মা অামার অতি প্রিয়
পা ব লি ক ক মে ন্ট : দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন—এই বিষয়ে পাঠক মতামত : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটছে
দৈনিক আমার দেশ আয়োজিত ‘দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন’ শীর্ষক পাবলিক কমেন্টে পাঠকরা তাদের মতামতে বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। তারা মনে করছেন, সরকারের মন্ত্রীদের লাগামছাড়া মন্তব্যের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। তাদের বিশ্বাস, সরকার আইনের শাসনের চেয়ে একদলীয় শাসনকে প্রাধান্য দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বলি মেধাবী ছাত্র আবু বকরের মৃত্যুর পর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকর্মী ফারুক নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন যেসব বিপরীতধর্মী মন্তব্য করেছেন, তা পাঠকদের দৃষ্টিতে দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবেচিত হয়েছে। ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, গৃহিণী, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিত্সকসহ সব ধরনের পাঠক এ পাবলিক কমেন্টে অংশ নিয়েছেন।
তারা বলেছেন, বর্তমান মহাজোট সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী নয়। এ সরকার সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে এবং এ লক্ষ্যে সাংবাদিকদের নানা কায়দায় নির্যাতন করছে। এ সরকারের কাছে দেশের জনগণের চেয়ে দলীয় কর্মীরাই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। গ্রন্থনা : জিয়াউদ্দিন সাইমুম, হাসান শান্তনু এবং আসাদুজ্জামান সাগর
সাইফুদ্দিন চৌধুরী, চাকরিজীবী, চন্দনপুর, চট্টগ্রাম : বর্তমান সরকারের আইনশৃঙ্খলার ধরন বুঝতে গেলে প্রচলিত ধারার আইনশৃঙ্খলা ভুলে যেতে হবে। বুঝতে হবে, আওয়ামী আইনশৃঙ্খলাকে।
আওয়ামী আইনশৃঙ্খলার মূল কথা হচ্ছে, ডিজিটাল আইন প্রতিষ্ঠা। আর ডিজিটাল আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, খুন, হামলা-মামলা, গলাবাজি। এগুলো করতে গিয়ে দিনে দু’-চারটা লাশ পড়তেই পারে। রাস্তাঘাটে ছিনতাই-রাহাজানি হতেই পারে, জমি দখল, বাড়ি দখল হতেই পারে। চিরুনি অভিযান চলতেই পারে।
এটা হচ্ছে প্রচলিত আইনশৃঙ্খলার রূপান্তর মাত্র। আওয়ামী আইনের আরেকটা বড় গুণ হলো আইনশৃঙ্খলা যত ডিজিটাল হতে থাকবে খুন, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, হামলা-মামলা ততই বাড়তে থাকবে। সর্বাধুনিক ডিজিটাল আইন বলে কথা! বুঝতে একটু সময় লাগছে যা।
মোঃ মুমিনুল হক, শিক্ষক, পরশুরাম, ফেনী : আমার মতে, ১৯৯১ সাল থেকে এ ধরনের সন্ত্রাস আর হয়নি। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের টেন্ডার সন্ত্রাস দেশটাকে কারাগার বানিয়ে দিয়েছে।
আরিফ আহমেদ, শিক্ষক, দিরাই, সুনামগঞ্জ : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রায়ই দাবি করছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। আমার মনে হচ্ছে, তিনি নিজেই পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না।
ইকবাল কবির বাবু, সংবাদপত্রকর্মী, ভাঙাবাড়ি, সিরাজগঞ্জ : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক, দৈনিক ৮ থেকে ১০টা খুন হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্য উস্কানিমূলক, যা দেশের জন্য ইতিবাচক প্রমাণিত হবে না।
সাইফুল ইসলাম, চাকরিজীবী, ফেনী : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। সরকার জনগণের জানমালের কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না।
জামাল হোসেন জীবন, ব্যবসায়ী, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী : দেশজুড়ে যেভাবে খুন-নির্যাতন চলছে, তাতে বোঝা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কতটুকু অবনতি হয়েছে। এর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
মুকিত হোসেন, কৃষক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে।
দেশে গণতান্ত্রিক সরকার আছে বলে জনগণ ভাবছে না। সরকার বাকশালী কায়দায় সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।
জাহাঙ্গীর আলম রানা, ছাত্র, সদর নোয়াখালী : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক। ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সাধারণ ছাত্র আবু বকর মারা গেল। যুবদল নেতা ঢাকার ওয়ার্ড কমিশনার আহমদ হোসেন সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ দিলেন।
