আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজ সারাটি দিন জুড়ে ৪ বছর আগের স্মৃতিতে ঘুরে বেরিয়েছি

হাম্বালীগ হৈলে অফ যা। রাজাকার হৈলে গদাম।

ওর সাথে এইচএসসি প্রথম বর্ষে পরিচয়, দ্বিতীয় বর্ষে অ্যাফেয়ার। অ্যাফেয়ারের আগে খুব একটা কথা হত না। অ্যাফেয়ারের পরেও যে খুব হত, তাও বলছি না।

তবে ভীষণ রকম একটা আবেগ কাজ করতো। ৭ মাস ছিল অ্যাফেয়ার। আমার লেখা কবিতাগুলো ওর মায়ের কাছে ধরা পড়ে। আমিও ধরা খাই। আমার সাথে ও যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়।

শত চেষ্টা করেও ওর রেসপন্স পাই নি আর। ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরপরই আমি আরেকজনকে খুঁজে নেই। সাড়ে তিন বছর ধরে চলছে আমাদের এ অ্যাফেয়ার। ব্যক্তিগতভাবে আমি আসলেই সুখী। তবু আজ কেন যেন ৪ বছর আগের কথাগুলো মনে পড়ছিল।

গত মাসে সিলেটের রোজ ভিউ হোটেল রুমে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটা প্রজেক্টে কাজ করতে এসেছিলাম। তখন থেকেই কেমন যেন অন্যমনষ্ক হয়ে যেতাম। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকেছি। ভাবছিলাম, আমি সিলেটে।

আর আমার একসময়ের একটি প্রেমের নায়িকা রয়েছে এ সিলেট মেডিকেলেই। সেকেন্ড প্রফ দিচ্ছে সে। আমি সত্যি সত্যি সিলেট মেডিকেলে যাই। আমার ওখানকার বন্ধুদের সাথে নিয়ে চেষ্টাও করি ওর সাথে যোগাযোগ করার জন্য। এবারও ও রেসপন্স করেনি।

উল্টো যার মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলাম, ঐ মেয়েকে ও বলে দিয়েছে- কোনমতেই যাতে আমাকে ওর সেল নম্বর দেয়া না হয়। ওর সাথে বুয়েটের আরবান.. ডিপার্টমেন্টের একজনের অ্যাফেয়ার। এটা যে আমি জানি- একথাও ও জানে। সো, আমার সাথে দেখা হলেই যে আমি পুরনো প্রেমের ধোঁয়া তুলে তাকে আবার ভাবিয়ে তুলতে পারি, এটা ও কিভাবে চিন্তা করলো জানি না। আমার বর্তমান ফিয়ন্সের সাথে একসাথেই পড়ত ও।

আমি এসব ব্যাপারে খুব ফ্রি। আমি ওকে বলেছিলাম, তুমি পারলে ওর সেল নাম্বারটা অ্যারেঞ্জ করো। দু'দিন আগের ঘটনা। ও যেভাবেই হোক আমার পুরনো প্রেমিকার সেল নাম্বার অ্যারেঞ্জ করে দেয়। এখনও আমি কিন্তু ডিজিটগুলোর দিকে তাকাচ্ছি।

কিন্তু ফোন করতে কেন যেন ইচ্ছে করছে না। আজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে'তে খুব বেশি মনে পড়ছিল ফেলে আসা দিনগুলোর কথা। কিছু প্রশ্নও উঁকি মারে। আমি ঐ সাত মাসে কখনোই ওর হাতটুকুও স্পর্শ করিনি। এ নিয়ে না-কি ওর অবজেকশন ছিল।

ব্যাপারটা আসলে সে সময় আমার কাছে ফানি টাইপ ছিল। আজিব! প্রেম করলেই হাত ধরতে হবে- এটা তো কোন শর্ত হতে পারে না। এরকম একটা কিছু ছিল আমার মধ্যে। অবশ্য আমরা নটর ডেমের একটা গ্রুপ ছিলাম এরকমই। বলা যায়, ওটা ছিল আমাদের স্টাইল।

