লেখতাম কম, পড়তাম তারচে' বেশী। কমেন্টাইতাম তারচে'ও বেশী। ব্লগীয় যাদু টোনা বান ইত্যাদি হৈতে মডারেটর মহোদয়গনের কাছে "নিরাপদ" আশ্রয় কামনা করি।
ক্রিস্টোফার নামক জনৈক ব্লগারবিশেষের বাড়ি গিয়া রিতিমতন হোঁচট খাইলাম। সে একজন আত্মস্বীকৃত নারীবিদ্বেষী।
আসলে গতরাত্রে জনৈক বন্ধুর প্রেমিকার কর্মকান্ডের বিবরন শুইনা আমার ক্যান জানি "পুরুষ খেকো নারী" কথাটা মনে আসলো। আপসুস, গুগুল হালায় বাংলা লেক্তে পারে কিন্তু পড়তে পারে না। নাকি পারে? আমার জানা নাই। কি আর করা, ছুডুকালের শিখা ইংরিজি পেটের গহীন অতল থেইকা বাটি চালান দিয়া নিয়া আইলাম। মনে পরলো, মানুষখেকো বাঘ ইংরিজি হৈলো ম্যান ডিভোরিং টাইগার।
সেই অনুপাতে লেইখা দিলাম খাপের খাপ ম্যান ডিভোরিং ওম্যান। আরে মর জ্বালা। ডিভোরিং বানানডা হৈসে ভুল। গুগুল মামায় কৈতাসে - ডিড ইউ মিন ডিভৌরিং (মামায় মনে অয় ছাইপুর'চ থেইকা ইংরিজি শিকসে)? আমি কই ... ঐ হৈল, যা বেটা ... ইংরিজি বই বন্ধ করসি কি আইজকা নাকি? এদ্দিন চর্চা না করলে লর্ড কার্জনও মাতৃভাষা ভুইলা যাইবোগা..... আর তুই আইছোস বেটা গিয়ান বিলাইতে।
মনে মনে বিড় বিড়াইতাসি, অমতেই চৌখ পরলো একটা লিংকে।
দেখি লেখা আসে " আই হেট উইমেন"। কয় কি পাপের কথা???!!!!! সর্বুপরি ঠকার কথা। ইউ আন্ডা স্ট্যান ম্যান???
ক্লিকায়া কৈলাম - খুল যা সিম সিম। দেখি ক্রিস্টোফার বাবার মনে কি আছে!!!
স্বীকার কর্তৈব যে লেখায় ধার আছে। শিরোনাম দিছে সাম অফ মাই থটস, মাইনি অইলোগা আমার কিছু ভাবনা।
আর তেনা না পেচায়া সরাসরি কাজে নামি। লেখাডারে ইংরেজি থেইকা বাংলায় রূপান্তরিত করি। হাজার হৈলেও এইডা ফেব্রুয়ারি না থুক্কু ফাল্গুন মাস।
আমার কিছু ভাবনা
৯ই সেপ্টেম্বর ২০০৩
বন্ধুগন,
গতকালকে আমি আমার একজন ভালো বন্ধুর সাথে দুপুরের খাবার খেয়েছি। ইদানিংকালে সে আমার ভেতরে যেসব পরিবর্তন লক্ষ্য করেছে, বিশেষভাবে মেয়েদেরপ্রতি আমার দৃষ্টভংগির পরিবর্তন ও একজন সৎ যৌনসংগীর অভাবে আমার দিনদিন একা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটায় সে বেশ সংকিত ছিল।
সে চাইছিল এ ব্যাপারে আমার দৃষ্টভংগিতে পরিবর্তন আনতে। সে খুবি চেস্টা করেছিল।
ব্যাপার হচ্ছে যে, আমার বন্ধু ডন প্রায় আমার সমবয়সী। সে অবিবাহিত। সে চাকরী করে।
বাড়ি, গাড়ি ও অন্যান্ন প্রায় সবদিক থেকেই আমরা সমপর্যায়ের। আমাদের মধ্যে অনেক কিছুতেই মিল আছে।
ডন কঠোর ভাবে বিয়ে করার বিরুদ্ধে এবং স্পষ্টতই একজন নারী-বিদ্বেষী। সে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু, মেয়েদের মধ্যে সে যে অনৈতিকতা দেখতে পেয়েছে সেজন্য সে খুবি অসন্তুষ্ট।
সে খুবি শান্তভাবে আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে পারবে যে সে মেয়েদের ঘৃনা করে।