এ নিয়ে কোনো অভিযান হলো না। কিন্তু রাবিতে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক নিহত হওয়ার পর কেন চিরুনি অভিযানের প্রয়োজন হলো।
ডা. মামুন, চিকিত্সক, হোমনা, কুমিল্লা : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শুধু একমুখীই নয়, এটা বাকশাল কায়েমের ষড়যন্ত্র।
মোঃ সালাউদ্দিন আবু, শিল্পপতি, চৌমুহনী, নোয়াখালী : বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ছাত্রলীগের কাছে।
পুলিশ তাদের বডিগার্ড। পুলিশের সহায়তায় ছাত্রলীগ দেশের সর্বোচ্চ মেধাবী ছাত্রদের মারধর ও নির্যাতন করছে। আর প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মজা করছেন।
মোঃ লতিফুর রহমান, চাকরিজীবী, রামপুরা, বনশ্রী : দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। ছাত্রলীগের মারামারি, হানাহানি, হল দখল ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের অশুভ প্রতিক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে এবং এরই যূপকাষ্ঠে এরই মধ্যে বলি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী।
মুফতি মোঃ শহীদুল ইসলাম খান, শিক্ষক, সাভার, ঢাকা : বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক। কিন্তু মন্ত্রীরা বলছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা ভালো। সরকার উস্কানি দিচ্ছে। ঢালাওভাবে গ্রেফতার, নির্যাতন চলছে, ছাত্রলীগ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
মোহাম্মদ আবু তাহের, ব্যবসায়ী, লাকসাম, কুমিল্লা : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
চিরুনি অভিযানের নামে বিরোধী দলকে দমন করার যে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, তা গণতন্ত্রকে হুমকিতে ফেলবে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
ফাতেমাতুজ জোহরা লিজা, ছাত্রী, যশোর : দেশে এখন সাধারণ মানুষই সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। চিরুনি অভিযানের নামে পুলিশ যাকে তাকে ধরছে। ছাত্রলীগ নিজেরা মারামারি করলে সরকার বলছে, এটা সাধারণ ঘটনা।
সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অধিকার সরকারের নেই। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে।
মাওলানা মানসুরুল হাসান রায়পুরী, শিক্ষক, সিলেট : দেশের আইনশৃঙ্খলা ধ্বংস হয়ে গেছে। অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করছেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেক ভালো।
ডা. মুহাম্মদ মোরশেদ আলম কিরণ, চিকিত্সক, মোহাম্মদপুর, ঢাকা : দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে—যা ’৭২ থেকে ’৭৫-এর চেয়েও ভয়াবহ।
দিনবদলের সঙ্গে মানুষকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিলেও সরকারের মনের বদল হয়নি। সরকার মুখে ডিজিটাল, কাজে নয়।
ফিরোজ আহমেদ, ছাত্র, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সরকার নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছে। তারা বাকশাল কায়েমের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে।
কামরুল হাসান হাশেম, ব্যবসায়ী, সোনারপাড়া, সিলেট : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
এটা নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ।
আবুবকর সিদ্দিক, ব্যবসায়ী, গাজীপুর : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানছে না সরকার। প্রতিদিনই হত্যা, চুরি, ডাকাতি, হামলা, টেন্ডারবাজি চলছে। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না।
শিবলী সাদিক, চিকিত্সক, হবিগঞ্জ : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নয়। সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে যা চলছে, তাকে আইন বলা যায় না।
মোঃ আরাফাত রহমান অপু, ছাত্র, ঢাকা : আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের নির্দেশনার বাইরে গিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। ভার্সিটির মেধাবী ছাত্র আবু বকর মারা যাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটা স্বাভাবিক ঘটনা।
অথচ রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর থেকে একটি নিবন্ধিত দলের বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে, তা কি আইন-বহির্ভূত কাজ নয়?