প্রেম করবো, কিন্তু যতটুকু স্বচ্ছ থাকা যায়- অনেকটা এরকম। যাই হোক। বুয়েটের রশীদ হলে আমার প্রায়ই থাকা হয়। সব দোস্তরা মিলে ওখানে কয়েক মাস পরপর আড্ডা চলে। হঠাৎ একদিন আমার এক দোস্ত আড্ডায় বলে উঠে, "আরে শালা, তোর এক্স জিএফ তো প্রায়ই আমাদের আরবান.. ডিপার্টমেন্টের ঐ পোলার লগে সিলেটে হোটেলে গিয়া উঠে।

তুমি হালা কিছুই পারলা না! " কথাটার সত্যতা আমাকে যাচাই করতে হয়নি। অন্য সোর্স থেকে নিশ্চিত হয়েছি। তাও আমি মনে করি, এটা ওর একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু খারাপ লাগে তখনই যখন ভাবি, আমি সবকিছুতেই স্বচ্ছ থাকতে চেয়েছিলাম। এথিক্সের ব্যাপার বাদই দিলাম।

আমি সাধু পুরুষ নই। আমার সাথে ও অন্তত: শেয়ার করতে পারত। ঠিক আছে আমি একটু ড্যামকেয়ার টাইপ ছিলাম। কিন্তু কখনোই ওকে অবহেলা করিনি। রিলেশন ব্রেক আপ করবে ভালো কথা।

তাই বলে হুট করে এইচএসসি পরীক্ষার ঠিক আগে আগে? আমাকে ও এক্সকিউজ দিয়েছিল যে, ওর ফ্যামিলি এটা জানার পর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে সমবয়সী কারও সাথে কোন সম্পর্ক হবে না। প্রেম টেম তো মানবেই না। তাহলে আমার প্রশ্ন, বুয়েটের এ ছেলেটিও তো আমাদের ব্যাচের। প্রেম করেই তো হয়ত বিয়ে করবে তুমি। তাহলে আমার প্রশ্নের উত্তর আমি জানতে চাইবোই! বুয়েটের ছাত্র অবশ্যই মেধাবী- মানলাম।

আমার ভালই লেগেছে শুনতে- ওদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কম্বিনেশন। আমার হবু বউও মেডিকেলে পড়ছে। আমিও ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করছি। আমরাও তাই। কিন্তু ওর সাথে আমি আজও দেখা করতে চাই কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে।

ওর ঝোঁক ছিল স্ট্যাটাস আর আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রতি। আমার অভিমত, সোসাইটিতে বর্তমানে আমার যে স্ট্যাটাস আছে তা দিয়ে ও ওর চৌদ্দ গুষ্ঠিকে হাইলাইট করতে পারত। হয়তো ধনী নই। তবু বাড়ি গাড়ি - সবই তো আছে আমার বাপের। সে হিসাব বাদই দিলাম।

স্টুডেন্ট অবস্থায়ই আমার যে ইনকাম ছিল বা আছে, তার ১০ ভাগ দিলেও তো তার পুরো মাসের খরচ আমি একাই বহন করতে পারতাম। আমার অপূর্ণতা কোথায় ছিল? কয়েক ঘন্টা আগেও ভ্যালেন্টাইন্স মিনিটগুলো ছিল। ভাবছিলাম এসব কথাই। ভাবছিলাম ওর সাথে দেখা হলেই ওকে জানাতাম, আমি আজও আগের মতই স্বচ্ছ। আমার বর্তমান প্রেম কিন্তু প্রায় ৪ বছর হতে চললো।

এ ৪ বছরে আমাদের দু'জনার মধ্যে কখনোই কোন ভুল বোঝাবোঝি কিংবা অবিশ্বাস দানা বাধেঁনি। তোমার দুই কুলের ফ্যামিলিতে তুমি ছিলে সর্বোচ্চ শিক্ষিত। আর আমার সাথে এখন যে আছে, তার কথা নাই বা বললাম। তোমার মত লুকোচরিতে আমি বিশ্বাসী নই। আমাদের দু'জনার পরিবারই আমাদের অ্যাফেয়ারের কথা কম-বেশি জানে।

হয়ত বিয়ে করছি দু'বছরের মধ্যেই। তোমার সেল নাম্বার নয়, তোমাকেই আমি চাই। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমি তোমার মুখ থেকেই শুনবো। আজ অথবা কাল। জোর করে নয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই ।

তবে কিছু সমীকরণ ফলো করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।