আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘ডেথ জোনে মিলেছে সজলের ব্যাগ’

নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার শামীমা চৌধুরী রোববার বিকেলে টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাউথ সামিটে অবস্থান করতে না পারায় মরদেহ উদ্ধারে যাওয়া শেরপারা ওই ব্যাগ নিয়ে হিমালয়ের ৬ হাজার ৮০০ মিটারে অবস্থিত ক্যাম্প-৪ এ ফিরে আসছে। ”
শেরপা দল প্রায় ঘন্টা দুয়েক ডেথ জোনে অবস্থান করে সজল খালেদের ব্যাগ খুঁজে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
এভারেস্ট চূড়া থেকে ফেরার পথে গত ২০ মে মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, সজল খালেদ নামেই যিনি পরিচিত। তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাচ্ছে সরকার।


শামীমা চৌধুরী বলেন, “আগামীকাল সোমবার সকালে দ্বিতীয় পদক্ষেপ নিতে শেরপাদল আবারও সাউথ সামিটে ফিরে যাবেন। শেরপাদের ধারণা সজলের মরদেহ বরফে ঢেকে গেছে। ”
এর আগে শনিবার সজল খালেদের মরদেহ নামিয়ে আনতে হিমালয়ের বেস ক্যাম্প থেকে সাউথ সামিটের পথে রওনা দেয় একদল শেরপা। এ অভিযানে ১২ জনের এই শেরপা দলের সঙ্গে একটি ব্যাকআপ দলও রয়েছে, যারা তাৎক্ষণিক সহযোগিতা দেবে।
সজল খালেদের মৃতদেহ হিমালয়ের প্রায় ৮ হাজার ৭৫০ মিটার উচ্চতায় সাউথ সামিটে রয়েছে।

সজলের মরদেহ উদ্ধারে শুক্রবার সেভেন সামিট ট্র্যাকিং লিমিটেডের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয় নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর উদ্ধার তৎপরতার সর্বশেষ অবস্থা ও ভিডিওচিত্র সরবরাহের পাশাপাশি স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করবে সেভেন সামিট।
শেরপারা সজল খালেদের মৃতদেহকে বেস ক্যাম্প-২ পর্যন্ত  নিয়ে এলে সেখান থেকে তা হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডুতে আনা হবে। প্রকৌশল ডিগ্রিধারী সজল খালেদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট।

হিমালয়ের মেরা পিক, চুলু ওয়েস্ট ও লান্সিসারি চূড়া জয় করেছিলেন তিনি।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।