সুখ চাহি নাই মহারাজ—জয়! জয় চেয়েছিনু, জয়ী আমি আজ। ক্ষুদ্র সুখে ভরে নাকো ক্ষত্রিয়ের ক্ষুধা কুরুপতি! দীপ্তজ্বালা অগ্নিঢালা সুধা জয়রস, ঈর্ষাসিন্ধুমন্থনসঞ্জাত,সদ্য করিয়াছি পান—সুখী নহি তাত, অদ্য আমি জয়ী।
আমরা তার ঘরে এলাম। বাইরে তার সাইকেল দাঁড় করানো।ঘরে
মার্কস আর ব্রুসলীর ছবি, বুকশেল্ফ-এ আইন, হিসাবশাস্র,
প্রবন্ধ, পদার্থবিদ্যা, কবিতার বই- মাঝখানে একটা দু’টো পর্ণোগ্রাফি।
র্যাকের নীচেই মুগুর, বুলওয়ার্কার, তাস আর ঘুড়ি
বালিশের তলায় কনডম, টাকা, চাবি, একটা প্যাকেটে গাঁজা,
খাটের তলায় কল্কে, এককোণে একটা মদের বোতল
টেবিলে ডায়েরী, আমরা খুলে দেখলাম বেশ কিছু হিসেব,
ব্যক্তিনাম, দু-একটা ঘটনা লেখা- ‘আজ এতো জোসনা
ছিল যে ওসব কিছু ইচ্ছে করেনি’, ‘মেয়েটি এতো বাচ্চা
আমি বুঝছি, কিন্তু গরম হয়ে যাচ্ছি’, ‘আজ মনে
হলো ঈশ্বর সত্যি আছে’, ‘আজ বুঝলাম আল্লা-টাল্লা সব
ফাঁকি’, ‘জাহাজে করে বাইরে যাবো’-
ড্রয়ারের মধ্যে একটা প্যাকেটে তার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
যা পাবলিক সাভির্স কমিশনের পরীক্ষায় লেগেছিল। ছবিতেই
দেখা গেল তার একসারসাইজ করা চোঁয়াড়ে চোয়াল আর
ধুমপানে বসে যাওয়া গাল।
এসব আমরা আগে দেখিনি। এখন দেখছি, কেননা সে
মৃত্যু, কিংবা অন্য কোন কাজে ঠিক এসময়
আমাদের মাঝে নেই।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।