বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা বা মুজিব হত্যার ষড়যন্ত্রে মোশ্তাকের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা আওয়ামী লীগের নতুন নয়। বাংলাদেশের হত্যার রাজনীতি আওয়ামি লীগ নেতারা নিজেরাই কিভাবে প্রথম শুরু করে আমার গত সপ্তাহের লেখায় তা প্রমানাদিসহ উল্লেখ করেছি। শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত হবার ৫ বছর পরে শেখ হাসিনা দেশে ফিরেন। প্রানের ভয়ে তিনি দেশে ফিরতে চাননি। তার দেশে ফেরার ব্যপার তিনি এবং তার দলের নেতা-নেত্রীরা অকৃতজ্ঞের মত ভুলে গেছেন।
তৎকালীন দিল্লী কর্তৃপক্ষকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই মর্মে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করলে তার সব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। তার এই নিশ্চয়তার পরেই শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং জিয়া তার প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করেননি। তার স্বামী ডঃ ওয়াজেদকেও পারমানবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে পুনর্বাসিত করেন। শেখ হাসিনা দিল্লীর নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার সময় বা দেশে প্রত্যাবর্তনের পর ওই সময় কখনো জিয়াকে তার পিতার হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উল্লেখ করেন নি। রাষ্ট্রপতি জিয়া নিহত হবার পরই কেবল আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রীরা জিয়াকে শেখ মুজিব হত্যার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আবিস্কার করে।
বিষয়টি এরকম দাঁড়ায় যে- তারা জীবিত জিয়াকে হত্যা করতে পারেনি বলে এখন মৃত জিয়াকে হত্যার প্রচেষ্টা চলছে। এর একমাত্র কারন, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়ার নাম ইতিহাসে শেখ মুজিবের পাশেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে যেসব বই পুস্তকে জিয়ার নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে, তা নিশিদ্ধ বা বাজেয়াপ্ত করে জিয়াকে ইতিহাসের পৃষ্টা থেকে মুছে ফেলা যাবে? তাহলে সেটা হবে আওয়ামী লীগের দলীয় ইতিহাস, জাতির ইতিহাস নয়......
লেখাটি আমানুল্লাহ কবীরের কলামের কিয়দাংশ, [link|http://dailynayadiganta.com/fullnews.asp?News_ID=195428&sec=6|মূল লেখা পড়ুন ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।