আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চবি ছাত্রলীগ সভাপতি ‘শিবিরঘেঁষা’

মঙ্গলবার চাকসু ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন ক্যাম্পাসে তার অনুসারী বলে পরিচিত নেতা-কর্মীরা।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সরকার সমর্থক সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যলয় শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. জালাল আহমেদ।
তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদবিরোধী কর্মকাণ্ডে অকার্যকর ভূমিকা থাকায় মামুনুল হককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। ”
সভাপতি মামুন ক্যাম্পাসে জামায়াত সমর্থিত কর্মচারী,  কর্মকর্তা ও শিক্ষক ‘নিয়োগ বাণিজ্য’ এবং চাঁদাবাজিতে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন দপ্তর সম্পাদক।
সভাপতির বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলনে সহ-সভাপতি জুনায়েদ ইয়াকুব, যুগ্ম-সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান, গণ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক রূপম বিশ্বাসও ছিলেন।


জালাল বলেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সভাপতি কোনো যোগাযোগ রাখেন না।
“ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে রাখেন তিনি। ”
গত ২০ জুলাই চবি সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে সভাপতি মামুনের নির্দেশেই তালা লাগানো হয়েছিল বলে দাবি করেন জালাল।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় বিলুপ্ত করার জন্যও কেন্দ্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনুল হক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা যে সব অভিযোগ করেছে, তার একটিও সঠিক নয়।


“ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে দুই-একজন দলের অন্যদের সংগঠিত করে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। ”
২০১১ সালের ২৫ জুন মামুনুল হককে সভাপতি ও এমএ খালেদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১৪ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে শিবির-ছাত্রলীগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ছাত্রলীগের একটি অংশ মামুনের বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছিল।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।