shamseerbd@yahoo.com
শীত কাল চা বাগানের সৌন্দর্য দেখার জন্য মোটেই ভাল সময় নয় । কিন্তু কোথাও যাবার জন্য কলিগরা সবাই যখন আকুলি-বিকুলী করছে বস ও রাজী হয়ে গেলেন। ঠিক হল চা বাগান ঘেরা শ্রীমঙ্গলই হবে আমাদের গন্তব্য। টি বোর্ডের রিসোর্ট ঠিক হল আমাদের তিন দিনের আবাস হিসাবে ।
রিসোর্ট এ ঢুকেই আমাদের জার্নির ক্লান্তি দূর হয়ে গেল ।
এমন সাজানো গোছানো তাও আবার সরকারী মাল বলে কথা। যাই হউক আমরা সাজানো গোছানো কটেজ গুলো নিজেদের করে নিলাম। শ্রীমঙ্গল গেলে যে কারও উচিত ঐ কটেজগুলোতে থাকা, সুনসান নীরব নিজের মত করে থাকার জন্য এর চেয়ে ভাল জায়গা আর হয়না।
কটেজে আস্তানা গেড়ে শুরু হল আমাদের অবসাদ দূর করার মিশন । প্রথম দিন ঠিক হল মাধবপুর লেক দেখতে যাব।
শুষ্ক চা বাগান এর মাঝ দিয়ে শুরু হল ছুটে চলা। বারবার যেন মনে হতে লাগল এ পথে যেতে হবে ঘোর বর্ষায় । শুকনো খড়খড়ে চা বাগান দেখার কোন মানে নেই।
পাতা ঝড়া পথ মাড়িয়ে আমরা চলছি , ধুলো জমে আছে চা গাছের পাতায়। হৃদয় নিংড়ানো সবুজের অভাব বোধ বারবার জেগে উঠে ।
লেকটার চারপাশ ও কেমন মরামরা। তবুও দলবল সাথে থাকলে জায়গা কি আর ব্যাপার। আমরা মেতে উঠি আমাদের মত করে। আঁকাবাঁকা রাস্তায় চলে এক গাড়ী আরেক গাড়ীকে ওভারটেক করার খেলা মোটামুটি বিপদ এড়িয়েই। দেখা হল বেগুনী পদ্ম ফুটে থাকা মাধবপুর লেক।
সেখান ঠেকে নীলকন্ঠ চা কেবিন । কোন মতেই বিক্রেতা দেখতে দিবেন না কি করে বানানো হয় এই লেয়ার চা। খাব যখন বেশী লেয়ারেরটাই খাব। অর্ডার দিয়ে ফেললাম সাত লেয়ারের চা । আহামারী কিছু নয়, তবুও ...........ভালই লাগল নতুন একটা কিছুর সাথে পরিচিত হয়ে।
সারারাত আড্ডা দিয়ে সকালে উঠার মত কস্ট- বস আছে সাথে তাই করতেই হল । লাউয়াছড়া বনের মাঝে যাত্রা । বড় বেশী বর্ষাকে , শ্রাবন ধারাকে যেন মিস করছিলাম। গাছে গাছে ছুটে বেড়াচ্ছে বানর আর নীচে বাঁদরামী করছি আমরা---অদ্ভুত এই মেলবন্ধন । ।
মাধবকুন্ড ঝর্ণা ও যেন তার রূপ হারিয়ে বসে আছে.......।
মনে মনে যেন ঠিক করে ফেললাম আমাকে আবার যেতে হবে ঘোর বর্ষায়-বৃষ্টি দেখতে , সবুজ দেখতে, নিজেকে নতুন করে রাঙানো দেখতে........ ।
চা গাছের চারার শেড:
লাউয়াছড়া:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।