রাশেদুল ইসলাম, ছাত্র, কদমতলী, ঢাকা : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ডাকাতি বেড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন, আর কতজন মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে তা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হবে?
মোঃ শফিকুল ইসলাম, চাকরিজীবী, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। প্রকাশ্যে মানুষ হত্যার ঘটনাই শুধু বাড়ছে না, সন্ত্রাসীদের নৃশংতা রূপ নিচ্ছে প্রচণ্ড হিংস্রতায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী খুন হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুর পাল্টে গেছে। তিনি জীবন দিয়ে হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা দেয়ার ২৪ ঘণ্টা পরই এই খুনের ঘটনা ঘটলো। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।
মোঃ শেখ ফরিদ সজীব, ব্যবসায়ী, নরসিংদি : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো নয়। প্রতিদিন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ভিখারিকেও প্রাণ দিতে হচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীকে সঠিকভাবে কাজ করতে দিলে পরিস্থিতি এমন হতো না।
মোঃ আবদুল্লাহ, ছাত্র, হবিগঞ্জ : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারলে রাজশাহীতে হত্যাকাণ্ড হতো না। আমি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করছি।
মোঃ ওবায়দুল্লাহ, ব্যবসায়ী, মুরাদনগর, কুমিল্লা : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনবতি ঘটছে।
অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবলীলায় মিথ্যা বলছেন।
মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, টেক্সিক্যাব চালক, সাভার, ঢাকা। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। কতুটুকু খারাপ হলে তিনি এটাকে খারাপ বলবেন, তা স্পষ্ট করে বলা উচিত।
সাইফুল ইসলাম চঞ্চল, চাকরিজীবী, আরমানিটোলা, ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নিজেরা মারামারি করে একজন সাধারণ ছাত্রের জীবন কেড়ে নিয়েছে অথচ আমাদের সুযোগ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটি কোনো ব্যাপার নয়। তিনি এটাকে বলেছেন একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা যদি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, সময় এসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজের হিসাব নেয়ার। তিনি প্রমাণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের নন, তিনি মহাজোটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার রাষ্ট্রীয় ওই পদে থাকার কোনো নৈতিক যোগ্যতা নেই।
মোঃ ইমন শাহ, চাকরিজীবী, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত ভালো নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর লাগামহীন বক্তব্যের কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
মোঃ জালাল, চাকরিজীবী, মুরাদনগর কুমিল্লা : দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ।
অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, জজকোর্ট, বান্দরবান : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
সরকার ইচ্ছে করেই ১/১১-এর পূর্বের পরিস্থিতির দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। রাবির এক ছাত্র হত্যার জন্য একটি সংগঠনের ওপর যে নির্যাতন শুরু করেছে, তা ’৭২ থেকে ’৭৫-এর মুজিবী শাসনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। শিবির কর্তৃক এক ছাত্র হত্যার জন্য ৫/৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেও ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে তিন শিবির নেতাকে হত্যার পরও একজন লোককেও গ্রেফতার করেনি। জাতি সরকারের কাছে নিরপেক্ষ ভূমিকা আশা করে।
জুবায়ের আহমেদ শামীম, ছাত্র, গাবতলী, নরসিংদী : বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অরাজক অবস্থা এখন বিরাজ করছে।
এজন্য দায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য। যখন ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক নিহত হয়, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সমুচিত জবাব দেয়া হবে। দেশজুড়ে চিরুনি অভিযানের নামে ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
মোঃ সালাউদ্দিন শোয়েব, ছাত্র, ফেনী : সরকারের মদতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
ছাত্রলীগের কারণে দেশের ভার্সিটিগুলো মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছে।