গতকালের আগপর্যন্ত কখনোই আমি ডনের মা'কে দেখিনি। একজন দারুন মহিলা। তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত। কিন্তু এতদস্বত্বেও তিনি একজন চমৎকার মহিলা।
আমি তাঁর সাথে বেশ কিছুক্ষন কথা বলেছি। ডন তাঁকে আমার একাকিত্বের কথা বলেছে এবং তিনি আমাকে বেশকিছু ভাবার বিষয় যুগিয়েছেন।
তিনি একজন মার্জিত আচরনের বয়স্কা ভদ্রমহিলা। মেয়েদের সম্পর্কে তিনি যেসব মন্তব্য করলেন নিজে একজন নারী হয়ে সেটা সত্যিই ভাবিয়ে তোলে। তাঁর মত একজন জ্ঞানী মহিলার কথা শুনে, আমি যে মনে মনে মেয়েদের নৈতিক অবক্ষয়ের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিলাম সেজন্য বলতে গেলে স্বাচ্ছন্দবোধই করলাম।
আমার মনে একটা সংশয় ছিল যে আমি হয়তো মেয়েদের প্রতি অযাচিতভাবে কঠোর। কাউকে হেয়জ্ঞান করার বা আঘাত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নাই, মেয়েদেরতো নয়ই।
তিনি সুস্পষ্টভাবেই মেয়েদের নৈতিক চরিত্রের স্খলন ও সততাবোধের অভাবের কথা বল্লেন, বিশেষভাবে ৪০ এর নীচে যাদের বয়স তাদের সম্পর্কে। তনি বল্লেন এটা একটা নতুন প্রজন্ম এবং বিদঘুটে। আমার মা'ও এসব মেয়েদের কথা বলতে গিয়ে একি শব্দ ব্যাবহার করেন।
সত্যিই একটা পার্থক্যসূচক প্রজন্ম।
আমি তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু জানলাম যা আমাকে প্রাত্যহিক জীবনে চলতে ফিরতে মুখোমুখি হওয়া মেয়েদের কাছ থেকে দুরে সরে থাকতে আরো সাহায্য করবে। তাদের চোখ যেন খুঁজে ফিরে "কাকে ভক্ষন করে ফেলা যায়", ঠিক যেমন বাইবেলে শয়তানের সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আমি মেয়েদের ব্যাতিত এমন অন্য কোনো সৃষ্টজীবের কথা জানিনা যে কিনা মানুষকে (পুরুষ) এত দক্ষতার সাথে "ভক্ষন" করতে ও ধ্বংস করতে পারে।
খুব সাবধান বন্ধুগন।
আমার চিন্তা, চেতনা এবং অভিজ্ঞতার কথা জেনেও যদি আমার নিজেকে বিপদে পরার কথা ভাবতে হয় তাহলে আপনাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আরো শোচনীয়।
আমি মনে করিনা যে আপনাদের মধ্যে কেউ ধারনাও করতে পারে যে মেয়েরা কতটুকু নিষ্ঠুর হতে পারে।
সবসময়ই মনে রাখবেন সুপারের প্রায়শঃ উচ্চারিত শব্দমালা "পুরুষের পক্ষে কোনো মেয়েকে না ছোঁয়াই উত্তম"। আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে কথাগুলো ঈশ্বর পুরুষকে রক্ষা করার জন্যই বলেছেন।
একজন মহিলা আপনার জন্য শুধু দুঃখই বয়ে আনবে যা কিনা কোনো নিকটাত্মীয়বিয়োগের ব্যাথারচে'ও বেশি কস্টদায়ক।
যতদূর সম্ভব এই দুস্টদের এড়িয়ে চলুন।
আপনি হয়তো দ্বিতীয় কোনো সুযোগ নাও পেতে পারেন।
---ক্রিস্টোফার
লেখার শেষে মন্তব্য আছে কিছু, যা কিনা আরো কৌতুহল উদ্রেককারী।
মূল লেখাটা এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।