যেমন ঢাঁকের বাড়ি তেমনি নাচুনে বুড়ি.....
উনি আমাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর । নাম টুকু, জিলা: পাবনা। গত আওয়ামলীগ সরকারের সময় ভদ্রলোক মেজর রফিককে সরিয়ে পাবনার ক্যাপ্টেন মনসুররে ছেলে নাসিম কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী করেছিলেন। এবার ও ঠিক সেই কাজটি করলেন সরকার, অভিমানি সোহেল তাজের জায়গায় টুকু। কথা বলার ভাষাতে একই ভন্গি- ঠিক যেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নাসিম! কথায় দাম্ভিকতার সেই সুর- ধর, মারো, কাটো, দেখে নিব, ধ্বংস করবো ইত্যাদি ইত্যাদি।
ঠিক একজন যোগ্য উত্তর সুরির জন্যই যেন আমরা গোটা জাতি অপক্ষা করছিলো।
মহাজোট সরকার যারে তারে যেখান সেখান থেকে ধরে এনে মন্রী বানায়। টুকু ও সেই মহা কপালিদেরেই একজন। আর এই পদটি যেন তারই জন্য অপেক্ষা করছিল, কারন উত্তুর সুরি হতে হবে না একজন! ঠিক পুর্ব পুরুষ নাসিমের মতোন। মনে হয়, সেই সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি, সুযোগও পাইলেন একটি।
দেখিয়ে দিলেন তার সমস্ত যোগ্যতা । রাবিতে ছাত্র সংঘষে তার নিজ দলের একজন নিহত হলো ছাত্র শিবিরের হাতে। তাৎক্ষনিক তিনি হেলিক্পটার নিয়ে উড়াল দিলেন, গেলেন রাজশহিতে। ঘোষনা দিলেন - জামাত শিবিরকে খতম কর যেখানে পাও গ্রেফতার করো, মারো, খুন করো।
হায়রে একজন মন্ত্রীর ভাষা।
কি দায়িত্বশিল উচ্চারন! একজন মন্ত্রী যেখানে ঘাঠের কুলী সর্দারের মতো কথা বলেন। আইন যেখানে তাচ্ছিল্ল! গনতন্ত্রের ভাষা যেখানে উপেক্ষিত!
কিন্তূ ঠিক তার ৪/৫ আগে ঢাবিতে আবু বক্কর নিহত হলেন ছাত্রলীগের হাতে। তখন ছিল এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। হায়রে মনবতা!
মন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ ও বাধ্য ছেলের মতো কথা পালন লরতে লাগলো। সরাদেশে শুরু হলো নতুন মাত্রায় মামলা, হামলা, ধর পাকর, খুন খারাবি।
সেই রাতেই পুলিশের হাতে খুন হলো রাজশহী কলেজের শিবিরের এক নেতা, তারপরই চবিতে একজন ও ঢাকায় একজন । দেশে এক অরাজোক পরিস্হিতি কর অবস্হা।
ইতিমধ্যই টুকুর বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুজাহিদ। তিনি বলেছেন, "স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করা হবে। নির্মূল মানে হচ্ছে, হত্যা করা।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কারণে জামায়াত-শিবিরের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের যদি কারো কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। "
আইন কি পারবে টুকুকে ছুইতে! ঐ চেয়ারে যে নাসিম ও লুৎফুজ্জমান বাবরও ছিলেন.............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।