নুরুল আলম আতিকী, ব্যবসায়ী, নবাবগঞ্জ, ঢাকা : দেশের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই ইসলাম ও জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধের ওপর হামলা হয়েছে।
রোমান সরকার, ব্যবসায়ী, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এ সরকার আসার পর থেকে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে।
ফখরুল ইসলাম মাসুম, ব্যবসায়ী, মোটুবী, ফেনী : যেভাবে গণহারে গ্রেফতার অভিযান চলছে, তাতে মনে হচ্ছে সরকার দমননীতি আঁকড়ে ধরে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়, বাকশালে বিশ্বাসী।
মোঃ আবদুল হালিম, ব্যবসায়ী, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে। রাজশাহীর ঘটনার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার অবস্থান পাল্টে নিয়ে চিরুনি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। এ সরকার নিজেই আইন মানে না।
আইন মানলে পল্টনে লগি-বৈঠা দিয়ে হত্যার বিচার হতো। সরকার বাকশাল কায়েম করতে চায়।
মোঃ কবির হোসেন, ব্যবসায়ী, ইসলামপর, ঢাকা : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশের পুরো পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সরকার প্রমাণ করেছে, ছাত্রলীগ করলেই তারা ভালো, অন্যরা সন্ত্রাসী।
সাইফুর রহমান তালুকদার, সাংবাদিক, বিএনএস, সিলেট শাখা : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। সমালোচনা করায় আমি নিজেও সরকারের রোষানলে রয়েছি।
নকুল চন্দ্র দাস, ব্যবসায়ী, পূর্ব মিরাবাজার, সিলেট : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুরোপুরি ব্যর্থ। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ছাত্রদের হাতে বই দিন, অস্ত্র নয়।
ডা. মতিউর রহমান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা : আইনশৃঙ্খলা খুব খারাপ, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। ভবিষ্যতে আরও খারাপ হবে, যদি সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে না ওঠে।
মোঃ হাসিমউদ্দিন, ব্যবসায়ী, সুনামগঞ্জ : ১৯৭৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেখ মুজিব জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। একই কায়দায় বর্তমান আওয়ামী সরকার টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, মানব হত্যা থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্ম চালিয়ে তাদের বিদেশি প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত।
জিয়াউল হক, শিক্ষক, নাটোর : আগে মানুষ হত্যা হলে ভাংচুর হতো, এখন তা হয় না। এ কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী আমিও একমত যে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। এখন টেন্ডার নিয়েও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় না। কারণ এখন টেবিলে বসেই ভাগাভাগি হয়। আমি বলব, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কবরের মতো নীরব এবং ভালো।
খায়রুল বাশার, চাকরিজীবী, মেহেন্দীগঞ্জ, বরিশাল : দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি গণতান্ত্রিক দেশের উপযোগী বলে মনে হয় না, এটা এরশাদের ৯ বছরের স্বৈরশাসন থেকেও খারাপ। নির্বাচনী ইশতেহার দেখে জনগণ তাদের ভোট দিয়েছে, যাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার জন্য নয়। ভালো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পেলে জাতি উপকৃত হবে।
জাহিদ হোসেন, সাংবাদিকতা, সাপ্তাহিক সচিত্র সাংবাদিক, ঢাকা : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আর এ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ বানিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উস্কানিমূলক বক্তব্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করলে ভালো হয়।
উম্মে হানি, ছাত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এত বাজে যে, ঘর থেকে বের হওয়ার পর মানুষ সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকে। ছিনতাই, খুন, গণগ্রেফতার সবকিছু মিলিয়ে দেশ অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। চিরুনি অভিযানের নামে অনেক নিরপরাধ মানুষকে আটক দেখিয়ে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
মোঃ আলী আসগর, ছাত্র, লক্ষ্মীপুর : আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।
সরকার কোর্টের নির্দেশ মানছে না। দেশ চালাতে ব্যর্থ এ সরকারের পদত্যাগ চাই। ছাত্র হত্যা নিয়ে স্বরাষ্ট্
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।