক্ষিণ করতে শুরু করে। আমি তখন হাসননগরে অবস্থিত সেল বংশের জমিদার আব্দুল হান্নান চৌধুরীর বাসায় থাকতাম। আমার সঙ্গে থাকতা মরহুম আব্দুল হক।

সেই এ আন্দোলনে নেতৃত্বদান করতো। আমার সে বাসা থেকে এ মারমুখী কাফেলা রওয়ানা দিয়ে লণচীর তেঘরিয়া দিয়ে মরহুম ফয়েজ আলী মিঞা সাহেবের বাসা প্রদক্ষিণ করে গৌরীপুরের জমিদারীর কাছারির সামনে দিয়ে হাসননগরের পূর্ব প্রান্ত সীমা পৌছে ফিরে এসে আমার বাসার সামনে থামলো। তখন কিছুক্ষণের বিশ্রামের জন্য থামলেও পরে আবার শ্লোগানসহ শহর প্রদক্ষিণ করতো। এ সময় দক্ষিণ মল্লিকপুর পর্যন্ত এ কাফেলা প্রায় পকাল পর্যন্ত তাদের কর্তব্য পালন করে। সুনামগঞ্জের মহকুমা হাকিম ছিলেন এ, কে, কিউ কাজী মুকিম উদ্দিন আহমদ।

তার ২য় পুত্র তখন আমার ২য় পুত্র আবুল মনসুর মোহাম্মদ শায়েরুজ্জামানের সঙ্গে একই শ্রেণীতে কাস নাইনে পাঠরত ছিল। সে ছাত্র সমাজের মধ্যে এক অতিশয় ক্ষ্যপা নেতার মত সকলের আগে থাকতো। পরে শুনতে পেরেছি প্রবেশিকা পরীক্ষা ও মাধ্যমিক পরীক্ষায় খুব ভালভাবে সফল হয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অত্যন্ত সুফল লাভ করে আমেরিকাতে গিয়ে আরও উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেছিল। মহকুমা হাকিম কাজী মুকীম উদ্দিনের ভাষা আন্দোলনের হোতাদের প্রতি খুব আন্তরিক সহানুভূতি ছিল। তিনি কাউকে গ্রেফতার করেননি বা কারো বিরুদ্ধে জেলা শাসকের কাছে কোন রিপোর্টও দেননি।

তবে আমার বিরুদ্ধে আই, বি, বিভাগের লোকদের বিষাক্ত রিপোর্ট ছিলো। ইতিমধ্যে অধ্যক্ষ পদে একবার বরখাস্ত হয়ে ভাগ্যক্রমে এক অফিসারের সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে চাকরি ফিরে পাই। ইতিমধ্যে এ, এইচ, উসমানী, পিএইচডি এক ডেপুটি কমিশনার সিলেটে এসে আমার নিকট থেকে নানা কৈফিয়ত তলব করে আমাকে নানাভাবে পীড়ন করতে লাগলেন। তার কাছে আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট ছিল আমি তমুদ্দুর মজলিসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং সে সংগঠন একটি অর্ধ সমাজতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। তিনি ঢাকাবাসী আমার সাহিত্যিক বন্ধুদের নিকট লিখিত ডিটেকটিভ মারফতে সংগৃহীত পত্র খুলে দেখালেন তাতে আমি তাদের এ দেশের দরিদ্র জনসাধারণরে মুক্তির জন্য চেষ্টা করতে প্ররোচনা দিয়েছি।

আমার সাহিত্যিক বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র শাহেদ আলীর নিকট লিখিত পত্রে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আবেগপূর্ণ ভাষার আহবান করছি-এ জন্যই বোধ হয় সে যাত্রায় আমি রক্ষা পেলাম। কাজই ভাষা আন্দোলন আমার জীবনের এক অধ্যায়ে নানাভাবে আমাকে অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত করে ফেলে। সে সময় তমদ্দুন মজলিসের সঙ্গে ভাষা আন্দোলন এমনভাবেই জড়িত ছিল যে, তমুদ্দুন মজলিসের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট হলেই ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হতো। সিলেটের অন্যান্য স্থানে ভাষা আন্দোলনের কর্মীদের উপরও নানাভাব নির্যাতন হয়েছে। সে সংবাদ আমরা আমাদের কর্মীগণের মাধ্যমে যথাসময়ে পেলেছিলাম।

আমাদের কাছে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব রয়েছে সমধিক। এ ভাষা আন্দোলনের ফলেই আমরা আমাদের স্বতন্ত্র সত্তা সম্বন্ধে অবহিত হয়েছি এবং তারই পরিণতিতে আমরা আমাদের স্বাধীনতা লাভ করছি। [মাতৃভাষা দিবস ২০০০ উপলক্ষে]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।