আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তবে কি বাংলাদেশেও বোরকা/হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে যাবে?



ইডেম মহিলা কলেজের হোস্টেলে বোরকাধারীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ+ছাত্রলীগ ও পুলিশ ত্রিমুখী আক্রমন চালাচ্ছে। অনেকে হয়েছে গ্রেফতার। আওয়ামী সরকার কি কৌশলে বোরকা/হিজাব নিষিদ্ধ করার পায়তারা চালাচ্ছে? ইডেন ও বদরুন্নেছায় বোরকা পরা ছাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযান স্টাফ রিপোর্টার এবার ইডেন ও বদরুন্নেছা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে মহিলা ছাত্রীনিবাসে অভিযান শুরু হয়েছে। ছাত্রলীগের সহায়তায় পুলিশ বিভিন্ন ছাত্রীনিবাসে অভিযান চালিয়ে বোরকা পরা ছাত্রীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ছাত্রলীগের নেত্রীরা ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কর্মী সন্দেহে বোরকা পরা ছাত্রীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে পুলিশকে জানানোর আগেই তারা ছাত্রীদের অন্যায়ভাবে আটক করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কক্ষের ভেতর বন্দি করে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছে। গত দুদিন ধরে রাজধানীর কয়েকটি কলেজের ছাত্রীনিবাসে বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে আটক করা হয়। পরে তারা আটকৃতদের পুলিশে সোপর্দ করে। আটক হওয়া ছাত্রীদের মধ্যে পুলিশ অনেককে ছাত্রীনিবাস থেকে বের করে দিয়েছে। অনেককে আবার শর্তসাপেক্ষে থাকার অনুমতি দেয়।

অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার ঘটনা কিছু উত্সুক পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেত্রীরা আগেই বিভিন্ন মিডিয়ায় জানাচ্ছেন। এমনকি বোরকা পরা ছাত্রীদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে গুজব ছড়িয়েও তাদের ছবি তোলার জন্য সংবাদকর্মীদের ডেকে আনেন তারা। জানা যায়, গতকাল বিকালে ইডেন কলেজে ৬ ছাত্রীকে আটক করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। লালবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশ আটককৃতদের অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশ জানায়, আটককৃতদের কাছ থেকে কিছু ইসলামী বই পাওয়া গেছে।

এগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় লালবাগ থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার সরকারি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। একইভাবে সরকারি বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের ছাত্রীনিবাস থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ৬ কর্মীকে বের করে দেয়া হয়েছে। গত বুধবার রাতে তাদের আটক করে পরের দিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বের করে দেয়া হয়। জানা গেছে, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ঝরা, সাধারণ সম্পাদক সানজিদা কুদ্দুস, সহসভাপতি সাইয়্যেদা সুলতানা শিমুল, আকলিমা আক্তার সোমাসহ বেশ কয়েকজন নেত্রী ছাত্রীনিবাসের ৪০৭, ৪০৯ ও ২০১০ নম্বর কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে দ্বাদশ শ্রেণীর মারুফা, স্নাতক শ্রেণীর সুমাইয়া, তামান্না, সানিয়া, ময়না ও রুনাকে আটক করে।

পরে ছাত্রলীগের সভাপতি ঝরার নেতৃত্বে আটককৃতদের ছবি তোলা হয়। রাতভর তাদের নামাজ ঘরে আটক রেখে নির্যাতন চালানো হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও খবর দেয়া হয়নি। বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ঝরা জানান, আটককৃত ছাত্রীদের কাছে বিভিন্ন ইসলামী বই পাওয়া গেছে। তারা ছাত্রীনিবাসে থেকে গোপনে সাধারণ ছাত্রীদের মাঝে সংগঠন বিস্তার করার চেষ্টা করে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।