ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বি এস ফ এর হাতে আর কত বাংলাদেশী খুন হবে? আর কতদিন সইবে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর নির্যাতন? ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে?
নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সিমান্তে ভারতের বিএসএফ (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) বাংলাদেশী সাধারণ মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ বেশকয়েকবার শক্ত প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। এক কথায় ভারতের কাজ ভারত ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্তে কয়েকদিন পর পর পতাকা বৈঠক হয়। কিন্তু কোন সমাধান হয় না।
একদিকে বিএসএফ সাথে বিডিআর বৈঠক করে অন্যদিকে ঐদিনই আবার মানুষ হত্যা করে ভারত। এভাবে গত এক বছরে ৯৭ জন নিরীহ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে।
গত ১০ বছরে তারা হত্যা করেছে ৮২১ জনকে।
সর্বশেষ পঞ্চগড়ের অমরখানা ও মাধুপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলি ও মারধরে দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার নরদেব গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন আনোয়ার হোসেন (৬০) ও হাড়িভাসা ইউনিয়নের কৃষক ইসলাম মিয়া (৩৮)।
গত বৃহস্প্রতিবার ভোরে মেইন ৪৪৪ পিলারের ১ ও ২নং সাবপিলারের মাঝামাঝি এলাকায় আনোয়ারের লাশ পাওয়া যায়। পঞ্চগড়ের অমরখানা ও মাধুপাড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলি ও মারধরে দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার নরদেব গ্রামের মানসিক ভারসাম্যহীন আনোয়ার হোসেন (৬০) ও হাড়িভাসা ইউনিয়নের কৃষক ইসলাম মিয়া (৩৮)।
গত বৃহস্প্রতিবার ভোরে মেইন ৪৪৪ পিলারের ১ ও ২নং সাবপিলারের মাঝামাঝি এলাকায় আনোয়ারের লাশ পাওয়া যায়। বিকালে ওই সীমান্তের ৭৪৪নং মেইন পিলার এলাকায় বিডিআর-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিএসএফের আলফা কোম্পানি কমান্ডার পান সিংহ ও বিডিআরের ভিতরগড় কোম্পানি সদরের কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ আনোয়ার হোসেনের লাশ বিডিআরের কাছে ফেরত দেয়। বুধবার বিকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাধুপাড়া সীমান্তে মোঃ ইসলাম মিয়া (৩৮) নামে এক বাংলাদেশী কৃষককে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।
৫দিন আগেও সিমান্তে নির্যাতন করে ৫জনকে আহত করে বিএসফ।
এর আগে ৩০ জানুয়ারি বেনাপোলের পটুয়াখালী সীমান্তে বিএসএফ আবদুল জলিল নামে এক বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এর দুদিন আগে ২৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে শ্যামল সরকার নামে এক বাংলাদেশী বিএসএফের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। সেইদিন আমি চাপাই নবাবগঞ্জে ছিলাম। গত বছর ২৩জুন চেংরাবান্ধা সীমান্তেও বাংলাদেশী হতবাগ্য যুবকের লাশ দেখেছিলাম। ওখানের মানুষের কাছে শুনেছি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশীদের হত্যা করার লোমহর্ষক কাহিনী! হত্যার পরও লাশ নিয়ে টানা-হেচড়া করা হয়। আত্নীয়-স্বজনরা একবার বিএসএফ আবার সীমান্তের পুলিশের কাছে দৈাড়াদড়ি করেও কোন কোল পাননা।
আবার অনেক সময় লাশ পেতে ৩/৪দিন সময় লাগে। তাদের অপরাধ তারা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাস করে। তারা অধিকাংশই গরীব । প্রায় এধরণের ঘটনার পর বিডিআর ও বিএসএফ এবং উচ্চপর্যায়ের প্রতিটি সভায় সীমান্তে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ নিয়ে আলোচনা হয়। এসব সভায় বিএসএফ সবসময় হত্যা বন্ধ করার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।
এঅবস্থা দেখে মনে হয়,বাংলাদেশে লোক সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভারত বন্ধদেশ হিসেবে আমাদের কিছু মানুষ কমিয়ে দিচ্ছে,আর বাংলাদেশ সরকার নিরব সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় মাঝে মাঝে প্রতিবাদ লোক দেখানো। নইলে তাদের কান্না বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার থেকে ভারত সরকার পর্যন্ত কারো কাছে যায় না। তা না হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকারে সাথে 'সিমান্তে মানুষ হত্যার' বিষয়ে সমাধান করে আসলেন না কেন? অথচ তিনি ভারত থেকে দেশের মাটিতে পা রেখেই বললেন আমাদের বেশি লাভ হয়েছে। মেনে নিলাম আপনার দৃষ্টিতে বেশি লাভ,কিন্ত আমরা তাৎক্ষনিক লাভ দেখতে চাই।
সীমান্তে বাংলাদেশী মানুষ হত্যা বন্ধের তাৎক্ষনিক লাভ দেখা মনে হয় না অযৈাত্তিক হবে। বাকি ব্যাবসায়িক লাভ না হয় পরেই দেখবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।